কঠিন সাধনার ফল বাংলাদেশের জন্ম। স্বাধীনতার জন্য বাঙালীর ত্যাগের বর্ণনা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু যেটা বলার অপেক্ষা রাখে তা হলো যারা এই অস্তিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিলো তাদের বিচার। সেই বিচারটি জন্মের পরই শুরু করা হয়েছিলো বাট বিধিবাম, সবগুলাকেই মাফ করে দেয়া হলো। এমনকি তারা চলে গেলেন ধরা ছোয়ার বাইরে।
শালার বেজন্মাগুলারে মাফ করে দিয়ে সবচে বড় ভুলটি করলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতারা। তখনকার নেতারা ভেবেছিলেন দেশতো স্বাধীন হয়েছেই, আমরাও স্বাধীন দেশের বিরাট নেতা হয়েগেছি, এখন বিচার টিচার করে ঝামেলা বাড়ানের দরকার নাই।
কিন্তু বিচারের দাবি থেমে থাকে নি, তাদের যারা সহযোগীতা করেছিলো তারাতো দেশেই আছে। সুতারাং জাতির দায় মুক্তির জন্য বিচারের দাবী চাউর হতে থাকলো। কিন্তু বছরের পর বছর চলে যেতে থাকলেও এ দায়িত্ব কেউ পালন করলো না।
২০০৯ সালে বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসলো আওয়ামীলীগ। কিন্তু সে বিচার শুরু করতে করতে সময় নিলো অনেক। অবশেষে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। কিন্তু সমগ্র জাতির প্রত্যাশার এ জায়গাটিকে মারাত্বকভাবে বিতর্কিত করে ফেললো আওয়ামীলীগ।
আন্তর্জাতিক আদালতের কথা বলে আন্তর্জাতিক সমালোচনায় পড়ে গেল আদালতটি।
তারপর সকল অপরাধীদের বাদ দিয়ে শুধু যারা বিরোধী দল তাদেরকে গ্রেফতার করা নিয়ে আরেক বিতর্ক। সরকারের বিভিন্ন সময় বক্তব্যের কারণে বিচার বারবার বাধার মুখে পড়ে গেল। সর্বশেষ এলো স্কাইপি।
যাক সব চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে একজনের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হলো যাকে আগেই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এবার সরকারের কাঙ্খিত রায়ের পালা।
মখা সাহেব মুখ ফসবে বলেই ফেললেন ৪ ও ১৪ তারিখ রায় হবে। আজ ৫ তারিখ রায় দেয়া হলো কাদের মোল্লার। রায়ে বলা হলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত অপরাধ। বাট রায়টি হলো যাবৎজীবনের। রায় পেয়ে খুশি হতে পারলেন না কেউ।
সবাই বলছেন সরকার ভয় পেয়ে রায়টি সহজ করে দিয়েছেন।
আবার রায়টি এমন সময় দিলেন যখন আগামী নির্বচনের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবার কথা। পদ্মা সেতু নিয়ে আলাপ হবার কথা। সব আলাপের মোড় কিন্তু ঘুরে গেলো।
তাহলেতো বুঝাই যাচ্ছে আগের বার রাজনৈতিক কারণে বিচার বাদ দেয়া হয়েছিলো আর এবার রাজনৈতিক কারনে বিচার করা হচ্ছে।
তাহলে সত্যিকারার্থে জাতির দায় মুক্তির জন্য কি কিছু করা হলো!
সরকার যখন রায়ের তারিখ বলতে পারেন, রায়ের ধরণ পরিবর্তন করতে পারেন তাহলেতো সরকারের ইচ্ছানুযায়ীই আদালত চলছে বলা যায়।
জামাততো তাইলে ওইরকম দাবী করতেই পারে।
হুদাই এইসব বিচার ফিচারের নামে দেশের বারোটা বাজানোর আর দরকার নই। এইসব রাজনীতি বন্ধ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।