আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষ খেকো গুহা

পাগল হতে সাবধান

গ্রীক ভূগোলবিদ স্ট্রাবো সর মতে, এ্যাপোলো দেবতার একটি মন্দির ছিল রহস্যময়, এই মন্দিরটি ছিল প্রাচীন গ্রীক শহর ‘হিয়ারাপোলিস’ এ। সেই মন্দিরের কাছেই ছিল একটি গুহা, যার ভেতরে জন্তু জানোয়ার ছুড়ে দিলে তারা আর বেড়িয়ে আসতো না। কোন মানুষও যদি সেই গুহামুখ অতিক্রম করে সামান্য ভেতরে ঢুকতো তবে তারাও বেড়িয়ে আসতেন না। পুরোহিতরা নিরাপদে ঐ গুহাতে ঢুকতে এবং বের হতে পাড়তো, স্ট্রাবো লিখেছেন, গুহার ভেতর থাকার সময় তাদের মুখমন্ডল রক্তাক্ত হয়ে যেতো। প্রাচীন গ্রীকদের বিশ্বাস ছিল ঐ গুহা হলো পরলোকে যাবার পথ সেখানে রাজত্ব করে অপদেবতারা, স্ট্রবো এই পুঁথিটি লিখেছিলেন ২০০০ বছর আগে, এই প্রাচীন পুথিটি সূত্র ধরে নিউইয়র্ক কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপক শেলডেন নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন, অনেকদিনের অক্লান্ত গবেষণার পর তিনি যত প্রকাশ করেন, ঐ গুহার নিচে সম্ভবত কয়েকটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে আসতো। ফলে মানুষ বা প্রাণী গুহার ভেতর শ্বাসকষ্টে যারা পড়ত। এই প্রাচীন গ্রীক শহরটি কর্তমানে পশ্চিম তুর্কির পাযুক্কালে শহর, সেখানে আছে প্রচুর উষ্ণ প্রসরণ, তার মধ্যে আছে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, এসিডের সাথে বিক্রিয়ার ফলে এ থেকে উৎপন্ন হয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড, বাষ্প এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড যে কোন ফাটল দিয়ে ঢুকে পড়তো গুহার ভেতর, তাই কয়েক পা এগোলেই নিশ্চিত মৃত্যু, আরংসানের মতে, পুরোহিতরা দম বন্ধ করে থাকতো, বলে মারা যেত না, আর স্ট্রাবোর লেখার সে তাদের ঘুম লালচে হয়ে উঠতো, এ্যাপোলোর মন্দিরের সেই রহস্যময় গুহাটি এখনও আছে, কয়েক বছর আগে একদল অষ্ট্রেলীয় ছাত্র ঐ গুহার ভেতরে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে, এরপর থেকে তুর্কী সরকার গুহাঘুমে লোহার করতে বসিয়ে দিয়েছে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।