এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
ছেউড়িয়ায় লালনের ১১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীপালন আর জিয়া বিমান বন্দর এলাকা থেকে লালনের ভাস্কর্য অপসারণের স্মৃতি যখন ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে, তখনও, বেঁচে থাকবেন লালন তাঁর মানবতাবাদী গানের বাণীতে ও সুরে। বাংলাদেশের মন হাজার সুফি-সাধক-বাউলের পরধর্ম ও পরমত সহিষ্ণুতায় রচিত। ধর্মান্ধরা তো নয়ই, মৃণাল হকও বাউল বোঝেন কিনা সন্দেহ। তিনি বোঝেন অর্থ। সব সরকারের সঙ্গেই কীভাবে-কীভাবে লাইনঘাট করে যেনতেন শিল্পকর্ম গছিয়ে দিয়ে উচ্চহারের সম্মানী হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার মতো বাণিজ্যিক শিল্পী দেশে আর দ্বিতীয়টি নেই।
এবার অবশ্য তিনি নিজেই স্পন্সর জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু স্পন্সর জোগাড়ই শেষ কথা নয়। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লালনকে বিকৃতভাবে ('বিমূর্ত') উপস্থাপন করার কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। যদিও ধর্মব্যবসায়ীদের কারণে শেষরক্ষা হল না। একজন শিল্প-ব্যবসায়ী আর ধর্মব্যবসায়ীদের এ সংঘাতের অনেক ঊর্ধে লালন।
আর ব্যবসা আছে যেখানে, 'প্রথম আলো'ও সেখানে। দেখেশুনে এ কথাও ভেবেছি। তারপর, ভাবাভাবি বাদ দিয়ে, লালনের গানের বাণীতে ডুব দিয়েছি :
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।
লালন ভাবে জেতের কি রূপ দেখ্লাম না এই নজরে।
কেউ মালা কেউ তজবি গলায়
তাইতে ত জাত ভিন্ন বলায়
যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়
জেতের চিহ্ন রয় কাররে।
যদি সুন্নত দিলে হয় মুসলমান
নারীর তবে কি হয় বিধান
বামন চিনি পৈতা প্রমাণ
বামনী চিনি কিসে রে?
জগৎ বেড়ে জেতের কথা
লোকে গৌরব করে যথাতথা
লালন সে জেতের ফাতা
ডুবায়েছে সাত বাজারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।