আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..
[আমাদের প্রাজ্ঞ পাঠকেরা হারিয়ে যাচ্ছে আলোকবর্ষেরও অধিক দ্রুততায়; বই পড়ে সময় কাটানোর চেয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে যদি চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়!বর্তমান যুগের নেতৃত্ব তাই রবীন্দ্রনাথ থেকে বিলগেটসের কাছে স্থানান্তরিত!১১নম্বর ব্যাটসম্যান হয়ে এখনো কিছুসংখ্যক পাঠক হয়ত উইকেট অক্ষত রেখেছে, কিন্তু সে কী আর ম্যাচ জেতাতে পারে!কাব্য-মহাকাব্য-উপন্যাস পড়ার জন্য নিযুত সময় বিনিয়োগে এরা অনাগ্রহী; সেই সুযোগে সাহিত্য এখন অণুকাব্য-অণুন্যাসের ক্রীড়ানক!নজরুল শতবার্ষিকীতে “জাতীয় জনশূন্যতা দিবস” তৈরি হয় , অথচ এইসব অণুন্যাস লেখকেরা কালজয়ী সাহিত্যকে পাঁচ পৃষ্ঠার সংক্ষেপিত সংস্করণে রূপ দিয়ে দেশবরেণ্য কথাশিল্পী হয়ে উঠছে। ভাষার প্রশ্নে তারা “মুক্তবাজার অর্থনীতি”; যেকারণে সজ্ঞানে ‘গুরুচণ্ডালী দোষ’ ঘটিয়ে তারা সাধু-চলিত ভাষাকে সতীর্থতায় বাধ্য করেছেন। এতে শিল্প কতটা সংরক্ষিত হল তা নিরীক্ষণ পণ্ডশ্রম; সাহিত্য নাকি এখন ভাষার গড়ের মাঠ!
(#)
মধ্যাহ্নের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন যেন এক নদীমোহনা: একদলের ক্লাস শেষে নীড়ে ফিরিবার উপক্রম, কেউ চুটিয়ে আড্ডা দেয়, আবার কেউবা পাঠাগারে নিবিড় অধ্যয়নরত!কিন্তু এই মধ্যাহ্নেরই এক দলছুট নদী নীলাদ্রী শেখর : এক্ষণে তাহার তটে সাহিত্যের সোনার তরী নোঙর করে; তার ভাষায়- মধ্যাহ্ন হইল দাম্পত্যের প্রথম তিনমাস: আবেগ-অনুভূতি-প্র ণয়ের সবেগ উদগির যেমন এসময়ের অলংকরণ ,মধ্যাহ্নে সাহিত্যের অকৃপণ অবগুণ্ঠন অবমুক্তিও তেমনি এক পরিতোষ কার্যকরণ! নীলাদ্রী শেখর - ঈশ্বরের সবিশেষ কৃপায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়ার ফুসরত মিলেছে, বহুমাত্রিক শৌখিনতার তোড়ে পড়াশোনার অবকাশ তার সামান্যই , তথাপি বছরান্তে যেনতেন প্রকারে ফার্স্টক্লাস একখানি জুটিয়া যায়; অন্যদিকে সাহিত্য লইয়া নিঃসীম ভাবনা করিলেও আন্তরকিতার ঘাটতি লক্ষণীয় এখানেও: এক ভরদুপুরে ইচ্ছে হল তো সারাদিন লেগে রইল , আবার হঠাৎ পুরোপক্ষকাল নিদারুণ নিশ্চুপ; এমনই অস্থিরমনা চরিত্র “প্রভাতকুমার”_ এটা নীলাদ্রীর পোষাকি নাম; সে বলে মা-বাবা এই অর্বাচীন পুত্রটিকে ধরণীতে আনিয়াই কর্তব্য সম্পণœ করিয়াছে, কিন্তু