এলোমেলো ডায়েরি লেখার জন্য ওয়েবের পাতাটা খুলেছিলাম; আর
শেষ করার আগে হিসেবের শূন্য খাতা দেখে শূন্য চোখে বৃষ্টি খুঁজেছিলাম।
যে লিরিক,
অথবা যে গান,
নাকি যে কবিতা লেখার জন্য
অনেক দিনের দিনমজুরের ফেলে দেয়া কলম হাতে
আর পুরোনো থালার মাছে ভাতে
নাচিয়ে কবির ছন্দ নাচে
ঈর্ষাধুসর স্বপ্ন চোখে
শব্দ বোনার জাল নিয়েছি,
সেইখানে সেই দিনের শেষে
ডাইনী রঙের ভর বিকেলে
আমার গিটার পাঁচ তারেতে
ধাতব রঙের সুর মিশেলে
রক্তভাঙার হাট নিয়েছি।
তাই শেষ পর্যন্ত,ঠিক শেষ পর্যন্ত,
যখন অর্থপূর্ণ ছন্দে একদম ব্যর্থ ভেবে এলোমেলো কথা ছুঁড়ে দিতে চাই,
ভোর পাঁচটা সাত মিনিটে রাতের টিকটিকির সাথে
আর কামড়ে লাল করে দেয়া অনু পোকার সাথে
আর মগজে ঘুরে যাওয়া সিগন্যাল বাতির কীটের সাথে
কথোপকথন।
তাই শেষ পর্যন্ত,ঠিক শেষ পর্যন্ত,
কবিদের ঈর্ষা করে,
তাদের চোদ্দপুরুষের বাপান্ত করে,
যেমন হয়তো কোন একজন হয়ে ওঠার ব্যর্থতায় শাপান্ত করে গদ্যকুমির,
আমার ঘরের ধুলোমাখা ছবির সাথে
বেসুরো বচন।
আর শেষ পর্যন্ত,একদমই শেষ পর্যন্ত,
ঠিকঠাক সীমানা পর্যন্ত,
আসুরিক শব্দফ্রেমে,
যারা মাপা কথায় ছেড়ে দেয়
ঠাসবুনোটের অ্যাটমবোমা,
হিংসার ছাঁচে বন্দী করে এলোমেলো পথে আমার
পাথর শবাসন।
[ব্লগে অনেকে কবিতা লেখেন, তাদের মাঝে কারো কারো কবিতা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবনাচিন্তা আছে, পড়াশোনা আছে,আমার কোনটাই নেই। কবিতার ফরম্যাট বা ছন্দ বুঝি না,ভেতরের ভাবও না,বোঝার চেষ্টা করেছি কখনো এমনো না, যেকোন কিছুর গভীরে যেতে বরাবরই একটা আপত্তি। আমার কাছে যা মোহময় তাই কবিতা; তাই কারো লেখা কবিতা ভাল, বা সমষ্টিগত মোহগ্রস্থ হলেই সেখানে গিয়ে হুম-হাম করে আসি, বেশি কথা বলার সাহস পাই না,যদি ধরা পড়ে যাই এ বাবদে আমি ক(বিতা)-অক্ষর গোমাংস! তো,অনেককে লিখতে দেখে নিজেরও খায়েশ হলো নিজের এলোমেলো ভাবনাকে ছাঁচে ফেলি কোন একটা। লিখতে গিয়ে দেখলাম,ইঁদুর দিয়ে রেলগাড়ি টানা চলে না,কবিতার গাড়ি টানতে নিদেনপক্ষে ডিজেল ইন্ঞ্জিন দরকার। তাতে সমস্যা নেই, বাঙালি বেসুরো গলা নিয়ে গাইতে ভীত নয়; কাজেই যা খুশি লিখলাম,সাথে আসল কবিগুলোর উপর কিন্ঞ্চিৎ মনের ঝালও ঝেড়ে দিলাম।
নিজেদের লেখার ক্ষমতাটা আমাদেরও একটু ধার দিলেই পারতো ওরা!
ব্লগার লোকালটক একবার অপকবি খেদানোর আন্দোলনে নেমেছিলেন, নিজের লেখাটা পড়ে বুঝতে পারছি,ঠিক কাদের খেদানোর জন্য বেচারার সেই প্রাণান্ত প্রচেষ্টা ছিল। লেখাটা পড়ে কেউ মনিটর আছাড় দিয়ে ভাঙলে,এই কীবোর্ডচালক দায়ী থাকবে না। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।