আজ ও নিজের মাঝে অসাধারণের ছাপ খুঁজে বেড়াই কিন্তু প্রতিবারই নিজেকে খুব সাধারনরুপে আবিষ্কার করি । মন্দ কি ভালই তো আছি ।
ভোর ৬টা শোরগোল শুনে ঘুম থেকে উঠলাম । চাচা আমার হাঁপানোর জন্য কোন কথাই বলতে পারছে না। কিছুক্ষণ পর একটু স্বাভাবিক হলে ঘটনার আকস্মিকতায় শিউরে উঠি।
চাচা নাইট করে বাসায় ফিরবে। দূরত্ব খুব বেশি না। গুলশান-১ থেকে মহাখালী ওয়্যারলেস। রবির অফিসটা থেকে বের হয়েই অন্য কোন গাড়ি না পেয়ে লেগুনায় উঠল। সাথে আরেকজন লোক উঠল।
হরতাল হওয়ায় পুরা রাস্তা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই ফাঁকা। কিন্তু গুলশান চেকপোস্ট পর্যন্ত আসতে আসতে বাকি সিটগুলোও ফিলআপ হয়ে গেল। যথারীতি চেক শেষে লেগুনা ছাড়ে। টিভিগেইট ক্রস করতে যাবে ঘটনার সুত্রপাত ঘটে সেখানেই। লেগুনার দিকে একদল পুলিশ এগিয়ে আসতে দেখে ভিতর থেকেই কয়েকজন "নারাইয়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার" শ্লোগান তুলে!!!আন্দাজ করতে পারছেন তখনকার অবস্থাটা?আমার চাচার মত যারা ছিল তারা পুরাই আতংকিত হয়ে পড়ে।
চাচা পিছনের দিকে থাকায় সবার আগেই কোন রকম বের হয়ে পড়ে। চাচার সাথে উঠা লোকটা নামতে গিয়ে রাস্তায় পরে যায়। চাচার থেকে ডিস্টেন্স মাত্র ৪/৫ হাত। কিছু বুঝে উঠার আগেই গুলির আওয়াজ!পড়ে যাওয়া লোকটির হাটুতে গুলি লাগে। পরিস্থিতির বিবেচনায় চাচা তাৎক্ষনিক লোকটার কাছে যেতে পারেন নাই।
জীবনের মায়া ত্যাগ করে টঙদোকানটার নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর অশেষ রহমতে চাচা আজকের মত বেঁচে যায়। এক বৃদ্ধ পথচারী পুলিশদের উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে "উনি শিবির না। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পড়ে গেছে" পরিস্তিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগে। ততক্ষনে চাচা ওই বৃদ্ধকে নিয়ে লোকটাকে ধরে উঠায় পরে একটা সিএনজি ডেকে উঠিয়ে দেয়।
এই ঘটনাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করব আমি ভেবে পাচ্ছি না। যাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ল তারা ঠিকই বেঁচে গেল। আল্টিমেট সাফারার আমরা ভোদাই আমজনতাই। বেশি কিছু বলার রুচি পাচ্ছি না...আজকের রায়ে এমনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।