আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..
[সেই যুগ সমাগত যখন নিঃসঙ্গতাই হতে চলেছে বেঁচে থাকার সমার্থক : আমি,তুমি,সে= আমরা না হয়ে আমি, আলো এবং অন্ধকার=পরম আমি-ই এখন রূঢ় বাস্তবতা। আমাদের প্রয়োজন এবং বিভাজন এতটাই যুগলবন্দী হয়ে পড়েছে যে ২য় কারো অস্তিত্বকে গুরুত্ব দেবার মানসিকতাও দূরতম নক্ষত্র হয়ে হারিয়ে গেছে কৃষ্ণগহ্বরে। জীবনের দেীড়খেলায় ঘোড়াকে হটিয়ে সেখানে এসেছে সুপারসনিক, তবু যেন সে হার মানছে আধুনিকতার ঠেলাগাড়ির কাছে! গতি চাই, আরোও গতি; সর্বত্র,সর্বমুহূর্তে,ঘুমের ঘোরে, গোসলের পানিতে!গতির নেশায় কখন যে আমাদের বোধ-অনুভূতি-প্রাত্যহিক সম্পর্কগুলো ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে নাভিশ্বাস তুলছে সে দিকে দৃষ্টিপাত করার অবকাশ মিলছে না সেই গতির কারণেই...! কিছুদিন আগে বিশ্বব্যাপী পালিত হল “বিশ্ব পরিবার দিবস। ”- সে উপলক্ষে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রের কয়েকটি নির্বাচিত নিবন্ধ তুলে ধর হল...]
আমরা অনুতপ্ত...
জীবনে এটিই বোধহয় সবচেয়ে বড় বুমেরাং :ভূমিকায় যার অর্চনা করা হয় উপসংহারে হয়ত তারই মুণ্ডপাত ঘটে!মনের রাজধানীতে এখনো সজীব প্রথম বাবা হওয়ার বিলবোর্ড: হরতালে যানবাহনের প্রতি অলিখিত কারফিউ, রাস্তায় পুলিশ-পিকেটারের অহর্নিশি খণ্ডযুদ্ধ_স্বাধীন স্বদেশ যেন ভ্রাম্যমাণ ইরাক - সে মুহূর্তে গ্রাম থেকে যখন সংবাদ এল খোকা হয়েছে; আমি কি আর থাকতে পারি ভয়ের সরাইখানায়? প্রতিজ্ঞা করলাম আজ যদি মৃত্যুও হয় তবু বাড়ি যাবই। বহুকষ্টে পাওয়া রিক্সায় উঠার দেনা আমায় শোধ করতে হয়েছে পিকেটারদের নির্মম লাঠিপেটা সহ্য করে; আমার তীর্থযাত্রা যেন আরও বেগবান হয় তাতে; অবশেষে এক ambulance এ লাশ সেজে ফিরতে পারলাম কোনভাবে! আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় শরীরে তখনো জখম, অথচ খোকাকে কোলে নেয়ামাত্র আরামে দুচোখে ঘুম চলে এল! জীবনে বাবা হযেছি তিনবার ; আমার বুকের ভেতর যেন তিনটি খরস্রোতা নদীর সৃষ্টি হয়েছে_প্রতিদিন সেখান থেকে কর্তব্যের পানি তোলা হয়, সেখানে স্নেহের ডুবসাঁতার চলে , আর চলে প্রশান্তির পালতোলা নৌকা।
