বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলতে আমার খুব একটা ভাল লাগে না। কারণ রথী-মহারথীদের কল্যাণে জিনিসটা এখন ধীরে ধীরে অস্পৃশ্য ব্যাপারে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ৮৮% মানুষ একই মতের হলেও তাদের মতকে কেন শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়না, ভাবতে খুবই অবাক লাগে। জী জনাব, আমি এখানেও পাকিস্তানের উদাহরণই টানব, পাকিস্তান আর বাংলাদেশে মুলত একই রকমের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো পণ্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনে তাদের সাথে আমাদের আকাশ-পাতাল তফাত থাকে।
টেলিনরের বিজ্ঞাপনের কথাই যদি ধরি, ওদের দেশে দেখানো হয় পর্দানশীন মহিলা এবং ধর্মীয় লেবাস পরিহিত ব্যক্তি ফোনে কথা বলছে। আর আমাদের দেশে একটা মেয়ের গলায় ওড়না উঠিয়ে উত্থিত বক্ষ দেখিয়ে প্রেম নিবেদনের মাধ্যমে সেই একই টেলিনরের বিজ্ঞাপন করা হয়।
রোজার সময় যেখানে প্রতিটা মুসলিম নারীর কর্তব্য সংযমের সাথে পোশাক পরিধান করে মিডিয়াতে নিজেকে উপস্থাপন করা, সেখানে তাদের দেখলে মনে হয়, পারলে শার্ট কিংবা ফতুয়ার বোতাম আরও একটা খুলে আসে কিংবা গলার কাটটা আরও দুই ইঞ্চি নিচে নামিয়ে দেয়।
আর ইফতারের প্রোগ্রামগুলোর কথা তো বলিহারি। কোথায় তারা মাথায় কাপড় দিয়ে দু-চারটা ধর্মীয় বাণী শোনাবে।
টা না করে, এরা চুল কার্ল কিংবা রিবন্ডিং করে নানা রকম ফুল গুজে চলে আসে। বড় ওড়না দিয়ে শরীর না দেখে পাতলা ওড়না গলায় ঝুলিয়ে আর ফিনফিনে নেটের কামিজ পরে চলে আসে রান্না করতে যেখানে ২০ মিনিতের মধ্যে ১০ মিনিটই চলে যায় তাদের ওড়না আর চুল ঠিক করতে করতে। অবশ্য অমুসলিম ব্যক্তিকে দিয়ে ইফতারের রান্নার অনুষ্ঠান পরিচালনা করালে সেখানে ধর্মীয় কোন মাসালা আশা করাটা অপরাধই বলা চলে।
বাংলাদেশ নাকি মুসলিম দেশ যেখানে টিভি বিজ্ঞাপনে বলা হয়, আপু তুমি যদি স্লিভলেস না পরো, তাইলে মানুষ তো তোমাকে গেঁয়ো বলবে। তাই ছোট ছোট কাপড় পরো, চামড়া দেখাও; তবেই সাফল্য এক ঝটকায় তোমার হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
ক্যাটরিনা আর মাহজাবিন যেখানে এক ঝটকায় কাপড় খুলে কোটি মানুষের সামনে শুয়ে শুয়ে চামড়া ডলতে থাকে, সে দেশকে আর যাই হোক মুসলিম রাষ্ট্র বলা যায়না।
ডিজে সনিকা যেখানে তার সুডৌল বক্ষ বিভিন্ন কোণ থেকে দেখায়, আজরা যেখানে নাভির ৫ আঙ্গুল নিচে শাড়ি পরে আর রুবাবা যেখানে পাতলা ফিনফিনে শাড়ি পরে বক্ষের ভাঁজটা খুবই আমোদের সাথে দেখায়, সে দেশ আর যাই হোক মুসলিম রাষ্ট্র না।
নারী স্বাধীনতা এখন কাপড়ের আবরণে বন্দী। শিক্ষালাভ করে নারী এখন আলোর মুখ দেখে না। পরতের পর পরত খুলে চামড়া দেখালেই এক লাফে যশ আপনার হাতের মুঠোয়।
লাখো শুকরিয়া, বেগম রোকেয়া আজ বেঁচে নাই; থাকলে তিনি আজকে গুলশান এভিনিউতে গাড়ির নিচে ঝাঁপ দিতেন।
একটাই আক্ষেপ। শাহবাগের লাকি আপু, আপনার শরীরটাতে যদি আরেকটু আবেদন রস থাকত, তবে মিডিয়ায় আপনি আজকে ভাল একটা অবস্থানে থাকতে পারতেন। দুই মাসের নাতক শেষে আবার অন্ধ গলিতে ফিরতে হত না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।