আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগারদের টেবিল বিহীন গোল টেবিল বৈঠক।

আমি একটা কান্ড জ্ঞানহীন, মূর্খ, অশিক্ষিত, আনস্মার্ট, আনকালচার্ড, অভদ্র, বোকা, বলদ, গাধা, আহাম্মক, বদের হাড্ডি।

এইতো কিছুদিন আগে নিজের ব্যক্তিগত কারনে রিয়াদ যাওয়া পরেছিলো। রিয়াদ যাওয়ার আগেই সবার সাথে যোগাযোগ করে গিয়েছিলাম। টানা ৮ ঘন্টা বাসে চরে বিয়াদ পৈছলাম সকাল ৯টার দিকে। পথে ২০-৩০ মিনিরের ২টা ব্রেক থাকায় কিছুটা রক্ষা পাইছি।

নাইলে আধা মরার যায়গায় পুরাই মারা যাইতাম । রিয়াদে সা'ইন ব্লগের কজন ব্লগার আছেন। একটা আড্ডা দেয়ার ইচ্ছে ছিলো দিয়ে আসলাম একটা আড্ডা আমার কাজ শেষ হতে প্রায় বিকেল ৩টা বেজে যায় এর মধ্যে ২ বার নিহন ফোনে খোজ খবর নেয় কোথায় আছি কি করতেছি। দুপুরে ক্ষিদা লাগে প্রচুর আমার ফ্রেন্ড বাবুরে বল্লাম ভাই আর পারিনা সকলে নাস্তাও ঠিক মত করা হ্য় নাই বাবু ভাই কইলো তাইলে চলেন আগে খাইয়া নেই । গেলাম রিয়াদের হোটেল শেরাটনের ঐদিকের একটা হোটেলে খাইলাম দুপুরের খাওয়া।

নিহন রুবেল ভাই নাজিরুল ভাই ওনাদের সবাইকে বলে বেরাইছি হোটেল শেরাটনে খাইছি । আসলে শেরাটনে খাইনাই এইটা বললেকি আর আমার প্রেস্টিস থাকে নাকি আপনারা আবার ওনাদের কে বইলা দিয়েন না এই কাহিনী। খাওয়া দাওয়া কাজ কর্ম শেষ করে গেলাম মার্কেট করতে ইচ্ছা ছিলো কয়টা জিন্স পেন্ট কিনব। ঐ সময় মার্কেটে পৌছেই রুবেল ভাইরে দিলাম ফোন। এই খানে একটা কথা না বল্লেই নয়।

এই আমাগো রুবেল ভাইয়ের মোবাইল ফোন সব সময় রিংটোন অফ করা থাকে। ওনারে এক কলে কেউ পাবেন এই আশা করে কেউ কল করলে আপনাকে বলব ওনাকে কল না করার জন্য আর কল যদি করেই থাকেন তাইলে বইসা অপেক্ষা করেন উনি মোবাইল চেক করে আপনার নাম্বার পরিচিত হইলে উনি আপনাকে কল ব্যাক করবেন । তো যা বলছিলাম... রুবেল ভাই আমাকে একটু পরে কল ব্যাক করলেন বল্লাম আমি ওমুক মার্কেটের ২য় তালার ৩নং দোকানে আছি। রুবেল ভাই আসলো ঐ সময় আমি নতুন প্যন্ট পরে ট্রাই করে দেখছিলাম কেমন হইলো সব ঠিক আছে কিনা। আসা মাত্রই আমাকে জিজ্ঞাস করে আপনিইতো রাহী... এমন করে কইলো যেন আমারে অনেক দিন পরে দেখছে আমারে উনি আগে থেকেই চিনে ।

সাথে ছিলো নিহন আর রুবেল ভাইয়ের এক ফ্রেন্ড আসাদ (নামটা আমার ঠিক মনে নাই আমার ভুলও হইতে পারে) পরিচয় পর্ব শেষ। ২টা প্যন্ট কিনা সবাই বের হইলাম দোকান থেকে। নিচে নেমে বাবু ভাইকে ছেরে দিলাম বেচারা সাড়াটা দিন আমার জন্য খেটেছে বাসায় গিয়ে একটু রেস্ট নেক। রুবেল ভাই নাস্তা করানের জন্য নিয়ে গেলেন একটা হোটেলে। একটা করে সিন্গারা খাইলাম ভালই লাগলো আরো একটা করে দিতে কইলাম কইলো শেষ হইয়া গেছে পরে একটু ওয়েট করলাম আবার বানাইয়া দিলো গরম গরম আরো একটা সাবার করলাম।

এর মধ্যে টুকটাক গপসপ চলতে থাকলো। কয়েক বার ফোন করলাম নাজিরুল ভাইরে উনি কাজ শেষ করে এইতো আসতেছি আসছি করতে লাগলো। রুবেল ভাইরে কইলাম ভাই গ্রাম থেইক্কা আসছি পেন্ট গুলা তেমন ভালো লাগে নাই আপনাগো এই খানে আরো ভালো কোন জিন্স পেন্টের দোকান নাই ? উনি কইলো চলেন তাইলে সিটি ম্যাক্সে গেলাম ওনার লগে ১০ মিনিটের হাটা পথ। পুরা সিটি ম্যাক্স ঘুরে একটা পেন্ট পছন্দ হইলো তার আবার সাইজ ৩২ নাই মনে মনে ২ডা গাইল পারলাম শালার এইটাতো দেখি আমাগো প্রবর্তক মোরের ওয়েস্টেস থেকে ও খারাপ অবস্থা । ঐখান থেকে বের হইলাম চা খামু রুবেল ভাই পপকর্ন নিয়া আসলো।

পপকর্নের লগে চা মন্দনা এর একটু আগে নিহনরে ছাইরা দিলাম ওর কাজ ছিলো তাই নিহন চলে গেলো। আসলো আমাগো নাজিরুল হক ভাই ফোন দিলো। গেলাম রিয়াদে বাংঙ্গালীদের প্রান কেন্দ্র বলে পরিচিত ভাতা মার্কেটে। আরে একি আমিতো বাংলাদেশের কাঁচা বাজারে চলে আসছি। পাইলাম নাজিরুল ভাই সাথে ওনার এক বন্ধু সহ।

দুঃখের বিষয় হইলো আঃরাঃশি ভাইয়ের লগে আড্ডা দেয়া হইলো না টেবিল বিহীন গোল টেবিল বৈঠক চলতে থাকলো ঘন্টা দেরেক। আলাপ হইলো আনেক গুলা বিষয় নিয়া। তর্ক বিতর্ক চলল কিন্তু কোন কুলকিনারা হইলোনা কোন বিষয়েরই তাই টেবিল বিহীন গোল টেবিল বৈঠক ঐ খানেই মুলতবি করার ঘোষনা দেয়া হইলো। পরের বারে আবার বসে বিষয় গুলার মিটমাট করার ইচ্ছা আছে আজকের মত আল্লাহ্ হাফেয। আমি--------------------রুবেল শাহ্---------------নিহন আমি-----------------রুবেল শাহ্-------------নাজিরুল হক


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।