আমার সেই নদীগুলো ভরাট হয়ে সেখানে আজ নগরপত্তন ঘটেছে ;হয়ত তাই আমাদের সন্তানদের কাছেও সম্পর্কটা এখন এক ঐচ্ছিক ইশতিহার: বছরের পর বছর মা-বাবা ওদের থেকে বিস্মৃত, সময় করে একবার দেখতে আসার ইচ্ছা-আন্তরিকতা কোনটাই হয়না ওদের!পেনশনের টাকা জমিয়ে মেবাইল কিনলাম ওদের সঙ্গে প্রতিদিন একটুখানি কথা বলবার ঐকান্তিক প্রত্যাশায়, অথচ ওরা বলে -“ মা-বাবাকে প্রতিদিন ফোন করা বিলাসিতা,ব্যস্ততা, বৃদ্ধবয়সে ফোন কেনার কী দরকার...প্রভৃতি। ” আচ্ছা এই ব্যস্ততার মাঝেও যদি খাওয়া-ঘুম-হিন্দি সিরিয়াল দেখা নির্বিঘ্নে চলতে পারে, মাত্র ১মিনিট সময়ও কি আমরা পেতে পারিনা,ওরা এতটাই সময়ানুবর্তী? আমরা মোট ৯ভাই-বোন ছিলাম; আমৃত্যু সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করব বলেই বিশ্বাস করি , অথচ একই শহরে থেকেও ওরা তিন ভাই-বোন নিজেদের থেকে বিচ্ছিন্ন। এমনকি ওদের সন্তানদের মধ্যে পারস্পরিক জানাশোনা নেই পর্যন্ত। অন্যদিকে, ওদের সন্তানেরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে অনর্গল “গ্র্যান্ড পা- গ্র্যান্ড মা” বলে বেড়ালেও দাদু-দীদা’র মত সঞ্জিবনী শব্দগুলি ওদের অপরিচিত!ছিন্নমূল প্রজন্ম তৈরি করাই কি আধুনিকতা?নব্য আধুনিকতার উপহার আরও তাৎপর্যপূর্ণ: এই যেমন, তিন ভাই-বোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃদ্ধ মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবে; সেখানে নাকি আমাদের যত্নের ঘাটতি হবেনা! আমাদেরই ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে যারা এখন পূর্ণ মানুষ (সত্যিই কি?) হয়ে উঠেছে , তাদের কাছেই যখন আমরা উপযোগশূন্য, কয়েকজন অনাত্মীয় মানুষের টাকার বিনিময়ে বিলানো কৃত্রিম স্নেহে সেই ক্ষতের নিরাময় হবে এটি কি বিশ্বাসযোগ্য?স্নেহও কিনতে পাওয়া যায়...! না না আমার চোখে জল আসছেনা,এগুলো স্নেহ কেনার কড়ি!শেষ বয়সে কিছু চাওয়ার নেই, কিন্তু এই না চাওয়া থেকেই যে সকল পাওয়ার চাহিদা তৈরি হয় সে কথা আমাদের সন্তানদের কে বলবে?
আধুনিক মা-বাবা, তোমরা ভুল করোনা; সন্তানদের সঙ্গে এখনই লিখিত চুক্তি করে রাখ যাতে বৃদ্ধবয়সে তোমাদের দেখাশোনা করতে তারা বাধ্য থাকে, চুক্তিভঙ্গের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মামলা করার মানসিকতা তৈরি কর। তাই অন্তত মামলা চালনার প্রয়োজনে হলেও এখন থেকে “মামলা তহবিলে”কিছু কিছু টাকা জমা রাখো।
সন্তানকে যতই ভালোবাসো, তার জন্য চৌদ্দপ্রহর অভুক্ত থাক - সে কিন্তু নিঃসঙ্কোচে তোমায় রেখে কোর্মা-পোলাও ভোজনে পরিতৃপ্ত হবে। কারণ,সন্তানের ধর্মই হল হৃৎপিণ্ডকে কুচিকুচি করে তা দিয়ে স্বার্থের “হাওয়াই মিঠাই” বানানো!“লাগবে ‘হাওয়াই মিঠাই’.... লাগবে---?” এভাবে ফেরিওয়ালা হওয়ার জন্যই বোধহয় বাবা-মা হতে হয়!
জুবায়ের আলম: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
(ভুক্তভোগী অভিভাবক)
ইমিটেশনের মা-বাবা...
