শঙ্খপাপ আমার
শেষ স্লোগানটা দিতে চাই,
তারপর আর- মাগো, আমি আর মিছিলে যাবো না,
কসম কাটছি। তোমাকে আর চিংড়ি মাছ-লাউপাতার
তরকারীটা রেঁধে বসে থাকতে হবে না।
বলতে হবে না, 'না খেয়ে কি ছিরি হল শরীরটার!'
বিষন্ন আমার ভাবতে হবে না নিজের বাদে অনেকাংশের কথা;
দাঁড়িওয়ালা ঐ মুখোশগুলো দেখ- দাঁড়ির ফাঁকে ফাঁকে এরা
অমঙ্গল ধরে রাখে! সুরমা দেয়া চোখে নব্য আফগান।
আমি স্রোতে ভাসিয়ে দেয়া এক যুবক হব-
হাতে ধরা বিশ্বাস আমার অন্তরে না গেলেও চলে;
মাগো, আমি ভুলে যাবো সেই বীরঙ্গনা নারীর কথা
যার সকরুণ কুমড়ার আবাদ আমাকে দিয়েছিল প্রেরণা,
আমি মিথ্যে জানবো ত্রিশ লক্ষ প্রাণের কথা-
রক্তনদী শুকাবে রোদে রাখা কিসমিসদানার মতন।
পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার সুলভ রিক্সার প্যাডেল আমাকে
পৌঁছে দিবে "সমর্থক-কর্মী-সাথী"দের চাঁদমারি সভায়।
মাগো, ফিরিয়ে যাওয়ার আগে শেষ স্লোগানটা দিয়ে যাই,
বলে রাখি, "নড়বড়ে ধার্মিক বাঙালী জাতির কাছে বাঙালীত্ব
ঢের বেশি লালনীয়।"
হাত গুঁটিয়ে নেয়ার আগে তের কোটি দিয়াশলাই'র যে কোন
একটিতে আগুন দিয়ে যাই- এরা জ্বলার অপেক্ষায়।
জানি, আগুনের মতো আবেগও সংক্রামক;
তোমরা আবেগ আর আগুন নিয়ে খেলতে এসো না -
জ্বলে যাবে, মরে যাবে; হার অবশ্যম্ভাবী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।