পাগলামী..................... প্রথম পর্ব
হঠাৎ সেলসম্যানের কর্কশ কন্ঠস্বরে এইসব সুখচিন্তা নিয়ে ভাবনায় ছেদ পড়লো! বিরক্ত লাগলো। সে, কি যেন একটা বলছিলো।
"দাম নিয়ে ভাববেন না। দেখুন, আমি একদম সস্তায় ছাড়ছি। কিন্তু আমি যেটা বলছিলাম, আমার যন্ত্রটা শুধু অতীতেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
তো বস্, আপনি কী বলেন?"
সে আমার দিকে, প্রশ্ন নিয়ে তাকালো। তারপর ব্যাগ থেকে যন্ত্রটা বের করলো, দেখতে অনেকটা ক্যামেরার মতো। জিনিষটা কোলের উপর রেখে সে আরো কি কি সব যেন বলতে লাগলো।
"এই যে দেখুন; এই আলোর ঢেউটা তার ফিল্ডের সব অণু পরমাণুর উপর প্রভাব খাটিয়ে তাদের কে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। সেই হিসাবে যদি বলি টাইম ট্রাভেল; তাহলে ভুল হবে।
কিন্তু বস, আপনি তো দেখলেনই, আমি কিন্তু কখনোই সেরকম কিছু বলিনি, তাই না?"
আমি তখন ঝড়ের বেগে চিন্তা করছিলাম কি করা যায়। কারণ- একটা অদ্ভুত ঘরঘর শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম পাশের রুম থেকে; যেখানে নির্বোধ দুইটার লাশ ফেলে রেখেছি। শব্দটা এমন গা শিউরানো- মনে হচ্ছিল কোন মৃত্যু পথযাত্রী শরীরের শেষ সঞ্চিত শক্তি দিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে!
ধ্যাত!! বেজন্মাগুলো!!
তাহলে, ফ্রেড নিশ্চই মরেনি!
আমি সেলসম্যানটাকে বল্লাম একটু অপেক্ষা করতে। তারপর পাশের রুমে ঢুকে দরজা ভিড়িয়ে দিলাম; এই ব্যাটা না আবার কিছু টের পেয়ে যায়!
ঠিক যা ভেবেছি!
ফ্রেড কুত্তাটা হাতের উপর ভর দিয়ে উবু হয়ে বসার চেষ্টা করছে।
তাকে খুব একটা সময় দিলাম না।
চুলের মুঠি ধরে মাথাটা প্রচন্ড জোরে ঠুকে দিলাম মেঝের সাথে; এই বার নিশ্চিত হয়ে দেখে নিলাম মরেছে কিনা! হঠাৎ একটা তীব্র আর্তনাদ শুনে পুরা জমে গেলাম!
সেলসম্যান ব্যাটা আমার পিছু পিছু এই ঘরে এসে ঢুকেছে (দরজা লক করা হয়নি!!) সে দরজার কাছে দাড়ানো!
চেহারায় প্রবল আতংক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! যেন কোন ভয়ের সিনেমা দেখছে!!
আমি খুবই ক্ষীপ্র! নিজের প্রশংসা না করে পারছি না!
ছুরিটা মাটিতেই পরা ছিল। নিয়েই, সরাসরি তার হৃদপিন্ড বরাবর চালিয়ে দিলাম- সর্বশক্তিতে!
সে টলতে টলতে পিছু সরে গেলো। পিছুতে গিয়ে সোফায় বাড়ি খেলো! বুকের ভেতর থেকে ছুরিটা বের করার চেষ্টা করতে করতেই উল্টে গিয়ে পড়লো সোফার উপরে- যেখানে তার আজব যন্ত্রটা রাখা ছিল!
মনে হয় ডেমোনেস্ট্রেশনের জন্য মেশিনটায় কোন একটা সেটিং করে রেখেছিলো! পড়ে গিয়ে সেটাই এ্যাকটিভেট হয়ে গেলো!
হঠাৎ একটা নীলাভ আলো তীব্র বেগে বের হয়ে আসলো যন্ত্রটা থেকে!
প্রথমে আমাকে, পরমুহূর্তে পুরো রুমটাকে ভাসিয়ে দিলো তীব্র আলোকচ্ছটায়!