-অভিজিত দাস
এই বিশ্বপ্রকৃতিতে যদি আদৌ কোন মহাশক্তিধরের অস্তিত্ব থাকে তবে তার কাছে আমার একটি তুচ্ছতম জিজ্ঞাসা রইল: বাবা-মা আসলে কী এবং কেন তাদেরকে এত সমীহ করতে হবে?তার প্রত্তুত্তরের প্রতীক্ষায় না থেকে আমি নিজেই এর একটি জবাব ধরে নিচ্ছি এমন: বাবা-মা হচ্ছেন সেই দুজন খেয়ালী মানুষ যারা খেয়ালের বশে আমাদের জন্ম দিয়েই জন্মান্তরের আক্ষেপে নিক্ষেপ করেছেন !তাই যেসব বিদগ্ধ বৈয়াকরণ অত্যানন্দে ‘মাতাপিতার প্রতি কর্তব্য’ রচনা লিখে আমাদের সুবোধ শৈশবকে প্রতারিত করতে সচেষ্ট আমি পরমযত্নে কিছুসংখ্যক থুথু সঞ্চয় করে রেখেছি তাদেরকে উদ্ভাসিত করতে! অন্যদের প্রেক্ষাপট আমার অজানা , তবে আমি বেড়ে উঠেছি মাইনে করা আয়ার তত্ত্বাবধানে ;আমার বিনোদন-আহলাদ সবকিছুই সেই আয়া! ৩বছর বয়স থেকে আমার জন্য আলাদা বিছানা নির্ধারিত, কনকনে শীত কিংবা ঝড়ের রাতে মা-বাবার মাঝখানটায় শোয়ার তৃষ্ণার্ত সুখে আমি কেবল ছটফট করেছি, কিন্তু সেই সুখ আমার অনধিকারেই রয়ে গেছে ! ছুটির দিনগুলোতেও বাবা-মা ব্যস্ত থেকেছেন আত্মকেন্দ্রিকতায়: বাবা অফিসে কোন্ নারী সহকর্মীর সঙ্গে লাঞ্চ করল, মা বসের সঙ্গে একটু বেশি হেসে কথা বললো কিনা- এইসব নোংরা বিবাদেই তারা ক্লান্ত; আমাকে খেয়াল করার সময় কোথায়? দীর্ঘদিন আমার শৈশবের পৃথিবীতে শুধু একটি মুখই বিচরণ করত: সেই আয়া। আয়াকে বলতাম নতুন বাবা-মা কিনে আনতে ; সে বলত বাবা-মা নাকি এমনই হয়। কিন্তু আমাদের ঠিক পাশের ফ্ল্যাটেই আমার বয়সী একটি ছেলে ছিল; মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে খেলতে যেতাম; ওর মা ঈগলের মত ওকে আগলে রাখত সর্বক্ষণ। এমনকি ওর হোমওয়ার্কও ওর মা করে দিত।
মাতৃস্নেহের এরকম আধিক্যেতায় আমি এতটাই ঈর্ষান্ধ হয়ে পড়ি যে ওর সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দেই!এভাবে চলতে চলতেই একসময় বয়ঃবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় আমার নিষ্ঠুর একাকীত্বের শূন্যস্থানগুলো পূর্ণ হয়েছে নানারকম নিষিদ্ধ বিনোদন আর মাদকের নেপথ্য আতিথ্যে । এমন কোন নেশা নেই যা আমার অভিজ্ঞতার বাইরে। অনাদর, অবহেলার হতাশায় এই মধ্যবিশেই জীবনকে অতিরিক্ত আরোপিত মনে হয় আমার - যা ইচ্ছা তাই করি, বেঁচে থাকার সার্থকতাই খুঁজে নিয়েছি জীবন্মৃততার মাঝে! কাকে দায়ী করব আমি _ অবাধ স্বাধীনতা, মা-বাবার অবজ্ঞা, নাকি সেই স্বেচ্ছাচারী অদৃশ্য শক্তিকে ? ২৩বছরের পৃথিবী জীবনে আমি বাবা-মা’ র সঙ্গে ১০০টি কথা বলেছি কিনা সংশয়ে আছি; অথচ মা-বাবাতো সেই আশ্রম হওয়া উচিত যেখানে কথারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে উপাসনা করবে সম্পর্কের প্রগাঢ়তায়! সুতরাং শৈশব থেকে সৃষ্ট এই অনতিক্রম্য মানসিক দুরত্ব মা-বাবাকে আমার কাছে পরিচিত আর দশটা সাধারণ মানুষের চেয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করবে কিভাবে? আমার মা-বাবা তো আমার খেলনার মত; ইচ্ছে হল খেললাম, ইচ্ছে হল ছুড়ে ফেললাম_ তাদের কাছেই শিখেছি অনুভূতির অলঙ্কারে খাদ মেশাতে; তারা নিজেরাই যে ইমিটেশনে তৈরি!
