বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
ইসলামাবাদে কিছুদিন আগে শুরু হওয়া সাফ শুটিং-এ বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া শুটার আসিফ হোসেন খান ১০মিটার এয়ার রাইফেল এর ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছেন--- এই খবরটি এখন অনেক পুরোনো। এই স্বর্ণজয় হয়তো বড় কোন ঘটনা নয়, কারণ আসিফের তেমন কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলনা এই ইভেন্টে। তার একসময়কার প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের অভিনব বিন্দ্রা এখন অলিম্পিকে স্বর্ণপদকধারী, এইসব ছোটখাট প্রতিযোগিতায় তার অংশ নেয়ার কথাও না। তারপরও আসিফের এই স্বর্ণ জয় কিছুটা হলেও তাৎপর্যপূর্ণ।
কারণ সম্ভবত ২০০৪ সালের পর এই প্রথম আসিফ কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেলেন। ২০০০ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে কমনওয়েলথ শুটিং এ বিন্দ্রা কে পেছনে ফেলে স্বর্ণ জেতার পর আসিফকে নিয়ে অনেকেই অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তখন কি কেউ ভাবতে পেরছিল দেশের এই কৃতী সন্তানকে আমাদেরই দেশের পুলিশবাহিনীর হাতে মার খেতে হবে? পুলিশের মার খেয়ে আহত না হলে হয়ত আজ বিন্দ্রার জায়গায় আসিফকে আমরা দেখতে পেতাম। সেই ঘটনার পর সবাই ধরে নিয়েছিলেন যে আসিফের ক্যারিয়ার শেষ, আসিফ নিজেও শুটিং ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছিলেন। গত অলিম্পিকে অংশ নেয়ার যোগ্যতাও তিনি অর্জন করতে পারেন নি, তার পারফরমেন্স এতই নিচে নেমে গিয়েছিল।
অবশেষে এই সাফ শুটিং এ সোনা জেতার পর হয়তো কর্তৃপক্ষের খানিকটা টনক নড়লেও নড়তে পারে আসিফের ব্যাপারে সর্বোচ্চ যত্নবান হওয়ার।
দেখা যাক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছু করে কিনা............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।