যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
জোসেফ স্ট্যালিন। ১৮৭৮ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত জীবনকাল। এ ঘটনাটি (যদি সত্যিই ঘটে থাকে, তবে) ১৯৪৬ থেকে আমৃত্যু তার ক্ষমতায় থাকার কোনো সময়ের।
বলা হয়ে থাকে তিনি বেশ মেজাজী ছিলেন। তো, একদিন তার মেজাজ স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি রকম খারাপ।
কারণ পলিটবুরোর মিটিংয়ে দেরি হয়ে গেছে। গাড়ির পেছনের সিটে তিনি বসে আছেন। জিল লিমুজিনের আরামদায়ক সিটেও তার ভালো লাগছে না। তিনি শোফারকে বললেন- কমরেড, স্পিড বাড়াও।
শোফার স্পিড যতোদূর সম্ভব বাড়িয়ে দিল।
স্পিডোমিটারের কাঁটা ৬০ মাইল ছুঁই ছুঁই। এতেও স্বস্তি পাচ্ছেন না স্ট্যালিন। মিটিংয়ে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি আবারো বললেন- কমরেড, স্পিড আরো বাড়াও।
শোফার প্রমাদ গুনল।
কারণ স্পিড এর চেয়ে বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়। কিছুদূর পরপরই রাস্তায় স্পষ্ট সাইন দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ মাইল। "স্পিড আর বাড়ানো সম্ভব নয় কমরেড মার্শাল। এটাই এই রাস্তায় সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতি।
আমি বলছি স্পিড বাড়াও।
হুঙ্কার ছাড়লেন স্ট্যালিন।
নেহাত মিনমিন করে শোফার আবারো তার অপরগতা জানাল। স্ট্যালিন বললেন- গাড়ি থামাও। শোফার গাড়ি থামালে তিনি নিজেই উঠে বসলেন ড্রাইভিং সিটে আর শোফারকে পাঠালেন পেছনের সিটে। মুহুর্তের মধ্যে গাড়ির স্পিড উঠে গেল ৯০ মাইলে।
ফলে যা ঘটার তাই ঘটল। এক ট্রাফিক পুলিশ আটকে দিল গাড়ি। সে এসে গাড়ির ড্রাইভিং সিটের পাশে দাঁড়ালো। ড্রাইভারের সিটে স্ট্যালিনকে বসে থাকতে দেখেই পরিমরি করে ছুটল রাস্তার পাশে পুলিশ চেকপোস্টে বসা তার উর্ধ্ধতন অফিসারের কাছে।
কমরেড ক্যাপ্টেন, এ গাড়ি আমাদের ছেড়ে দিতে হবে।
আলবৎ ছাড়া যাবেনা। যাও, গাড়ির মালিক ঝামেলা করলে মালিককেও ধরে নিয়ে আসো।
তা...তা...তা...সম্ভব নয় কমরেড। গাড়ির মালিক আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
মানে? যদি কমরেড স্ট্যালিনও হয় গাড়ির মালিক, তবুও আইন সবার জন্যই সমান।
সেটাই তো বলছি কমরেড। মালিক যে কে সেটা বুঝলাম না। তবে কমরেড মার্শাল স্ট্যালিন হলেন গিয়ে তার ড্রাইভার!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।