৮৬ জন ¯বউ রাখার দায়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ বেলোকে (৮৪) সম্প্রতি নাইজেরিয়ার আদালত জেল থেকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। মধ্য নাইজারের মোহাম্মদ বেলোকে ৮৬ জন স্ত্রী রাখার দায়ে স্থানীয় প্রধান ও মুসলিম ধর্মীয় নেতারা অভিযুক্ত করেন এবং তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়।
মুসলিম ধর্মীয় নেতারা বলেন, একজন সক্ষম মুসলিম পুরুষ সর্বোচ্চ ৪ জন স্ত্রী রাখতে পারবেন। কিন্তু তিনি ৮৬ জন নারীকে বিয়ে করেছেন। যা ধর্মীয় বিধান পরিপন্থি।
এবং তারা মোহাম্মদ বেলোকে শরীয়া মোতাবেক ৪ জন স্ত্রী রেখে বাকি স্ত্রীদের এ বছরের ৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে তালাক দিতে বলে। কিন্তু বেলো স্থানীয় ধর্মগুরুদের নির্দেশ মতো তালাক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালত বেলোকে শর্তহীন মুক্তি দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাইজার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা এবং এখানে ৮ বছর পূর্বে শরীয়া আইন বলবৎ করা হয়। বেলো নাইজারের বিদা শহরে তার স্ত্রীদের (৮৬) ও ১৭০ জন সন্তানসহ বসবাস করছিলেন।
জেলে যাওয়ার পূর্বে মোহাম্মদ বেলো নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজার ফেডারেল উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বেলো, অভিযোগ করেন স্থানীয় ধর্মগুরুরা তার মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। তিনি বলেন, এটা তার অধিকার এবং সে যদি ৮৬ জন স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ করতে পারে তবে সমস্যা কোথায়। তিনি বলেন, ধর্মীয় নেতারা তাকে স্ত্রীদের ডিভোর্স করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। নাইজেরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিচারের জন্য আবেদন করেছেন এবং মামলার কার্যক্রম ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বেলো বলেন, এই ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশের পর তাকে হত্যার জন্য একাধিকবার হুমকি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার জনবহুল দেশের মধ্যে নাইজেরিয়া অন্যতম। এদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ। যেখানে অধিকাংশ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে এবং না খেয়ে থাকে। সম্প্রতি সেখানে এই ধরনের ঘটনা পুরো আফ্রিকা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্র: সাপ্তাহিক সচিত্র সময়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।