*~*জীবনে যত কম প্রত্যাশা থাকবে ... .. . তত বেশী ভালো থাকা যাবে*~*
কম-বেশী সবার মধ্যেই বদ অভ্যাস রয়েছে। যার কারণে আমরা মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর পরিস্হিতিতে পড়ি। কাজের চাপ কম তাই নিজের বদ অভ্যাস গুলো খুঁজে বের করেছি।
ঘরে-বাইরে চেয়ার,সোফা যেখানেই বসি না কেন পা তুলে বসতে মন চায়। হোষ্টেল-জীবন থেকে এই বদ অভ্যাসের শুরু।
সেখানে অনেক মেয়েই এমন করে বসতো। কারন প্রথমত, স্টাডির সময় টেবিলের নীচে পা থাকলে মশারা ভালো জুস(রক্ত) খেতে পেত। হোষ্টেলে আমাদের সাথে সাথে মশারা ও বাস করতো। দ্বিতীয়ত,শীতের দিনে ঠান্ডা বেশী লাগতো বলে । এমন ও হয়েছে স্কুল,কলেজে কমন রুমে বসে কথা বলার সময় টেবিলের উপর বসে আছি শিয়াল-পন্ডিতের মতন।
কতবার শাস্তি পেয়েছি এই বদ অভ্যাসের জন্য তারপর ও ভালো হতে পারলাম কই????এটা মনে হয় ফ্যামিলি গত ভাবে ও রপ্ত করেছি। বড় ভাইয়ের সাথে আচরণ গত দিক দিয়ে অনেক মিল । ও এমন করে বসে। ইদানিং দেখি ছোট ভাই এভাবেই বসে বাসায়। আমাদের ৩ জনের এতোটাই মিল ১ জন যদি বলে সূর্য পশ্চিম দিকে উঠে বাকি ২ জন ও বিজ্ঞ লোকের মতো করে বলবো---"ঠিক,ঠিক,ঠিক"।
এই বদ অভ্যাসের কল্যাণে মা অনেক বকা দেয়। বকা শুনার পর ও আমরা এমন ক্লোজ-আপ হাসি দিই যেন বিশ্ব জয় করে ফেলেছি । বড় ভাইয়ের অবশ্য বাইরে কোন সমস্যা হয় না বদ অভ্যাসের জন্য। কারণ ,সে টিচার । ক্লাশ নেওয়ার সময় সারাক্ষণই দাড়িয়ে থাকে ।
যতো সমস্যা হয়েছে আমার। অফিসে কাজ করার সময় ভুলে যাই এটা বাসা না। চাকরীর ১ম দিকে জ্বর নিয়ে অফিস করছি। বললে ও কেউ এসি কমায় না। মন খারাপ করে কাজ করার সময় হঠাৎ করে পায়ের কাছে থাকা সিপিইউ তে পা লাগলো।
সিপিইউ গরম থাকার দরুন সেখানে পা তুলে বসে আছি। একটু পর এক সিনিয়র অফিসার এসে গরম চোখে বললো---"হোয়াট ইজ দিজ"। জ্বরের কল্যাণে সেবার বড় বাঁচা বেচেঁ গেছি। এরপর অবশ্য এমন করলে আশে-পাশের ভালো লোক গুলো সাবধান করে দিতো। কাল বসুন্ধরায় ফুড-জোনে বসে আছি কণা,কেয়ার(বান্ধবীরা) সাথে ।
সেখানে ও এমন করেছি। ওদের মতে আমাকে ধরে বেধে পিটনা দিলে ও নাকি আর মানুষ হবো না। লেখার সময় আরো কত গুলো বদঅভ্যাসের কথা মনে পড়ে গেলো----------
**বেশী হাসি। হাসির কোন কিছু দেখলে,পড়লে বা শুনলে যতক্ষণ সেটা মাথায় থাকবে ততক্ষণই হাসবো। কাছের লোকরা ভুল বুঝে এজন্য।
**ব্লগিং করতে গিয়ে নতুন করে ইমোটিকন দেওয়া শিখেছি। একদম ঝাড়া মুখস্হ যাকে বলে। মন্তব্যে তো ইমোটিকন দেই কিন্তু বাস্তবে কথা বলার সময় ও ইমোটিকন দিতে মন চায়।
**সাম্প্রতিক সময়ে ভালো এক বন্ধু "ঐ"বলা শিখিয়েছে। যেটা আগে কম বলা হয়েছে।
সমস্যা হলো ছোট-বড় যার সাথেই কথা বলি না কেন "ঐ"চলে আসে। আমি কি তাহলে বাবা-মা'র সাথে এইভাবে কথা বলবো---"ঐ,মা এটা দাও" কিংবা "ঐ,বাবা বাসায় আসবে কখন"। কি যে সমস্যায় আছি।
ব্লগিং দেখছি গত বছর থেকে আর করছি সাড়ে ৩ মাস যাবত। তাই, ঠিক করেছি এই পোস্টের মন্তব্যের উত্তর দিবো মন্তব্য দাতার ব্লগিং জগতের বদ অভ্যাস দিয়ে এবং তা অবশ্যই ফান করে।
হয়তো সবার টা বলতে পারবো না। যতটুকু ব্লগিং জ্ঞান আছে ঠিক ততটুকুই দিয়ে...........।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।