প্রভাতকুমার সম্পূর্ণই তার নিজস্ব সৃষ্টি ; অতএব “নীলাদ্রী” আর “প্রভাত” একই ব্যক্তি কিভাবে হয়! পূর্বপুরুষ সব পশ্চিমবঙ্গ নিবাসি হওয়ায় তাহার নিজের কথ্যভাষাতেও অনেকটা “কলকাতার নান্দনিক টান”, সঙ্গে পুরু ফ্রেমের চশমা আর ৬ফুট দৈর্ঘ্যরে শরীর বন্ধুমহলে তাকে সহসাই “সত্যজিত রায়” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। ভ্রমণ বিলাস, বইপত্র কেনা, সপ্তাহান্তে থিয়েটার গমন, ফটোগ্রাফি কোর্স, সংবাদ উপস্থাপনা কোর্স প্রভৃতি বহুবিধ কর্মকাণ্ডের দরুণ অর্থের একটি বিশাল অংশ ব্যয়িত হয় বলিয়া এইসব অর্থনাশের( পরিবারের ভাষ্য) বন্দোবস্ত তাহার নিজস্ব তহবিল হইতে যোগাইতে হয় ; সুতরাং “শিক্ষার আলো হলে বিতরণ ,মা লক্ষèী হবে আহরণ”_মানে গৃহশিক্ষকতাই পরম আশ্রয়!রমণীকুলের ব্যাপারে প্রচণ্ড উন্নাসিক হলেও নিয়তি তাহাকে ছাত্রীই জুটাইয়া দিয়াছে ; উপরন্তুু উচ্চমাধ্যমিকের মত বিপজ্জনক বয়সী ! যদিও ছাত্রীটির প্রতি নীলাদ্রীর অনুযোগের পরিমাণ লক্ষাধিক; তন্মধ্যে শীর্ষে তার বাচনভঙ্গি: একটিমাত্র পূর্ণাঙ্গ বাক্য বলতেই সে সাড়ে পাঁচমিনিট সময় নেয় ;কথা বলে “মীনা কার্টুনের” ঢঙে! অবশ্য এ সংক্রান্ত এ নীলাদ্রীর একটি নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে: মেয়েটি বাবা-মা’র একমাত্র সন্তান হওয়ায় শৈশব থেকেই আহলাদে কথা বলতে বলতে এখন আহলাদটাই স্টাইল হয়ে দাঁড়িয়েছে; তার নামটিও বড় অদ্ভুত: সুচিত্রা গুহ। মেয়েদের সাথে বন্ধুত্বে তার কোন সংকোচ নেই কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় মেয়েদের “অতি অভিনয়”(সহজ ভাষায় “ন্যাকামি”)।
নীলাদ্রীর ধারণা, শুধুমাত্র এই অতিঅভিনয়ের কারণেই কোন দেবদূতের নারীসুলভ নাম হয়নি। ওর ক্লাসে সর্বসাকুল্যে ১২জন মেয়ে আছে, যাদের মধ্যে ৫জন সর্বদা একই বেঞ্চিতে বসে, একই রঙের পোশাক পরিধান করে,সাজসজ্জায় বিয়ের কনে, আর ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রদের সঙ্গে নিবিড় অন্তরঙ্গতা বজায় রেখে ফায়দা লুটায় তারা স্বতঃসিদ্ধ!