-অভিজিত দাস : একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত
ঊর্ধ্বমুখী বল >> হৃদ্যতা
-ইমরুল কায়েস
মন যেন এক বিচ্ছিন্ন উল্কাপিন্ড : পারিপার্শ্বিক সবকিছুকে বিধ্বস্ত করে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে চায়। যে থাকে মনের সন্নিকটে, তাকে সসংকটে রাখাই মনের অভিরুচি। কে বন্ধু-কিসের বন্ধু!বন্ধুত্বের বন্ধন ক্ষেত্রবিশেষে ধাতব কিংবা সমযোজী হতে পারে ; আয়নিক হবার মত আকর্ষণ সেখানে অনুপস্থিত।
আড্ডা দিচ্ছি, এক সিগারেট ৫জনে টানছি, কিন্তু এই আড্ডার গড্ডালিকায় অন্যকে ভাসিয়ে নিজের পথ সুগম করাই প্রকৃত উদ্দেশ্য; হঠাৎ নিকোটিন বন্ধুর ফুসফুসটা বিকল করে দিক এমন প্রার্থনাও করি দ্বিতীয় মনে _ এতে করে একজন প্রতিদ্বন্দ্বীও যদি লাইনচ্যুত হয়!সেই উচ্চতায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে চাই যেখানকার ৩৬০ডিগ্রি অঞ্চল থাকবে শুধুমাত্র আমার অধীনে। উচ্চতার একধরনের অহঙ্কার আছে যার ভাগ কাউকে দেয়া চলেনা। বিশ্বায়নের রেলগাড়িতে ইতোমধ্যেই ধারণক্ষমতার ৭গুণ যাত্রী সওয়ারি হয়েছে,হচ্ছে প্রতিনিয়ত... তবুও নিজের আসনটি সেখানে নিশ্চিত করতেই হবে। বন্ধু-সিন্ধু একবিন্দু হয়ে মিলিয়ে যাক ভূমধ্যসাগরে; আমার কী তাতে!আমার এক নির্বোধ-প্রতিভাবান বন্ধু ছিল: ভূমিকম্পের পূর্বাভাস প্রদানকারী এক বিশেষ যন্ত্র তৈরি করে সে যখন আমাকে দেখাতে আনলো আমি যন্ত্রটির উদ্ভট যত ত্রুটি ধরে তার আত্মবিশ্বাসই নড়বড়ে করে দিলাম; ফলশ্র“তিতে সে যন্ত্রটি তৎক্ষণাৎ ছুড়ে ফেলে দিল। কিন্তু আমি তার প্রতিভার ব্যাপারে সর্বান্তে নিঃসংশয় ছিলাম বলেই গোপনে সেই যন্ত্রটি একটি বিদেশী কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে মুফতে পয়সার পসরা সাজালাম!
