দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...
সুনামগঞ্জ পৌরসভার অর্থায়নে সম্প্রতি শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে একটি স্থাপনা তৈরী করা হয়েছে। প্রায় ১২ ল টাকা ব্যয়ে এই সৌন্দর্যবর্ধন স্মারকটির ডিজাইনার শিল্পসংস্কৃতির উর্বরভূমি আউলবাউল হাওরের দেশেরই বুয়েট পাশ করা এক আর্কিটেক্ট। এই প্রতীক দিয়ে তিনি হাসন, রাধা রমন, শাহ কিরম, দুর্বিন শাহ, ৈসয়দ শাহনুর, এলাহী বক্স মুনসির দেশের মানুষদেরকে কি বোঝাতে চেয়েছেন বা এই প্রতীক আদৌ এই অঞ্চলের শিল্পসংস্কৃতির কোনো প্রতিনিধিত্ব করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমাদের এতো ভালো ``আইকন'' থাকতে কেন এমন একটি স্থাপনা তৈরী করা হলো তা নিয়ে কৌতুহলী মানুষের সঙ্গে আমিও আর্কিটেক্ট রাজা ভাই'র কাছে বিনীত ভাবে জানতে চাচ্ছি, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের যুগে এই স্থাপনা কিসের ইঙ্গিত দেয় আমাদের।
রাজা ভাই এই দুর্বোধ্য স্থাপনা ডিজাইনের সময় আপনার কি মনে পড়েনি আমাদের আছে ``হাসন রাজা, রাধারমন, সৈয়দ শাহনূর, শাহ আবদুল করিম, গিয়াস উদ্দিন, দুর্বিন শাহসহ অসংখ্য মরমী বাউল কবি।
'' আছে আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আছে নিজস্ব সমৃদ্ধ কালচার। এসব খ্যাতিমান ব্যক্তিদেরতো ভাস্কর করা যেতো। না পারলে তো অন্তত পরামর্শ দেয়া যেতো সংশ্লিষ্টদের।
এই আগ্রাসনের যুগে যখন পূজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ গিলে খাচ্ছে আমাদের নিজস্বতা।
প্রত্যাশার প্রজন্ম এই আমরা যখন এসব রঙচঙা পূজিপণ্যে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, তখনতো বড়ো বেশি প্রয়োজন আপনাদের মতো শিক্ষিতদের এগিয়ে আসা। বড়ো বেশি প্রয়োজন আমাদের নিজস্বতাকে আরো বেশি উদ্ভাসিত করা। কিন্তু তা না করে আপনি এলোমোনিয়াম পাইপ বসিয়ে এমন বিতিকিচ্ছিরি একটি কান্ড করলেন যা দেখে চরম হতাশ হতে হচ্ছে আমাদের।
পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ এই স্থাপনা তুলে নিন। আমরা আমাদের শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন বেডপ স্থপনা চাইনা।
তার বদলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের এখানে স্থাপন করুন। যার দিকে চেয়ে আমরা ফিরতে পারি হাজার বছরের সমৃদ্ধ শিল্পসংস্কৃতি ও নিজস্বতার কাছে...আমাদের কিংবদন্তির কাছে
আমরা এমন একটি কাজ করার পরও আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে পারছিনা। স্যরি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।