আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়
হায়েনা
আপনারা কেউ হায়েনা দেখেছেন কি?
ছোটখাটো প্রাণীটি তার উচ্চতার চেয়ে বড় কাউকে
আঘাত করেনা; শক্তের ভক্ত আর নরমের যম।
হায়েনার হাসিটি বড় ভয়ানক।
আপনারা হয়তো বলবেন- হায়েনা মানুষের মতো হাসে।
এই জায়গায় একটা ভুল করেন আপনারা। হায়েনা কখনো
মানুষের মতো হাসেনা বরং, কিছু মানুষ হায়েনার মতো হাসে;
তবে তাদের হাসিটি আরো বিভৎস।
আপনারা কেউ মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন?
খুব অল্প কয়েকটা হাত উঠলো যে?
বাকীরা তবে নিশ্চয়ই মা-বাবা, দাদু-নানুর কাছে গল্প শুনেছেন?
গল্প! হ্যাঁ, আজকের দিনে সে যুদ্ধ একটা গল্পের রুপ নিয়েছে বৈকি!
আচ্ছা বলুনতো- আপনার মা কি আপনার কাছে মিথ্যে বলবে?
অথবা আপনার বাবা অথবা দাদা?
আপনার মা যদি মিথ্যে নাই বলে তবে মুক্তিযুদ্ধ মিথ্যে নয়।
মিথ্যে নয় সেই সব রাজাকার, আলবদর যারা আজো
পঁচে যাওয়া নোংরা হাতে আমাদের সবুজ ঘাসকে কলুষিত করছে,
প্রতিনিয়ত, প্রতি পদক্ষেপে। আর অপরদিকে,
জাতির বীর যোদ্ধা হুইল চেয়ারে বসে হাত পেতে ভিক্ষে করে।
কখনো হয়তো কোন এক রাজাকার চলতি পথে সেই যোদ্ধার
কাঁসার প্লেটে দু’টাকার কয়েন ছুঁড়ে দেয়। তখন
শহীদ রফিক-আজাদ-নুরুলরা লজ্জায় ঘৃনায় নিজের পরিচয় ভুলতে
ব্যস্ত হয়ে পরে, অথচ
সেই পঙ্গু যোদ্ধার চোখ চকচক করে উঠে-
‘আজ তবে পেটে কিছু পড়লো!’
আমাদের আত্মগ্লানিতে কর্পূরের মতো উবে যাওয়া উচিৎ।
কিন্তু আমরা অন্ধ!
জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে পেরে অট্ট হাসে
রাজাকার-রুপী হায়েনা।
স্বাধীনতা লাভের তিন-তিনটি যুগ পেরিয়েও যখন কেউ বলে-
‘যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাই’- আমি তখন মুখ ফিরিয়ে নেই।
হে বাংলার দামাল সৈনিকেরা। আমরা অন্ধ নই।
আমরা পঙ্গু নই, বোবা নই, নই দুর্বল মানসিকতার।
আমরা এক-একটা স্ফুলিঙ্গ- আমরা তরুন
আমরা দুর্বার- আমরা উত্তাল- আমরা বাজীগর।
পাহারের মতো অটল - আমরা তলোয়ারের মতো ক্ষুরধার।
আমরা বুলেট - লাঙ্গল, কাস্তে, কুঠার - আমরা
জাতির তীক্ষ্ণ হাতিয়ার।
আমরা রাজাকার আলবদরের বিচার চাইনা। আমরা চাই-
যুদ্ধপরাধী হায়েনাদের ধরে - এক এক করে -
গুলি করে ফেলা দেয়া হোক বঙ্গোপসাগরে
যেনো, তাদের গন্ধমাক্ত দেহ হাঙ্গরের খাবার হয়ে যায়।
(মাহদী হাসান)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।