আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাবিঃ প্রেক্ষাপট- "পোষ্য কোটা"

সুন্দর স্বপ্ন ।

"কোটা" প্রথা মানেই কাউকে অযাচিত সুযোগ দেয়া, আর সেই সাথে অপর একজনকে তার ন্যায় সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা । এটা অন্যায় । কোন যুক্তিতেই একে সমর্থন করা যায় না । কিন্তু নানা যুক্তি এবং কৌশল অবলম্বন করে হীনস্বার্থ চরিতার্থের উদ্দেশ্যে একে ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদের দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে ।

মানবিক দিক, সংখ্যালঘু ইত্যাকার বিশেষণ ব্যবহার করে একে করা হচ্ছে যুক্তিগাহ্য । কিন্তু বাস্তবতা ঐ হীনস্বার্থই । আর ব্যাপারটি যদি মেধার সাথে সংযুক্ত থাকে, তবে তা আরও ভয়ানক । কারণ, কোন জাতীর মেধাবীদের বঞ্চিত করে যদি মেধাহীনরা জায়গা দখল করে নেয়, তবে সে জাতীকে এর জন্য ভবিষ্যতে চরম মূল্য দিতে হবে । আমি এই মেধাবীদের "কোটা" প্রথার বেড়াজালে ফেলে বঞ্চিত করার ঘোর বিরোধী ।

কারণ মেধার বিকল্প মেধাই । অন্য কিছু এর বিকল্প হ'তে পারে না । দেশের একমাত্র আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাবিতে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) "পোষ্য কোটা" নামের এক "কোটা" পদ্ধতি চালু রয়েছে । এই "পোষ্য কোটা" মেধাহীনদের সুযোগ করে দিচ্ছে মেধাবীদের বঞ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির । কি আশ্চর্য ! কি অমানবিক ! এ যেন পূনর্বাসন কেন্দ্র ।

জাবিতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা কর্মচারীদের সন্তান ও ভাইবোন এই "পোষ্য কোটা"র আওতায় পড়ে । মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই পোষ্যরা মেধাহীন হলেও নামমাত্র নম্বর তথা "পাশমার্ক" পেলেই ভর্তি হ'তে পারে জাবির বিভিন্ন বিভাগে । কিন্তু তার চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশী নম্বর পেয়েও মেধাবীরা ভর্তি হ'তে পারছে না কোন বিভাগে । "পোষ্য কোটা"র ফাঁয়দা নিয়ে মেধাবীদের বঞ্চিত করে মেধাহীনরা ভর্তি হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে । পরবর্তীতে এ মেধাহীনদের অধিকাংশই পড়াশুনার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ।

শুরু করে নানা প্রকার অরাজগতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাম নিয়ে । জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক কর্মকান্ড তথা রাজনীতিতে । মারামারি, চাঁদাবাজি এদের বিকল্প আয়ের উৎস । ব্যতিক্রম কিছু রয়েছে, তবে তা অতি নগণ্য । এ "পোষ্য কোঠা"র বিরুদ্ধে কেউ কেউ কিছু কথা বলেছে ইতিপূর্বে ।

তবে তা তেমন জোড়ালো ভাবে না । আবার অনেক শিক্ষকই নাকি এ "পোষ্য কোঠা"র বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করে যখন তাদের সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকোয় তখন । হায় ! কি পরিহাস ! এরাই নাকি জাতির বিবেক ! এ অন্যায় অমানবিক প্রথার আশু বিলোপ চাই । আশুন সোচ্চার হই ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।