মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এতে সভা-সমাবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিকসহ ইতোপূর্বের পোশাক কারখানার দুর্ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী মালিকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, কল-কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আইন প্রণয়ন, গর্ভবতী নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে আজীবন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের তালিকা তৈরি ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
এর আগে ২২ মে মিরপুরে সমাবেশ করার সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ বামমোর্চার ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
‘অনুমতি না নিয়ে সমাবেশ করার চেষ্টা করায়’ তাদেরকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, নিরাপত্তাহীনতা কিংবা নাশকতার আশঙ্কা থাকলে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেবে না সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে। এর পর থেকে সমাবেশ নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক ইয়াসিন মিয়া ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।