"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
হযরত দাউদ (আঃ) বিশাল সাম্রাজ্যের বাদশাহ হয়েও রাজভান্ডার থেকে সামান্য অর্থ নিতেন না। তিনি নিজে পরিশ্রম করে আল্লাহর উপর ভরসা করে রিজিক সংগ্রহ করতেন । রাসূল (সঃ) বলেছেন, 'কোনো মানুষের স্বীয় পরিশ্রমের উপার্জিত রিজিক হলো সর্বোউত্তম রিজিক । নিশ্চয় আল্লাহর নবী দাউদ (আঃ) স্বীয় পরিশ্রম দিয়ে রিজিক উপার্জন করতেন । '
সূরা সাবার ১০৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, " আমি তোমাদের কাছে ঐ কাজের কোন বিনিময় চাচ্ছি না ।
আমার বিনিময় তো আল্লাহপাকের নিকট রয়েছে । " তিনি জনগনের সম্পদ থেকে দ্বীন ইসলাম প্রচার ও বাদশাহীর জন্য কোন বিনিময় গ্রহণ করেন নি । বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারী আল্লামা ইবনে হাজর (রহঃ) বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য বায়তুল মাল থেকে নিজ পরিবারের খরচাদি গ্রহণ করা জায়েজ । তবে গ্রহণ না করাই উত্তম । খলীফাতুর রসূল সিদ্দিকে আকবর আবু বকর (রঃ) খলীফা থাকাকালীন বায়তুল মাল থেকে যৎসামান্য ভাতা গ্রহন করে ছিলেন ।
ওফাতের পূর্বক্ষণে তা আবার বায়তুল মালে ফিরিয়ে দেন ।
দাউদ (আঃ) আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করেন, যাতে আল্লাহ তাকে সেই মর্যাদা দান করেন, যাতে তাকে বায়তুল মাল থেকে কিছু নিতে না হয় । আল্লাহপাক তার প্রার্থনা মন্জুর করেন । আল্লাহ লোহাকে উনার জন্য নরম করে দেন, যাতে তিনি এটাকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে হাতিয়ার ও বর্ম প্রস্তত করতে পারেন । সূরা সাবার ১০-১১ আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, " আমি দাউদের জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছি এবং তাকে বলেছি প্রশস্ত বর্ম তৈরী কর , কড়া সমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর ।
আর তোমরা নেক আমল করতে থাকো । নিশ্চয়ই আমি তোমাদের আমল সমূহ প্রত্যক্ষ করছি । "
বর্ণিত আছে দাউদ (আঃ) প্রায়ই ছদ্মবেশে হাট-বাজার ও লোকালয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, দাউদ কেমন লোক ? সবাই তাকে খুব ভালো , ন্যায়পরায়ণ , ইনসাফ ও সুবিচারের প্রতীক বলতেন । এক সময় আল্লাহপাক মানব বেশে পাঠালেন ফেরেশ্তা । তাদেরই তিনি জিজ্ঞেস করলেন ।
তারাও একই রুপ মন্তব্য করলেন । তবে বললেন, যদি তিনি বায়তুল মাল থেকে ভাতা না নিতেন তবে আরো কামেল হতে পারতেন । তাৎক্ষণিকভাবে হযরত দাউদ (আঃ) সেজদায় পড়ে কাদঁতে থাকেন । দুই হাত তুলে আসমানের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন. ইয়া বারে ইলাহি । আপনি আমাকে এমন কোন কাজ শিক্ষা দিন , যাতে আমি পরিশ্রম করে আমার অর্থ উপার্জন করতে পারি ।
আল্লাহপাক তাৎক্ষনিকভাবে দোয়া কবুল করেন এবং লোহবর্ম তৈরীর কাজ শিখিয়ে দেন ।
এখানে উল্লেখ্য যে ,কোন নবী রাসূলই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা বা দোয়া ছাড়া কোন মন্জুরী পাননি । এ জন্যই রাসূল (দঃ) বলেন, 'দোয়াই সকল ইবাদতের সারাংশ । '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।