Selfish Shellfish
আমার অনেক কিছুই বিরক্ত লাগে। অনেক কিছু আছে যা আমাকে হাল্কা পাতলা ভাবে রাগিয়েও দেয়। কিছু জিনিস আছে আমার মাথায় রক্ত তুলে দেয়! তবে আমার কষ্টও হয়। ব্যক্তিগত কারনেতো অহরহই কষ্ট পাই, তা ছারাও আমার কষ্ট হয়। যখন বুঝি যে মানুষ মানুষকে অকারনে কষ্ট দিচ্ছে, আমার নিজেরও কষ্ট হয়।
যখন ছোট ছিলাম অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস আমার খারাপ লাগতো। যদিও আমি নিজেও কয়েকবার চুড়ান্ত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছি।
বেশ আগে দেশের বাড়ি গিয়েছিলাম। একটা মেয়ে কাজ করতো, আমার চাইতে এক কি দুই বছরের বড়। গ্রামের বাড়ি, বেশ কয়েকটা মুরগি ছিলো স্বভাবতই।
তার মাঝে একটাকে ঐ মেয়েটা বেশ আদর করতো। আমার বয়স ছিলো, কতোই বা- দশের মতো! তো, আমি যেই মুহুর্তে বুঝলাম যে ঐ একটা মুরগি ওর প্রিয়, আমার মাথায় যেন কি চেপে গেল- আমার ঐ মুরগিটাই খেতে হবে। বাড়িশুদ্ধ লোক এসে আমাকে বোঝাচ্ছে যে অন্য মুরগি জবাই করা হোক কিন্তু আমি মানছি না! একদমই মানলাম না! ঢাকা থেকে নাতনি এসেছে, তার কথা রাখবে না, এমন হতে পারে না- কাজের মেয়ের ইচ্ছার কিই বা মূল্য আছে! মুরগিটা জবাই হলো। খাওয়া হলো। আমি খেয়েদেয়ে কাজের মেয়ের কাছে গেলাম- আমার মনে আছে ওর চোখে কোন অনুভুতি ছিলো না।
আমার মনে হয় যে আমার ভেতরে এক দৈত্য বাস করে। মনের গোপন ঘরের শ্বাপদ! তাকে নিয়ন্ত্রনে রাখার দায়িত্ব আমার! সবারই দায়িত্ব তার শ্বাপদটাকে নিয়ন্ত্রনে রাখা।
এ ঘটনার আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে যে সবে আমি একজন অত্যন্ত কোমলমতী মনের শিশু হিসেবে পরিচয় দিয়েছি নিজের। এবং অন্যকে খুশি করে নিজেও খুশি হয়েছি। তারপরও এমন একটা ঘটনা ঘটিয়েছি।
এর পর থেকে অবশ্য আমি সাবধান থাকার চেষ্টা করি যাতে এমন হিংস্র আচরন আর না করি কখনো, তবু মনে হয় মাঝে মাঝে ভেতরের হায়না চিৎকার দিয়ে উঠে। আমি তখন চেষ্টা করি ভাবার। নিজেকে ঠিক রাখার।
মেয়েটার সেই নির্জীব চাহনি আমাকে অনেকদিন তাড়া করে বেরিয়েছিলো। আমি বাকিটা সময় খুবই কষ্টে কাটিয়েছিলাম দেশের বাড়িতে।
মেয়েটা যদ্দুর জানি বেশি কষ্ট পায়নি শেষ পর্যন্ত। কিন্তু আমি ছিলাম চরম অশান্তিতে। নিজের কাছেই খারাপ লাগতো! প্রায়শ্চিত্ত হয়তো কখনোই ওভাবে হবে না। আরো কতো নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিবো হয়তো পদে পদে, সব গুলোই জমা হবে। তারপর বুকের উপর জড়ো হবে পাষান ভার হয়ে।
কিন্তু আমি সতর্ক থাকি। আমি সতর্ক থাকার চেষ্টা করি। আর কিছু না হোক, নিজের ওপর কারো কষ্টের বোঝার ছায়াটুকু রাখতে চাই না।
এ ভিডিওটা হয়তো অনেকেই দেখেছেন। নৃতত্ব বিষয়ক এক ক্লাসের শেষ দিনে দেখিয়েছিলেন প্রফেসর।
Youtube এর প্লেলিস্ট করা আছে একজনের, ওখান থেকেই দিচ্ছি। যারা দেখতে পারবেন না স্লো ইন্টারনেটের কারনে, তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
রাত ও কুয়াশা
ব্লগার জটিল গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলো, তাতে কিছু নৃশংস ছবি আছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। লিংকটা দিচ্ছি। জটিলের পোস্ট
রুয়ান্ডার জেনোসাইডের কিছু ছবি দেয়ার ও ইচ্ছা ছিলো।
গুগল করে দেখলাম- কিন্তু পোস্টে দিতে ইচ্ছে করছে না। তাই লিংকটা শুধু: রুয়ান্ডা জেনোসাইডের ছবি। সময়ের শুরু থেকে মানুষ একে অপরের প্রতি অন্যায় করেই যাচ্ছে। এ কখনো সম্পূর্ণ রূপে হারিয়ে যাবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্ত আমার মনে হয় যে সবারই প্রতিটি পদক্ষেপে অন্যকে সম্মান করার কথাট মনে রাখা উচিৎ।
তার পরে যা হবে তা যেন শুধু মাত্র এ্যাক্সিডেন্টই হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।