আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা হবে আফগান,আমরা হব তালেবান!!!

ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........

আজ লালন শাহের ১১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকি। কিন্তু গত কাল ১১৮ বছর পর এই লালন শাহ কে আমরা ২ বার মৃত্যুর মুখমিখি করেছি!!!”খাচার ভিতর অচিন পাখি” নামে বিমান বন্দরের সামনে যে ভাস্কর্য্য টি নির্মান করা হচ্ছিল তা শেষ হবার আগেই ভেঙ্গে ফেলা হলো!!!!মৃণাল হকের মত অসহায় আমরা চেয়ে চেয়ে দেখলাম কতটা নির্লজ্জের মত ভাঙ্গার কাজটা করা হলো!!!!! !!! মাদ্রাসার ছাত্রদের বিরুধিতার মুখে ভেঙ্গে ফেলা হলো বাংগালীর কৃষ্টী সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান লালনের ”খাচার ভিতর অচিন পাখি “ এই নামের মৃণাল হকের ভাস্কর্য্যটি!!!আগের দিন মৌলবাদিরা নিজেরা ভেঙ্গে ফেলতে যায়,কাল কর্তিপক্ষ এটি ভেঙ্গে ফেলার কাজ হাতে নেয়। আর তাতে হাত লাগায় সেই মাদ্রাসা ছাত্ররা!সবচেয়ে অবাক বেপার কর্তিপক্ষ এখন বলছে নকশা ভালো লাগেনি তাই এই সিদ্ধান্ত!!!! লাজ লজ্জার প্রতিষেধক নিয়ে মিথ্যাচার এখন যেন এখন সবাই মাঠে নেমেছে!সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেছে তিনি এবেপারে কিছু জানেন না!!! এটা হলো অবস্থা!! এই মৌলবাদিদের আরেকটি গ্রুপ জামাত ও এক সময় ভাস্কর্য্য,স্মৃতি সৌধ এসব কিছুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিত,যদিও এখন তারা তা করে না,তার বদলে নানা ব্যানারে এসব মৌল্বাদিরা তাদের কাজ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। এই জামাত ৭১ এর পর কোন দিন স্মৃতি সৌধে ফুল দেয় নি!তাদের দাবি এটা অইসলামিক!!কিন্তু২০০১ এ মন্ত্রি হয়ে ঠিকই ফুল দিতে গেছে সরকারি রেওয়াজ অনুসারে!!তখন তা পুজা হয় নি!!আসলে ক্ষমতা ইসলাম কে তারা ব্যাবহার করে ক্ষমতায় যাবার হাতিয়ার হিসাবে,বৃহত্তর মুসলিমদের মাঝে যারা ধর্ম ভিরু ও অন্ধ তাদের সহজেই ভিরাতে চায় এরা দলে! গত কয়েকদিনে দেশে এমন কিছু ঘটনা হয়ে গেছে যাতে ভবিষ্যত নিয়ে ভয় হচ্ছে! ১)হিজবুল তাহেরীনের জরুরী অবস্থার মাঝে সরকার পতন ও সব জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি,কর্তিপক্কের নিরবিকার ভুমিকা!! ২) মুক্তি যুদ্ধাদের বীরত্ত্বের চিহ্ন পাক জাহাজ রক্ষায় সকারের উদাসিনতা (সর্বশেষ জানা গেছে ভাঙ্গার ্জাহাজ কাজ আপাতত থেমেছে) ৩) চিহিত রাজাকার মুজাহিদের হুংকারে ভিত সরকার। হুলিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে তার বৈঠক।

আইন আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলী। ৪)আফগান তালেবানদের মত এদেশে ভাস্কর্য্য ভাঙ্গার দৃষ্টতা,কর্তিপক্ষের সহায়তা!! তার সাথে যুক্ত হচ্ছে,প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সশ্ত্র রাজপথের মিছিল, সরকারের সমর্থন। নিজামীর মুক্তি (খালেদা,হাসিনাও এতটা গুরুত্ত্ব পায়নি সরকারের কাছে) এসব কিছুর পর নতুন করে ভাবতে হয়,আসলে দেশ কোথায় যাচ্ছে!!!এই সরকার আসলে কি চায়?এরা কোন দিকে নিয়ে যেতে চায় দেশ কে?কারে হয়ে এরা কাজ করছে? এটা এখন সকলের কাছে পরিস্কার এসরকার দুরর্নীতি দূর করতে আসে নি। একটা মিশন আছে এদের। মিশনটা আস্তে আস্তে পরিস্কার হচ্ছে।

পরের লেখায় তা বলার ইচ্ছা আছে... শুধু এতটা এখন বলে রাখা যায়,এই সরকার যে সেনাসমর্থিত সিভিল সরকার তা সারা বিশ্ব জানে,আর বাংলাদেশের সেনা বাহিনী (বৃহত অংশ) ও সুপ্রিম কোর্টএর সিনিয়র বিচার পতিদের অধিকাংশের একটা বিশেষ রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান আছে যা সকলের জানা থাকার কথা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।