তারপর হঠাৎ সব উধাও!!
নিভে গেছে সব আলো!!
কে যেন পিছনের দরজা খুলে ঘরে ঢুকলো!
ফ্রেড!! জীবিত আর পুরাপুরি সুস্থ!!!!
সে প্রথমে আমার দিকে তাকালো, তারপর পুরো দৃশ্যটা বুঝে নেয়ার চেষ্টা করলো।
একটা মৃতদেহ পরে আছে সোফায়!!!
সে কুৎসিত একটা গালি দিয়ে উঠলো! তারপর চিৎকার করে ডাক দিল!
"মন্টানা, এদিকে আসো! ফার্নান্দো আবার ক্ষ্যাপা হয়ে গেছে!! একজনকে খুন করেছে!"
এবার বিগ মন্টানা এসে ঢুকলো! পুরপুরি বিস্মিত!
আমি কিছু করে উঠার আগেই তারা আমাকে বেঁধে ফেললো! তারপর রুমে ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে দিল!
ওরা ভাবছে আমি বুঝি পাগল!
আমাকে শিকল পড়িয়ে রাখলো!!?
রুমে ঢুকিয়ে তালা মেরে দিল!?
নির্বোধের দল! কতবড় স্পর্ধা!!
বিশ্বাস করুন! আমি মোটেই পাগল না! আমি শুধু পাগলের অভিনয় করছি!
আমি জিনিষ পত্র ছুড়ে ফেলে দিয়ে ভাঙি, যাতে তারা আমাকে পাগল মনে করে! আমি চাইনা ওরা বুঝে যাক, আমি পাগল নই!
একদিন আমি ওদেরকে শিক্ষা দিয়ে ছাড়বোই; কিভাবে একজন ভদ্রলোকের সাথে আচরণ করতে হয়!!
এইমাত্র, অল্প একটু আগেই; আমি একটা পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছি............।
(সমাপ্ত)
(এনামুল আজিম রানা'র মূল ইংরেজী থেকে অনুদিত)
When I was musing about those blissful moments something broke my concentration. I was irritated, then, I found out it was the voice of the salesman. He was telling me something, “ Money is no matter. I sell cheap. You see. But as I’ve told you my device can recreate past only. So mister, what do u say?
He looked at me inquireingly. Then he took out his device. Like a camera from his bag. Setting on his lap, he tried to explain more.
“You see, this ray interferes with the molecules on its field and sends them back to their past, so in a way I’m wrong to say its time travelling, but mister, you know, I’ve never said it, did i?”
I was thinking hard what I could do, as some sort of strange gurgling noise came from the room where those fools are lying dead and that was a strange sound indeed, like the coughing of a man, a man trying to fight death! Damn, the bastard! Fred didn’t die, then! I told the sales man to wait for a moment and went to the room. I close the door behind so that the salesman might not found out what I was doing.
Indeed Fred, the son of a bitch, was sitting with his hands on the floor. I did not give him much time though. I just cracked his head with the floor and this time I made it sure that he remains dead. But then a strange cry froze me. The salesman had followed me had pushed opened the door. He was standing there, looking at me as he was seeing some sort of horror movie! I was, quick, man, I was quick.
The knife was on the floor. I took it and pushed it through his heart with all the might that I had. He staggered back, until he could no longer go back, for there was the sofa on which he was sitting and as he was trying to pull put the knife, he fall over the sofa on his damned device. He had made some arrangement on the device before, his fall on the device activated it, something happened, a ray shot out engulfed me and the rooms behind me, then it was no more.
Someone opened the door behind me, and it was Fred; alive and well! He looked at me and the scene before me, a man lying on the sofa- dead. He cursed hard, then shouted, “ Monata, come here. Farnando had gone barsak; he had killed a man…..”
And big Montana came out then, with a started face. Then before I could do anything they got me tied and locked in the room.
They think I am mad! They chained me and had locked me on a room. Those fools! How dare they? I’m no mad, believe me! I only act mad, you see. And I break things so they consider me mad, but I do not let them know I’m no mad. I will teach those fools one day, how to treat a decent man…….
And I had broken a camera a little while ago.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।