"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
বণী ইসরাঈলীরা ফিলিস্তিন জয় করলেও এলাকাবাসীর উপর নিপীড়ন চালালো না । বাদশাহ তালুত আগেই ঘোষনা দিয়েছিলেন যেই বীর জালেম বাদশাহ জালুতকে হত্যা করতে সক্ষম হবে, তাকে দেয়া হবে এই ফিলিস্তিনের অংশ সহ আমার কন্যাকে অর্থাৎ রাজ্যের একাংশ সহ সহ বাদশাহর জামাতা । সেভাবেই ওয়াদা রক্ষা করে বাদশাহ দাউদ (আঃ)-কে অর্ধেক রাজত্ব ও কন্যার সাথে বিয়ে দিলেন । বাইবেল ও পুরানা নিয়মে দাউদ (আঃ) -কে বলা হয়েছে সন্ট লুইস ডেভিড । দাউদ (আঃ) এর মাজার এখনও আছে যা ইহুদীরা সংরক্ষণ করে রেখেছে ।
সে মাজারের গেটে এখনও লেখা আছে 'কিং সন্ট ডেভিড' । নীল গিলাফে ঢাকা কম করে ১৮ ফুট দীর্ঘ কবরটি । এটা জেরুজালেমের শহরতলীতে । বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের নীচে হযরত সোলাইমান (আঃ) এর মাজার । সেখানেও ইহুদীরা নিরাপত্তা প্রাচীর তুলে রেখেছে ।
হযরত দাউদ (আঃ) হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর পুত্র ইয়াহুদার অধঃস্তন বংশধর । তার পিতার নাম ঈশা । অনেক পুত্র সন্তানের মধ্যে দাউদ (আঃ) ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান । তিনি লম্বা ছিলেন না । বরং সাধারন উচ্চতার চেয়েও বেটেঁ ছিলেন ।
চোখ ছিলো নীলাভ । দাউদ (আঃ) শুধু নবী ছিলেন না, তিনি আল্লাহর রসূলও ছিলেন । তার উপর একশ পন্চাশ সূরা সম্বলিত 'যাবুর' নামক আসমানী কিতাব নাজিল হয় । যে কোন সিন্ধান্ত দানের জন্য আল্লাহপাক তাকে ওহী পাঠাতেন ।
আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেন, "আল্লাহ দাউদকে বাদশাহী এবং নবুয়ত দান করলেন এবং তিনি যা চেয়েছেন তা শিক্ষা দিয়েছেন ।
' সূরা বাকারা । 'হে দাউদ ! আমি আপনাকে পৃথিবীর বুকে খলীফা নির্ধারন করেছি । ' (সূরা -সোয়াদ ) । 'আমি (দাউদ ও সুলায়মানকে) প্রত্যেককে রাজত্ব ও জ্ঞান দান করেছি । (সূরা -আম্বিয়া ) ।
ফিলিস্তিনের একাংশের শাসক থেকে তিনি চারদিকে দ্বীনের দাওয়াত ও সামরিক অভিযান চালাতে থাকেন । তার বীরত্ব, হেকমত, চিন্তাভাবনা, পরিকল্পণা প্রয়োগের কারণে অল্পদিনের মধ্যে তিনি সিরিয়া, ইরাক, জর্দান, কুয়েত, ফিলিস্তিন দখলে নিয়ে আসেন । ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূল থেকে ফোরাত আর শাত-ইল-আরব পর্যন্ত বিশাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন । তিনি ফয়সালা দিতেন আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত তথ্য অনুযায়ী । ওহী নাজিলের কারণে তার কাছে কোন মিথ্যা টিকতো না ।
আল্লাহপাক সূরা সোয়াদ এ বলেন, 'আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছি এবং তাকে নবুয়ত ও সঠিক ফয়সালা করার যোগ্যতা দিয়েছি । ' যাবুর কিতাবের ১৫০ সূরার প্রতিটি ছিলো মহান আল্লাহ পাকের প্রশংসা ও দোয়ায় ভরপুর । এতে হারাম - হালাল বা শরীয়তী কোন বিধান ছিলো না । ফলে এসব বিধান মানা হতো তৈারাত থেকে । হযরত দাউদ (আঃ) এর কন্ঠ ছিলো সূ-মধুর ।
রোজ কেয়ামতের মাঠে তিনি সূরা আর-রহমান পাঠ করবেন । মধুর সূরে তিনি যখন যাবুর তেলাওয়াত করতেন, মানুষই শুধু নয় জ্বীন, পশু-পাখি পর্যন্ত চৈতন্য হারিয়ে ফেলতো । হযরত মুসা আশআরীর সুমিষ্ট কন্ঠস্বরে কুরআন পাঠ শুনে হুজুর পাক (দঃ) বলতেন, 'হে আবু মুসা ! আল্লাহপাক তোমাকে দাউদী সুর দান করেছেন । ' যাবুরে হুজুরে পাক (সঃ) এর রাসূল হিসেবে তসরিফ আনয়নের কথা বলা হয়েছে । তৈারাত, যাবুর ও ইন্জিল সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা আছে যে, এগুলো আসমানী কিতাব ।
আবার সূরা বাকারায় আল্লাহপাক বলেন, "কিছু ইহুদী এমনও রয়েছেন যে, তারা তোরাত, যাবুর ও ইন্জিলের শব্দসমূহ এদের প্রকৃত অবস্হা থেকে পরিবর্তন করে দেয় । " বণী ইসরাঈলীরা যাবুর কিতাব পরিবর্তন করে তার সূরা সমূহের নাম রাখে 'মযবুর' ।
বোখারী শরীফে আছে যাবুর কিতাব হযরত দাউদ (আঃ) অতিদ্রুত তেলাওয়াত করতে পারতেন । এমনকি তিনি ঘোড়ার পিঠের গদী বাধতে যে সময় লাগতো , এ সময়র মধ্যেই যবুর তেলাওয়াত করে শেষ করতে পারতেন ।
আল্লাহপাক পাহাড়-পর্বত ও পশু-পাখিকে হযরত দাউদ (আঃ) এর অনুগত করে দিয়েছিলেন ।
তারা তার সাথে তসবিহ পাঠ করতো । বৃক্ষ, পাথর ও শিলা খন্ড থেকেও তাসবিহ ধ্বনিত হতো । সূরা আম্বিয়ার ৭১ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক এই বর্ণনা দিয়েছেন । 'সাবা' সূরায় বর্ণনা করা হয়, "এবং আমি দাউদকে আমার তরফ থেকে মর্যাদা দিয়েছি । আর আমি আদেশ করেছি যে, হে পাহাড় ও পক্ষীকূল ! তোমরা দাউদের সাথে মিলে তাসবিহ পাঠ ও পবিত্রতা বর্ণনা কর ।
"
দেখুন এখানে
দেখুন এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।