আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর কমিয়ে ‘জাল’ বাড়ানোর সুপারিশ

কমিটি সুপারিশে বলেছে, ব্যংক, বীমাসহ অন্যান্য খাতের কর হার কমিয়ে এনে তার বদলে ‘কর জাল’ বাড়ানো উচিৎ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির ৫৭তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।  
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “বর্তমানে ১৭টি খাত কর অবকাশ সুবিধা পাচ্ছে। উৎপাদনশীল এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এমন সব খাতে এই সুবিধা দেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। ”
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়ার সময় ১ হাজার ২০৬টি প্রতিষ্ঠান কর অবকাশ সুবিধার আওতায় ছিল।

বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯টিতে। বিনিয়োগ বাড়াতে কমিটি এই সুবিধার আওতা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
“কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ”
গত ১৩ মে বাজেট উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জানান, ২০১৩ সালে যেসব খাতের কর অবকাশ সুবিধা শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা আরো দুবছর এই সুবিধা পাবে।
কর হার কমানো প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, “সিঙ্গাপুরে আয় করের সর্বোচ্চ সীমা ১৭ শতাংশ।

অথচ আমরা ২৫ শতাংশ দিচ্ছি। বাংলাদেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ৪৮ লাখ। আর কর দেয় ২০ লাখ ৫৯ হাজার। করের আওতা কমিয়ে যদি জাল বিস্তৃত করা যায় তাহলে কর আহরণের পরিমাণ বাড়বে। হার কমলে আওতা বাড়বে।


এ কারণে কমিটি দেশের সামগ্রিক কর হার কমানোর সুপারিশ করেছে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি কমিটি কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোরও সুপারিশ করেছে বলে তিনি জানান।
কমিটির এ বৈঠক বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।
এছাড়া পুঁজি বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শেয়ারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দ্রুত পুঁজিবাজারে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, মো. আলী আশরাফ, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, এম এ মান্নান এবং গোলাম দস্তগীর গাজী এ বৈঠকে অংশ নেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।