চলছি সময়ের হাত ধরে কাটছে তিমির রাত
শরীরটা আর টেনে তুলতে পারছি না। আড়মোড় ভেঙ্গে শরীরটা টান টান করার চেষ্ঠা করছি।
স্নায়ুগুলো ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসছে। চোখের পাতা যেন আইকা দিয়ে কেউ লগিয়ে দিয়েছে আর খোলা যাচ্ছে না। রাত ক্রমশ বাড়ছেই।
সেই সাথে বাড়ছে স্টেশনের নিরবতা।
স্টেশনের দুটোপ্লাট ফরমের সাথে আছে চারটি লাইন। একটি আন্তনগর আপ ট্রেনের আর অন্যটি আন্তনগর ডাউন ট্রেনের জন্য। একটি পরিত্যাক্ত আর অন্যটি লোকাল ট্রেন লাইন।
স্টেশনে কত লোক আসে কত লোক যায় তার শেষ নেই।
দিনের কর্ম ক্লান্ত স্টেশনকে রাতেও জেগে থাকতে হয়। রাতের নিরবতায় ট্রেনের আগমন বা প্রস্থান স্টেশনটাকে আরো সরব করে তোলে। এটা সাধারন কোন স্টেশন নয়। এখানে সব ট্রেনকে থেমে তারপর কুনির্শ করে যেতে বা আসতে হয়।
এমন একটি স্টেশনের টিকেট কেটেছে পলাশ ও সিরাজ।
শেষ বেলার শেষ বাসটি তারা মিস করেছে। এখন উপায় শেষ ভরসা এই ট্রেন। সন্ধ্যা সাতটায় টিকেট করেছে। ট্রেন আসবে রাত সাড়ে চারটায়। ওদের পকেটে টাকাও নাই যে ওরা রাতটুকু কোন বডিংয়ে কাটাবে।
কোনমতে হোটেল আল ছালা দিয়া ঢাকায় ডিনার করেছে। এমন ঝোল আর ঝাল গলা দিয়ে নামছে না। কেন মতে বিস্বাদ তোতো খাবার গিলে ডগডগ করে দুই গ্লাস পানি খেয়ে বেড়িয়ে আসে ওরা দুইজন।
তারপর ওয়েটিং রুমে বসে। সময় ফুরাতে চায় না।
কিছুক্ষন পায়েচারি করে। নাতিদীর্ঘ স্টেশন দশ বার পায়চারি করেও শেষ হচ্ছে না। ওরা সারাদিন পাহাড় চষে বেড়িছে। এখন ক্লান্ত। শ্রমিকদের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে ওরা দুইজন।
পুলিশ এসে ওদের জাগিয়ে দেয়। দমকায়। ওরা পকেট থেকে টিকেট বের করে দেখায় ওরা ট্রেনের যাত্রী। একটি মহিলা স্টেশন ঝাড়ু দিচ্ছে। সবাই তাকে ডাকে পাগলি বলে।
সন্তানকে স্টেশন ফ্লোরে শুইয়ে দিয়ে সে দূর করছে সকল জঞ্জাল। একটু ঘুমাতেও পারলো না রাত জাগা স্টেশনটি পুলিশের দমকানী ও পাগরীর ঝাড়ুর পিটুনীর কারনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।