প্রতারিত কি আমি হইনি?আমারই জনৈক বৈষয়িক বন্ধু শেয়ার ব্যবসার ধোকাবাজিতে আমার বিশাল অর্থ আত্মসাৎ করে নিয়েছে।
এভাবেই চলতে হয়- জীবনের জ্যামিতিক সূত্র মেনে। “ককফাইটের” মত প্রতিমুহূর্তে পরস্পরকে কুপোকাত করতে হবে; স্থির হলেই ধরাশায়ী।
“যৌবনের উদভ্রান্ত শখ” মাঝে মাঝে পথ আগলে ধরে; ব্যস, আমিও সে শখকে বিনিয়োগ করি “ইন্দ্রিয়কেন্দ্রিক মুনাফা”র লোভে : মিসকলে জেরিনের সঙ্গে পরিচয়,৭দিনের মধ্যে সাক্ষাৎ,৮ম থেকে ১০ম দিন পর্যন্ত তুমুল অনুভূতির “সিডর”বয়ে গেল,১১দিনের দিন কোন এক বন্ধুর নির্জন ঘরে দুজনের ডাংগুলি খেলা...দ্বাদশ-ত্রয়োদশ দিন সেই খেলারই পরম্পরা এবং ১৪তম দিনে জেরিন-আমি আলাদা!এরপর আরও জেরিন এসেছে, জেরিনের জীবনেও অনেক আমি! জীবনে প্রণয় আর প্রলয় যেমন প্রাকৃতিক নিয়মে আসে, তেমনি নিজেদের তাগিদেই আবার প্রস্থান করে; সুতরাং জেরিনরা বহুব্যবহারে জীর্ণ হবে এটিই শ্রেষ্ঠ সত্য!
-ইমরুল কায়েস: ব্যবসায়ী
নাগরিকতার প্রেতাত্মা...
-সংকলিত
আমরা আসি দিনের আঁধারে, রাতের আলোতে,নৈঃশব্দের কোলাহলে, বৈপরীত্যকে স্বাভাবিক করা আমরা কয়েক নাগরিকতার জটায়ু প্রেতাত্মা!মুক্তবাজার অর্থনীতির “স্যান্ডউইচ ” নিয়ে বসে আছি আমরা; চাহিবামাত্রই আপ্যায়নের অপার নিশ্চয়তা ! বিনিময়ে শুধু মানবিক সত্তাটুকু আমাদের কাছে বন্ধক রাখলেই চলবে। বেড়ে যাচ্ছে আকাশের উচ্চতা, কিন্তু তাকে স্পর্শ করতেই হবে। তাইতো আমাদের এই “ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প” “স্যান্ডউইচ” খাও, আকাশে উড়ো, শ্রান্তদেহে ঘুমিয়ে পড়ো ;কাল ভোরেই আবার আকাশ ছোয়া অভিযানে নামতে হবে।
তুমিতো জন্মেছো টেস্টটিউবে, আমরাই তোমায় জন্ম দিয়েছি। প্রতিদিন টেস্টটিউবে সম্পর্কের প্রজনন ঘটে আমাদেরই প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে : মা-বাবা- সন্তান-স্ত্রী-প্রেয়সী, কী লাগবে বল? আমরা টেস্টটিউবে করে পৌছে দেব তোমার ব্যক্তিগত কক্ষে। আধবেলা কোনভাবে ওদের নিয়ে মশগুল থাকো, এরপর ভেঙ্গে ফেল। কারণ দেরি করলেই খেচরের সংখ্যা বেড়ে যাবে। টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মত প্রতি বলে তোমায় চার-ছয় হাকাতে হবে; ডট বল করলেই দর্শকের দুয়ো, স্পন্সরদের রক্তচক্ষু।
আমাদের লক্ষ্য তোমার মননের সর্বোচ্চ ব্যবহার , সেইসঙ্গে মনের হনন, কেননা “মন”থাকলেই মানবিক হয়ে উঠার আকাক্সক্ষা জেগে উঠতে পারে!.............................
# গত কিছুদিন যাবৎ ভীষণ “identity crisis” এ ভুগছি; নিজেকে কেবলই এক সাড়ে ৫ফুট “টেস্টটিউব” মনে হয় আমার। সম্ভবত মানুষমাত্রই এখন বিশ্বায়নের বিস্ময়‼
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।