অনেকদিন ধরে চিন্তা করছিলাম গল্পটি শোনাব বলে । তবে একটু আগে যখন রাজাকার এর মুখে শুনলাম দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা। তখন লেখাটির জন্য অনুপ্রানিত হলাম। গল্পটি তাহলে বলি-সেবার আমি আমার মামাবাড়ি বেড়াতে গেছি, গিয়ে দেখি আমার মামা এক বৃদ্ধলোকের সাথে কথা বলছে। গিয়ে দেখি লোকটি ঘুঘু ধরার ফাদঁ পেতে মামার সাথে গল্প করছে, আর বলছে তার করুন কাহিনী।
১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে আজ ঘুঘু শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তিনি একবার বাসা থেকে বের হয়ে ৩-৪ মাস পর বাসায় ফেরেন। কারন কাজ করার মত যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি ওনার নেই। এই দেশকে বাচাঁনোর জন্য যিনি খেয়ে না খেয়ে যুদ্ধ করেছেন। অথচ আজ তার পরিবারকে বাচাঁনোর জন্য কি চেষ্টা।
কেন ওনি যুদ্ধ করেছিলেন? কেন ওনি কি পারতেন না রাজাকার হয়ে অনেক টাকার মালিক হতে?ওনিও তো বলতে পারতেন মুজাহিদ এর মত বুক ফুলিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা। যখন রাজাকাররা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সংসদে গিয়ে গলা উচিয়ে কথা বলে, প্রকাশ্যে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের লাথি মারে। অথচ আমাদের দেশের শ্রেষ্ট সন্তানরা জীবিকার জন্য ঘুঘু শিকার করে। টিভিতে দেখলাম মুজাহিদ এরশাদ কে বলছে যে স্বৈরাচার, অথচ এরশাদ তো না হয় স্বৈরাচার ছিল সে তো আর রাজাকার ছিল না, সে তো আর এ দেশকে অন্যর হাতে তুলে দিতে চায় নাই। মুজাহিদ তুমি নিজের পাচায় স্টুল লাগিয়ে আর একজনের দোষ খুজে বেরাচ্ছো, মানে এক বুড়ো আর এক বুড়োকে বলছে চাচা ভাল আছেন।
ব্লগার ভাইদের আর একবার অনুরোধ আসুন আমরা এই রাজাকার এবং রাজাকার সমর্থিত শক্তিকে গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে না দেই। না হলে আমাদের শ্রেষ্ট সন্তানদের শেষ চিহ্নও খুজে পাওয়া যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।