আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়
কর্মজীবি মহিলাদের অনেক প্রেশার থাকে অফিসের কাজ সামলানো ঘর সামলানো বাচ্চা কাচ্চা সামলানো... সে মহা ঝামেলা। তার পরও তারা কাজ করে। কারো স্বামী হয়তো কাজ করে না বউয়ের উপর নির্ভর করে আবার কেও আছেন বরাবরি দেখানোর জন্য কাজ করে থাকে আবার কেউ বাড়তি আয়ের জন্য। নির্ভর করে কার কি পরিস্থিতি।
ঘটনা কলেজে থাকাকালীন।
গাজীপুর গেছি এক ফ্রেন্ডের একটা কাজে। আমার ফ্রেন্ড আবার আমার থেইক্যা ২ বছরের বড়। আমি আমার থেকে বড়দের সাথে বন্ধুত্ব করতে বেশি পছন্দ করতাম। যাই হোক আমার বন্ধু ঢাকা থেকে কলেজ বদলি করে নোয়াখালী কলেজে ভর্তি হবে তাই তার একটা কাগজ দরকার যা কিনা নোয়াখালী কলেজে দেখালে তাকে ভর্তি করবে। অফিস রুমে গিয়ে দেখি একজন মহিলা বসে আছেন।
তাকে গিয়ে সব কাহীনি বলা হলো তিনি ইশারা দিয়ে বসতে বললেন। বসে আছিতো বসে আছি। আমার দুস্ত আবার অপেক্ষা করার মতো পুলা আছিলো না। সে শুধু খচর মচর করতেছে, চেয়ারে শব্দ করতেছে, ফাইল টানাটানি করতেছে। মহিলা একবার তাকাইয়া ভয় দেখাই দিলো।
আমার আবার বিড়ি টানার বদ অভ্যাস ছিলো, তাই একটু পর পরই বিড়ি টানতে বাইরে গেলাম। বিড়ি টানার পর একটা মৌ মৌ গন্ধ ছড়াই থাকতো শরীর থেকে। মহিলা বেশ বিরক্ত হইলো মনে হয়। কিছুক্ষন পর মহিলা আরেকটা রুমে গিয়ে সাইন নিয়ে আসতে বললো। সে রুমে গিয়া দেখি লুক নাই ২টার পর আসবে।
তাই আমরা একটু মেয়ে দর্শনে বের হলাম। কিন্তু কুথাও কুনু মেয়ে পাইলাম না। বাধ্য হয়ে আমরা একটু বুড়ু টাইপের মেয়েদের সাথে বদমাশি করার চেষ্টায় থাকলাম।
দুপুরের খাওয়া শেষে ২টার আগেই ওই লুকের সাথে দেখা করলাম তিনি ফাইল খুইজা বাহির কইরা সাইন কইরা দিলেন। আমরা সাইন পাইয়া নাচতে নাচতে বাহিরে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইলাম, ভুলেই গেলাম ওই মহিলা আবার তার কাছে যেতে হবে।
হঠাত করে পিছন থেকে এক লুক ডাকতে থাকলো, জী, আপনাগো আপা ঢাকে! কুন আপা? ওইযে ওই রুমে বইয়া আছে। গিয়া দেখি সকালের সেই মহিলা। অগ্নিমুর্তি ধারন করে বসে আছে। ভয়ে ভয়ে গেলাম। যাবার সাথে সাথেই
কষে থাপ্পর লাগাবো তোমাদের।
(আমরা দুইজন বুকা হই গেলাম)
তোমাদের পাঠিয়েছি সাইন করিয়ে আনতে! কোথায় ছিলে?
(কিছু বলার সাহস পেলাম না)
জানো তোমার এই কাগজে আমার সাইন ছাড়া তোমার ভর্তি সম্ভব নয়, জানো আমার খাতায় তোমার এই নাম্বার রেজিস্টার করতে হবে, আর জানো আজ বিকেল পাচটার আগে কাগজটা স্যারের কাছে না পাঠালে আগামী সপ্তাহেও তোমার ভর্তি সম্ভব নয়।
(দুইজন চুপ, থাপ্পর খাবার ভয়ে)
মহিলা আবার বললেন, যাও এখান থেকে তোমাদের কাজ হয়ে গেছে, আর শুনো এই ফটোকপিটাও নিয়ে যাও।
দুজন নীরব। সারাটা রাস্তা চুপ। ভাবছি ওই মহিলা যদি না ডেকে কাগজটা সাইন না করতেন তাহলে আমার দুস্তের আবার সব ঝামেলা করতে হতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।