যে পাখি অচিন হয়ে থেকে গেল দেহের খাঁচায় অন্তরীন
শুভ্রতর ডানা নিয়ে উড়ে যেতে বলো তাকে শান্তির স্ব-পথে
গতকাল যার চোখে সুপেয় অমৃত দেখে ঠোঁট নেড়েছিলে
আজ রাতে তার মুখ বিষাদে আবৃত হয়ে কাঁপায় তোমাকে
তুমি মানে আমাদের সে,তিনি বা তাহারা ক'জন
নিজ আয়ুরেখা নিয়ে বক্রতর বৃত্তের গোলক
জ্যামিতি না জেনে শুধু কেন্দ্রভূক বিন্দু গেঁথে রাখে
হৃদয়ে অমেয় ব্যাধি প্লাবনে যাপিত এই শোক!
যে পাতক অতি পরিচিত রুপ দেখিয়ে হয়ে গ্যালো বিমুর্তাক্ষর ছন্দে
শুভ্রভাব তার তবে তাপিত রুপ দেখে অন্ধের রঙে,বিজন!
অবিকল যন্ত্রের রুপে তবে তার দৈহিক রুপে কিংবা চোখে
নির্ভরতা অনুভব হয় কিন্তু অবশেষে রয়ে গ্যাছে পলায়ন!
"তথৈবচ" বলে বলে আরো কিছু দিন কাল কেটে যাক,
ওপারের সবুজ বলান্চলে বৃক্ষপতনের ডাক শোনা যাক।
মৃগনাভি তার ব্যাক্তিগত গন্ধে যে দিন কাটাচ্ছে তা ভালো কি মন্দে,
এইকথা কোনো এক উন্মাদ তার নিজ মনে কিন্তু জোর উচ্চারণে
তোমার কানে কানে এসে বলে যাক,
রক্তঋণ কিছুটা পূরণ হবে,কেউ জানবে বা কে খুণী এমন ভীষণ রণে।
তোমার অন্ধত্ব নিয়ে অরণ্য ঝড়ের খুব প্রিয় হলে বুঝি
দিব্যদৃস্টিরেখা ধরে খুঁজেছ সরল কোনো পথ!
এই বেলা আমি হতে আমার দূরত্বে তাই খুঁজি
মূর্তমান বাস্তবের অলীক বিমূর্ত অবয়ব
সেই ঘোর কেটে যাবে নাকি কাটবে নিজেই ঘোর
অপরের মলিনতা স্বরুপে ধারণ করে সুঘণ নিভৃতে
যেই ঘরে বসতি গড়েছ,নিজেই সেজেছ চোর!
যতটা আসক্তি নিয়ে ফিরে গেছো কামার্ত আবেশে।
তরিতাবেশ ঘিরে ধরে আততায়ীর আশীর্বাদ বা নির্দেশে
আততায়ীরা অতি পরিচিতই হয়,প্রাক্তন শুভাকাংখীর বেশে
তবুও আমাদের এই সুপরিচিতির অন্তরালের যে ঘোর
তা যেন আমারই দর্পনের প্রতিরুপ যা দেখে চলছি প্রতি প্রভাতে।
না চাইলেও হরিদ্রার হলুদে রুপায়িত হবার ঘটনাও ঘটে
আমাদের ঘোর যায় কেটে,গিলোটিনে কাটা পড়ে বোধ
শোক হয় না কোনো তবুও নির্বোধ কিছু অনূভূতিও চলে বটে,
মংগলের ক্যামোফ্লেজে সৈনিকের হয়ে জীবন কিছুটা করে শোধ।
ইটালিক করা পংক্তিগুলো মুয়ীয মাহফুজ এবং সাধারণ ফন্টে লেখা অংশগুলো অভিজিৎ দাস কতৃক বিরচিত
একরকম অঘোষিতভাবেই আমি আর অভিজিৎ হঠাৎ কাব্যবাণে বিদ্ধ হতে হতে অনুভব করলাম যে আমাদের দুজনারই কবিতা লিখা উচিত। তো আমরা দুজন মিলেই একটা কবিতা লিখলাম। যৌথকবিতার বিষয়টা একেবারে অপ্রচলিত এবং সংশয়েরও বটে,তাই তা চোখেও পড়েনা তেমন।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ
ইহা একটি প্রয়াসমাত্র। অধিক যৌথকবিতা রচনা করিতে থাকিলে ব্যাক্তিক কবিসত্তার তরে ক্ষতিকর হইলেও হইতে পারে।
এ বিষয়ে কোনোই গবেষণা হয়নাই বলিয়া নিশ্চিত করিয়া কিছু বলিতে পারিলাম না। :
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।