একারণে পুুরো দলটিকেই নীলাদ্রী বলে “পুঁজিবাদী শ্রেণী”। ওদের দেখলে নীলাদ্রীর ভিতর এক বিদ্রুপাত্মক করুণার সঞ্চারণ ঘটে-আহ! বিধাতার শেষকালে এমনই দুর্বুদ্ধি হল যে গুটিকয়েক রাজহংসীকে মানবীর আকৃতি দিলেন! তবে ইলোরা, মেীটুসী,তনুশ্রী, রেবেকা ছাড়াও পুঁজিবাদী আখ্যায়িত দলটির পঞ্চমজন –“স্বর্ণালী”, যার ব্যাপারে নীলাদ্রীর বাক্যরূপ মিছরির ছুরিতেও ৭০০ঘনফুট মরিচা ধরে ; কেননা তার মনে হয় স্বর্ণালী পুঁজিবাদী শ্রেণীতে থেকেও যেন পুজিকে পুঞ্জীভূত না করে বরং দানেই প্রসাদিত হয়, স্বর্ণালীর মাঝে স্বয়ং ওডিসি কাব্যের পেনিলোপের অধিষ্ঠান যার চাতুরীর অন্তরালেও আছে পবিত্রতার তক্তপোষ!তবে নীলাদ্রী যা-ই বলুক তার প্রচলিত পুঁজিবাদী ধারণায় স্বর্ণালীর অন্তর্ভুক্তি অবধারিত, কেননা সমগ্র ক্লাস অমনোযোগী থাকিয়া নিশীথে ক্লাসের মেধাবীতম ছাত্রটিকে ফোন করিয়া তাহার নিকট হইতে পড়া বুঝিয়া লওয়া তার প্রাত্যহিক নামচা। শুরুতে এই ফোন-ফোন বিনোদন শুধুমাত্র পড়াশুনার তাগিদে হলেও কালের প্রবাহে মনের প্রাণমূর্তিও তাহাতে স্থান করিয়া নিয়াছে; কারণ সে ছেলেটির আচরণে এখনও পড়ন্ত কৈশোর খেলা করে, ব্যক্তিত্ব যেীবনের অভব্যতাবর্জিত যা কিনা স্বর্ণালীর মত পাঁচতারা হোটেলকেও প্রলুব্ধ করে রাস্তার খোলা দোকানের ফুসকা হতে!সেই ছেলেটিই উপল গোস্বামীÑচেীকস ছাত্র, অসাধারণ দাবাড়–,আর নীলাদ্রীর ভাষায় -দেবদূতদের পৃথিবী প্রতিনিধি!
প্রথমবর্ষ থেকেই প্রথম হওয়াটা যেহেতু উপলের পেশা(!) হয়ে উঠেছে, তাই সহপাঠীরা যে তাকে একটু বিশেষ সমীহ করবে তাতো স্বাভাবিকই! তবুও নটরডেমে পড়াকালীন সময়ের ৪ বন্ধু অহিন, অধি, ম্যাচেল , আরমান, সঙ্গে ও নিজে মিলে ক্লাসে “বেতাল পঞ্চবিংশতি”হিসেবে পরিচিত; এই “বেতাল পঞ্চবিংশতি” আবার “পুঁজিবাদী শ্রেণীর” পরমাত্মীয়! নীলাদ্রী ওদের দশজনকে উপমিত করে এভাবে-“১০দেহ দেড় প্রাণ”; দেড় বলার কারণ, মেয়েরা নাকি কখনই সকলে মিলে একপ্রাণ হয়ে উঠতে পারেনা; তাহাতে কিছু গলদ থাকিবেই! স্কুল-কলেজ সর্বত্রই সহচরী সহযোগে অধ্যয়নের সুযোগবঞ্চিত হওয়ায় উপলের নিকট নারীমাত্রই “বিশুদ্ধ অম্লযান”! তাই কোন রমণীর সহিত ২খানি বাক্যবিনিময় হইলেই তাহার চিত্তে প্রফুল্লতার বাদ্য বাজে; সেক্ষেত্রে সস্রতম (সহস্রের মধ্যে এক)ললনা স্বর্ণালী যদি তাহাকে প্রতিরাত্রিতে ফোন করিয়া ঘণ্টাব্যাপী কুশলাদি জিজ্ঞাসে, উপলের অবস্থাতো অনুমেয়ই: ফোনালাপের সমগ্র সময়টিতে উপলের চেতনা আমাজান নদীর অতল গভীরে নিমজ্জিত থাকে, ফলে প্রতিদিনই কথা শেষ হওয়ামাত্র সম্মোহিতের মত ধপাস করে পড়ে যায় সে! পক্ষান্তরে, স্বর্ণালীর দিকে সরাসরি তাকাতে সংকোচ হয় উপলের, পাছে যদি স্বর্ণালী র অরণ্যে সে হারিয়ে যায়! যদিও এই নিখোজ হওয়াটাকেই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করে সে, তবুও ফিরে তাকে আসতেই হয় ; হাত পেতে দান গ্রহণে যার প্রবল বিতৃষ্ণা,সে মানুষ হৃদয় পাতবে কোন্ শ্লাঘায়?তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নতুন মেয়ের মাঝে সে স্বর্ণালীর বিকল্প খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু সবাইকেই কেমন স্থির-মৃত মনে হয় তার! তবে কি স্বর্ণালীকে সে ভালোবাসে?ভালোবাসা কি সেই অতৃপ্ত আত্মা যে শ্মশানে জন্ম নিয়ে গৃহের সম্মুখে প্রাণত্যাগ করে?এ জীবনে স্বর্ণালীকে সে শুধু একবার দীর্ঘ স্পর্শ করতে চায়, তার ওষ্ঠে হাত ছুঁইয়ে সেই হাতে চন্দনকাঠের শুভ্রতা নিতে চায়; চুম্বন কিংবা কাম দ্বারা বশীভূত হয়ে নয়। এই সব পরাবাস্তব কল্পনা শুধুই মনের গুপ্ত সুড়ঙ্গসংখ্যা বৃদ্ধি করে চলে, অথচ বাস্তবে রীতিমত “তুই” সম্বোধন নিজেদের মধ্যে!
স্বর্ণালীরা ২ভাইবোন, ভাইটি ক্লাস সেভেনে পড়ে।
সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার ওদের: দাদা সে আমলের হাজী ছিলেন, এমনকি দাদীও কুরআনের হাফেজ। বাবাদের যুগে ধর্ম-কর্ম ঐচ্ছিক হয়ে পড়লেও ঐতিহ্যের দাগ কি সহজে মুছে?“ দুটো ছেলেকে ভালো লাগল আর দুজনই কিনা “শ্রীযুক্ত” হল!জগতে একজন হিন্দু কম হলে সনাতন ধর্মের কি খুব ক্ষতি হত?”-পড়ার টেবিলে এমন মনস্তাত্ত্বিকতার বিভাজন চলার ক্ষণে উপলের ফোনে বিবশতা ভাঙল স্বর্ণালীর:
Ñকিরে, আজ ক্লাসে এলিনা কেন, ওয়াহিদ স্যার assignment দিয়েছে ; তারচেয়েও বড়কথা হলো নীলাদ্রী নবীনবরণের নাটকে তোকে নায়িকা করতে চায়। আমাকে বলল তোর আগ্রহ আছে কিনা জানতে!
-যার নাটক সে বোবা নাকি যে অন্যের মাধ্যমে প্র¯ত্তাব পাঠাতে হবে?বাদ দে ওসব, আজ অন্যরকম কিছু বলব তোকে:আচ্ছা এই যে আমরা প্রতিরাতে ঘণ্টাচুক্তিতে কথা বলি, তোর-আমার FNF করা... এসবের কী অর্থ উপল?
-আমি কি জানি কোন্ নটরাজ নর্তন-কোর্দন করে ফি-রোজ মনের নাট্যশালায়! কেবল এটুকু জানিÑ কখনো কখনো ভীষণ রাত্তিরে তোকে “তুমি” বলতে ইচ্ছে হয়; কেন তুই মুসলিম হলি?
-তুই মুসলমান হলেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটত কিনা সংশয়ে আছি। তবে একজন... থাক আজ রাখি। শোন কাল ফতুয়া পড়বি, টি-শার্টে তোকে যক্ষ্মারোগীর মত লাগে; তোর শরীরটা ফতুয়া পড়ার জন্যই তৈরি হয়েছে বোধহয়।
দেখা হবে প্রভাতে!
