শূন্যতার চাষীরা বকতাড়ুয়া সেজে বক তাড়িয়ে গেল কত সহজে! পাখিরা আর বটের বীজ ছড়িয়ে দিতে পারেনি কখনো! চেষ্টাও যে হয়েছিল তা নয়। যারা বৃক্ষের মালিক সেজে বসে আছে তারাই কিছু বলল কই? আক্ষরিক শূন্যতাকে দেখব বলে হেঁটেছিলাম ঐ পথে। শূন্যতা সাহস কেড়ে নেয়, স্বপ্নকে কেড়ে নেয় বলে মাঝপথেই ফিরে এসেছিলাম! তাছাড়া দেখার মত আর কিইবা আছে বাঁকি?
ভিক্ষুক দলের না আছে নীতি না আছে দূর্নীতি। না আছে ঈশ্বর না আছে পৃথিবী। শুধু আছে অচ্ছুৎ কিছু স্বপ্ন।
নাহ! সেটাও নেই মনেহয়! বেঁচে থাকার আজন্ম আকাঙ্খা ওদের শুধুই কিছু কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের শর্তে গড়া। কোন লড়াই নেই; সামর্থও নেই! একভাবে শুধু ভিক্ষা আর ভিক্ষা চেয়ে চেয়ে এখন মানুষ দেখলেই হাত উঠে যায় হাতের ইচ্ছাতেই। সবই কেমন যেন অটোমেটেড বলে মনে হয়। হাত তুলতে হয় বলেই যেন হাত ওঠে, কিছু পাক আর না পাক! সামর্থহীন মানুষ আর কিইবা পারে?
সামর্থহীন তো আজ বটপাতার মানুষেরাও! চাইতে চাইতে আজ দেখি অধিকার, অস্তিত্ব, সময় সবই চাওয়া যায়! যেন কোন কৃষক ভুলে গেছে চাষের সব জানা নিয়ম। যেন ইঁট ভাঙার দল জীবনটাকে দেখে শুধু কতগুলো ভাঙা ইঁটের টুকরোয়! ভাবে আর কেউ এসে জুড়ে দেবে।
আজ শুধু দূরথেকে মুখ ভেংচানো ছাড়া আর কিছু করতে পারে নি সবচে বড় বিপ্লবীও! অবশ্য এত দূর থেকে বোঝা যায়নি সে ভেংচালো নাকি আঘাতে আহত হয়ে পালাতে গিয়ে ব্যাথায় মুখ বাঁকালো। মাত্র দু'রাতেই হেরে গেলাম আমরা! তাহলে কি করে ন'মাস টিকেছিল ওরা?
ফিরে চলেছি আবারো লেজ গুটিয়ে! মনেপড়ে যায়, বৃক্ষ মালিকের এক ভটকে গালি দিতে গিয়ে একদিন নিজেকেই বলেছিলাম, "নপুংসক! গালি ছাড়া আর কি পারিস তুই?" আজ মনে ভাবি, নিঃসঙ্গ নেকড়েরা বেঁচে থাকতে পারে না। মনের গভীরে আজ কোন হিংস্র জানোয়ার ডেকে ওঠেনি!
শূন্য প্রান্তরে পড়ে আছে শুধু বকতাড়ুয়া আর প্রাণহীন কিছু কঙ্কাল! পাখিরা উড়ে গেছে সেই কবেই! আর ফিরে আসেনি, আর আসবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।