আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই অপরাজনীতির কারণে আর কত মায়ের বুক খালি হবে।

আমি জবাব দিতে এসেছি, যারা জবাব চায়, তবে অবান্থর নয়।

বয়স আর কত, ২৫ এর কাছাকাছি। অথচ অজপাড়া গায়ে তার জানাজায় প্রায় হাজার খানেক মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করল তার সততা, মানুষের মমতা, তার জন্য মানুষের ভালবাসা। গতকালকেই এই বিষয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম এবং বিস্তারিত লিখব বলেছিলাম তাই আজ লিখছি। Click This Link পটিয়া থানায় নলান্দা নামক গ্রামে আওয়ামীলীগের গণসংযোগের জন্য দুটি গ্রুপ আসে।

একটি মোসলেমউদ্দীন গ্রুপ আরেকটি আবু ছালেহ গ্রুপ। গণসংযোগের একটি পক্ষে ছিল স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আলীর ভাই মাহাবুব এবং মুফিজ এবং আরেক গ্রুপে ছিল দিদার এবং আমানউল্লাহ। এই গণসংযোগে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রতিমধ্যে উভয় পক্ষের দেখা হয়ে যায়। এবং মারামারি শুরু হয়। মাহাবুব যখন আমানউল্লাহকে পিঠাচ্ছিল তখন দিদার তাকে টেনে নিয়ে আসে।

এরই ফাকেঁ মাহাবুব দিদারকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। এই খবর পেয়ে দিদারের ছোটভাই খোরশেদুল আলম (কুসুম) ছুটে আসে। তখন কুসুম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল। এবং সে তার ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল। বিয়ে থেকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মাহাবুবের সাথে দেখা হয়ে যায় কুসুমের সাথে।

এবং মাহাবুব কোন কথা না বলে সরাসরি কুসুমের বুকে ছুরি বসিয়ে দেয় এবং সাথে সাথেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনার সাথে জড়িত না থেকে ও তাকে মৃত্যুবরণ করতে হল। (পত্রিকায় মোবাইল ছুরি সংক্রান্ত যে ঘটনা এসেছে তা হল, মোবাইল ছুরি হওয়ার পর যার হাতে মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল তাদের পক্ষ নেয় মাহাবুব এবং যার মোবাইল তাদের পক্ষে ছিল দিদার এবং কুসুম। উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান (মাহাবুবের বড় ভাই) বিচার করেন এবং বিচারে যার হাতে মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল তার দোষী সাব্যস্ত হয়। তাই দিদার এবং কুসুমের প্রতি একটা ব্যক্তিগত ক্রোধ ও ছিল।

) এই অপরাজনীতির কারণে আর কত মায়ের বুক খালি হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।