“তোমার পড়াশোনায় ক্রমাগত অবনমন ঘটছে, সমস্যা কী বলতো”- নীলাদ্রীর এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে মুখ চেপে হাসে সুচিত্রা। “তুমি এভাবে হেসে আমাকে যে অপমান করছো বুঝতে পারো?”-এবার সুচি গম্ভীর হল-“ কী করব স্যার, আপনি যতক্ষণ পড়ান এর বাইরে পড়ায় মন বসাতে পারিনা যে”- সুচির কণ্ঠে চরম আকুলতা। “দীর্ঘদিন বই থেকে দূরে থাকার দরুণ তোমার confidence level বেশ low হয়ে গেছে। চল আজ পড়াশোনা বহির্ভূত আলোচনা করি। ...
সুচি একদৃষ্টে নীলাদ্রীর দিকে তাকিয়ে রয়।
“HSC‘র পর কোথায় পড়তে চাও, IBA নাকি Finance?নীলাদ্রীর প্রশ্নে সম্বিৎ পেল সুচি -“কোথাও না, IR ; কেন জিজ্ঞেস করুন”- নীলাদ্রী বুঝে গেছে এবার তল্পিতল্পা গোটাতে হবে; ছাত্রী এখন পড়তে নয়, পড়াতে চায়! কিন্তু তার সর্বব্যাপী কর্মকাণ্ড বজায় রাখতে এই লোভনীয় সম্মানীর টিউশনিটা কিভাবে হাতছাড়া করবে যতক্ষণ না অন্যত্র বন্দোবস্ত হয়: অতএব প্রবঞ্চক তাকে সাজতেই হল। নীলাদ্রী চায় অনেক বড় হতে , আর অনেক বড় হতে গেলে মাঝে মাঝে অনেক নিচেও নামতে হয়, উপর-নিচের মধ্যবর্তী দুরত্ব মাপতে!এ মুহূর্তে সুচি এক গোল্ডফিস , সে নিজে সুচির একুইরিয়াম...আলতোভাবে সুচিত্রার চিবুক তুলে ধরল নীলাদ্রী, তাতে সুচির বিশ্বমানচিত্রে সাতটির সঙ্গে আরও একটি মহাদেশ সংযোজিত হল Ñ“এখন আমার পড়ায় মন বসবে নীলাদ্রী, তোমার এই বাহু দুটিরই অভাববোধ ছিল আমার, আজ তুমি নিজে তা পূরণ করে দিয়েছো। ”এবার সুচিত্রার কণ্ঠে কেীতুক,“তোমার কণ্ঠস্বর শুনলেই বিটিভিকে মনে পড়ে :অবিকল সিসিমপুর নাটকের “হালুমের” মত। ” নীলাদ্রী নিরুত্তর;ছাত্রী নাকি মেয়ের মত,কিন্তু তার ছাত্রীতো নিজের মেয়ে না হয়ে শ্বশুরের মেয়ে হবার ফিকির করছে! তাই এখনকার মাইনের টাকাটা সুচিকে সঙ্গ দেবার পারিশ্রমিক ! এ সমাজে বণিতা সাধারণত নারীরাই হয়ে থাকে, কিন্তু নিজের কর্মকাণ্ডে এই মুহূর্তে হঠাৎ নিজেকে “পুরুষ বণিতা” ভিন্ন অন্য কিছু লাগছেনা তার!বড় হতে গেলে যদি এতটাই নিচে নামতে হয় তবে তাকে আসলেই কি বড় হওয়া বলে?”দ্রুত সুচিত্রার বাসা থেকে নেমে এল নীলাদ্রী ; পৃথিবীটাকে কেমন চৌকোণা মনে হচ্ছে তার ,রাতের ঢাকার নিয়ন আলোয় সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে শরীরে কিলবিল করছে কাকড়া; এমন সময় চৌকোণা পৃথিবীর শেষপ্রান্তে উল্টো ঘুরে খোলাচুলে দাঁড়িয়ে আছে স্বর্ণালী! (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।