"রহস্যে মধ্যে ঈশ্বর লুকায়িত থাকেন রহস্যের খোলস উম্মোচিত হলে ঈশ্বর মৃত" বাঙালী জেগেছিল সাতচল্লিশে। প্রাণের ভাষার দাবীতে ভয়ংকর রূপ দেখিয়েছে বায়ান্নতে। সেই থেকে চুয়ান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তরে ছিল মানুষের গণজোয়ার। একাত্তরে বাঙালি নিয়েছে অস্ত্র। নব্বইতেও নিজেদের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছিল বাঙালি।
দীর্ঘদিনের গ্লানি মুছতে এবার নেমেছে রাজাকারদের শক্তি প্রতিহত করতে, জামায়াতের উশৃঙ্খলতা ঠেকাতে, সব মিলিয়ে রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে। রাজপথে নেমেছে তরুণের দল, বৃদ্ধ বয়সে আসার বুক বাঁধছে প্রবীণ মুক্তিযুদ্ধারা, আজ আবার এক হয়েছে বাঙলার সব শ্রেণীর মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিল আমাদের জন্যেই। আজ দেশের মাটিতে বুক ভরে নিশ্বাস নিচ্ছি, কিন্তু একদিন রক্তে ভিজে ছিল এই দেশের মাটি। শহীদের রক্তের দাগ মুছেলেও কলঙ্ক মুছে নাই।
জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে আজ আমরা সবাই একই বৃক্ষের ছায়ার তলে। আজ প্রাণের দাবীতে হাজার তরুণ আছে ঢাকার কেন্দ্র শাহবাগে। জেগেছে চট্টলা থেকে তোমার মানচিত্রের প্রতিটি কোনায়। আর নয় মুখের নম্র ভাষা। কলমের কালিও ইতিহাস না জানা মূর্খের জন্য আসে নি।
আজ কেউ গলা ছেড়ে গান ধরেছে, “ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে, মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে। “ না, না, দেশ মাতৃকা, দেশ মাতা, ‘ভেবো না গো মা, তোমার ছেলেরা হারিয়ে গিয়েছে পথে। ‘ তোমার পবিত্র মাটিতে এই জনযুদ্ধে ঠাই হবে না রাজাকারের ওরসের সন্তানদের। পিষিয়ে মারবো সবকটিকে, কুকুর কামড়ে খাবে ওইসব নব্য ঘাতকদের মাংস। বাঙলার পবিত্র পতাকায় থাকবে না কোন কলঙ্কের ছিন্ন।
লাল সবুজের পতাকা, চির সবুজ বাঙলা আমাদের অহংকার। বুকফুলে দাঁড়াবো পবিত্র বাঙলার মাটিতে।
আগামীকাল বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ। সন্ধ্যায় মশাল মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করা হবে। চলে আসুন।
দাবী একটাই- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, জামাত-শিবির নিষিদ্ধ চাই।
ইভেন্ট ১- কাদের মোল্লাসহ সকল রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে চট্রগ্রামে বিক্ষোভ কর্মসূচি
ইভেন্ট ২- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে মশাল মিছিল ও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবস্থান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।