ওয়াসিকুজ্জামান অনি
গত কদিন নানাবিধ ব্যস্ততায় আসলে পত্র পত্রিকা পড়া হয়নি, আর আমি আসলে খেলারপাতা ছাড়া পত্রিকার বাকি অংশ খুব একটা পড়িনা। তবে শুনেছিলাম কিছু কিছু বাচ্চাদের দুধে মেলামাইন নামক পদার্থটির অস্তিত্ত আবিষ্কারের খবর। কিছু ধড়পাকড় এরও খবর পেলাম।
যাহোক আজ সিলেট স্টেডিয়াম এ বসে জাতীয় লীগের প্রস্তুতিমুলক কিছু কাজ করছিলাম। এমন সময় আমার স্ত্রী ফোন করে বল্লো আসার সময় বাচ্চাদের দুধ এনো।
আমার দুই ছেলে কারীব আর কাইফ। বড়টি ৫ ও ছোটটি ২ বছর। তারা দুধটা খুব পছন্দ করে খায়। বলতে গেলে এটাই তাদের প্রধান খাদ্য। নানা অসুবিধায় গরুর দুধ রাখা সম্ভব হয়নি তাই ছোটবেলা থেকে খেয়ে আসা ডানোকেই তাদের জন্য বেছে নিয়েছিলাম।
এমন সময় হঠাত টেবিলে রাখা ঈত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় চোখ পড়ল আর দেখি লেখা আছে ডানো, রেডকাঊ, নিডো, ডিপ্লোমা সব নামকরা দুধেও নাকি মেলামাইন পাওয়া গেছে। একজন বাব হিসেবে আমার বুক কেপে উঠল, আমি এতদিন আমার ছেলেদের মেলামাইন মিশ্রিত দুধ খাইয়েছি। না জানি এতদিনে তাদের কত ক্ষতি হয়েছে।
দোকানে গিয়ে পেপার মিলিয়ে মিলিয়ে দুধ খুজি, অনেক খুজে খুজে একটা অখ্যাত ব্রান্ডের দুধ নিলাম যার নাম এখনো পত্রিকায় আসেনি, হয়ত কালই চলে আসবে। এখন বলুনত আমরা কি করি? এমনটা নিশ্চয় আমি নই বাংলাদেশের শত শত মাবাবা অসহায় বোধ করছেন।
আমি জানিনা যারা এমন দুধ আমাদের দেশে এনে আমাদের ভবিষ্যত প্রযন্মকে হুমকির মুখে ফেলছেন। তাদের ছেলেমেয়েরা কি দুধ খায়না? আমি চিন্তা করতে পারছিনা আমি এতদিন আমার ছেলেমেয়েদের কি খাওয়াচ্ছিলাম। মানুষের মনুষ্যত্ত্ব বোধটা বোধহয় একেবারে নেই হয়ে গেছে। নাজানি আর কোন খাবারে আরো কি বিষ মিশানো আছে। এজন্যই বুঝি আমরা বড় বেশী বিষাক্ত হয়ে গেছি।
নিজেকে হতভাগ্য মনে হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।