সাম্প্রতি বাজারে টিনজাত পন্য দুধ নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের গবেষনা রিপোর্টে বিশ্বের খ্যাতিমান আটটি ব্রান্ডের দুধে রাসায়নিক মেলামিন পাওয়া গেছে। মেলামিন একটি
রাসায়নিক উপাদান যা ধীরে ধীরে মানব দেহের অন্যতম অঙ্গ কিডনির কার্যকারীতা নষ্ট করে দেয়। এটা অন্য একটা রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতে কিডনিতে স্ফটিক বা পাথর তৈরী করে। ফলে মানুষের লিকুইড বর্জ্য বাধা প্রাপ্ত হয় এবং রক্তে শর্করা পৌছাতে ব্যর্থ হয় কিডনি।
এটা বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে জানলাম এনটিভি ও ডিটিভির এক অনুষ্ঠান থেকে।
দুধের উপর সবচেয়ে বেশী নির্ভরশীল হচ্ছে শিশুরা । টিনজাত দুধ খাওয়াতে মায়েরা একটা আভিজাত্য অনুভব করেন। অন্যদিকে কর্মজীবি পরিবারের শিশুদের বেড়ে উঠার একমাত্র উপায় বা শিশু খাদ্য হচ্ছে
টিনজাত দুধ।
চিনের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান দুধ উৎপাদনে জীবননাশকারী মেলামিন এর অভিযোগে বন্ধ করে দেয় সে দেশের সরকার।
জনস্বার্থে সরকার এটা করেছে তাৎক্ষনিকভাবে । আমাদের দেশে প্রথমে সরকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই ঢাবির রিপোর্টটি গ্রহন করেনি। পরে কোট নির্দেশ দিয়েছে পরীক্ষা করে রিপোর্ট আদালতে তা পেশ করতে।
পরে জাতিসংঘের ফাও ও অন্যান্য আন্তজার্তিক প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়নে
আদালতে রিপোর্ট পেশের পরে আদালত নিদের্শ দিয়েছে আটটি ব্যান্ডের পন্য বাজারজাত নিষিদ্ধ করতে ।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে চিজ করে পন্যগুলো।
সাধারন মানুষের মধ্যে স্বত্বি নেমে আসে।
তবে খাদ্যবিষয়ক একটি বড় শিল্প খাত হুমকির মুখে পড়েছে। জনস্বার্থে এই সাময়িক ক্ষতি মেনে নিতেই হবে।
সরকার চেষ্ঠা করছে ডেইরী ফার্মের উৎপাদন বাড়িয়ে এই খাতকে স্বাভাবিক পর্যায় রাখতে।
দুধে ফরমালিন কিংবা মেলামিন কেন মিশানো হয়?দুধ একটি পচনশীল পন্য ।
এর চাহিদাও বাজার ব্যাপক। মুনাফা লোভীরা ঝুকি নিয়ে কোথাও ইনভেস্ট করতে চায় না তাই তারা কম টাকায় পন্য উৎপাদন করে বেশী টাকায় নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলোতে ছেড়ে দেয়।
গ্রামাঞ্চলের দুধ বিক্রেতারা দুধে ফরমালিন মিশিয়ে থাকেন দুধ পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। তারা এটা বলে থাকেন এক ফোটা ওষুধ। এটা দিলে দুধ পচে না।
মাছেও ফরমালিন মেশানো হয়।
প্রাসঙ্গিকভাবে একটা কথা বলা যায়,নতুন কাপড় কেনার পর এটা দুয়ে পড়া উচিত কারন। কারন কাপড়টি বাজারজাত করার আগে এতে ফরমালিন দেওয়া হয় যাতে পোকামাকড় কাপড়টি না কাটে।
এটা না দুয়ে পড়লে স্কিনের ক্ষতি হতে পারে।
এবার চিন্তা করুন তো ফরমালিন খেলে কি হতে পারে।
আর ল্যাবের পরীক্ষায় দুধের পুষ্টিমান ঠিক রাখার জন্য মেলামিন মিশানো হয়। যাতে সহজেই কাস্টম থেকে পন্য গুলো রিলিজ পাওয়া যায়।
আমার যত চিন্তা দুধ চা রং চা নিয়ে
বাজারে দুধ চা তৈরীতে যে ব্রান্ডের টিনজাত পন্য পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে
দুধ চা খাওয়া কি আশংকামুক্ত।
দুধ চা এমনিতেই ক্ষতিকর। চায়ের রাসায়নিক উপাদানটির নাম হল ট্যানিন।
আর দুধের রাসায়নিক উপাদান হল কেজিন। এই দুইটা মিলে
নতুন একটা রাসায়নিক যৗগ গঠন করে। যা স্বার্স্থের জন্য উপকারী নয়।
এরপর চিন্তা করুন মেলামিন আর ফরমালিন এর কথা।
চায়ের ট্যানিন উপাদানটি ঘুমভাব, ঠান্ডা জড়তা কাটাতে সাহায্য করে।
কিন্তু ট্যানিন, কেজিন, ম্যালামিন আর ফরমালিন একটি জীবস্বস্তার ভিতর থেকে নষ্ট করে ফেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা।
এখন নিজের অস্থিত্ব নিয়েই বিপাকে আছি।
কিভাবে যে চা খাওয়ার অভ্যাসটা ছাড়ব। চা খাবি তো দিনে একবার দুইবার খা। গ্লাস গ্লাস চা গিলাও তো বিপদ।
স্বিধান্তহীনতায় । আবার ভাবি বৃটিশরা কি শিখিয়ে গেল লাল পানি খাওয়ার অভ্যাসটা। সাথে একটু লেবু হলে জমে ভালো।
তাহলে শিকড়েই যেতে হচ্ছে- লালা চা আর গাইয়ের মেলামিন মুক্ত দুধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।