এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পারিবারিক সফরে কবি শঙ্খ ঘোষ এখন ঢাকায়। উঠেছেন এক আত্মীয়ের বাড়ি। ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে আজিজ মার্কেটে এসেছিলেন। চোখে ভারি ফ্রেম ও পুরু লেন্সের চশমা। বাংলাদেশের বইয়ের খোঁজখবর নেয়া ছাড়াও তরুণ কবি-লেখকদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছেন বাঙলা ভাষার এই কীর্তিমান কবি।
কবিকে ঘিরে আজিজের বারান্দায় ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ছোটকাগজ 'লোক'। আয়োজকদের প্রচারকৃপণতার কারণে অনেকের কাছেই খবরটি পৌঁছেনি। তারপরও মন্দ হয়নি আড্ডাটি। শৈশবের, কবিজীবনের এবং ইতিপূর্বে একাধিকবার বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণ ছাড়াও কবিতার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মূল্যবান অনেক কথা বলছেনে শঙ্খ ঘোষ। তরুণ কবি-লেখকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
প্রিয় কবি-লেখকের সঙ্গে যোগাযোগের সেরা মাধ্যম বই। বাড়ি ফিরে শঙ্খ ঘোষের 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' নিয়ে বসেছি। অনেকবার পড়া একটি বই। একেক পাঠে একেকটি কবিতা বিশেষ ভালো লাগে। আজ লাগছে 'কাব্যতত্ত্ব' নামের কবিতাটি :
কাল ও কথা বলেছিলাম নাকি?
হতেও পারে আজ সেটা মানছি না।
কাল যে আমি ছিলাম, প্রমাণ করো
আজও আমি সেই আমিটাই কি না।
মানুষ তো আর শালগ্রাম নয় ঠিক
একইরকম থাকবে সারাজীবন!
মাঝে মাঝে পাশ ফিরতেও হবে
মাঝেমাঝেই উড়াল দেবে মন।
কাল বলেছি পাহাড়চুড়াই ভালো
আজ হয়তো সমুদ্রটাই চাই।
দুয়ের মধ্যে বিরোধ তো নেই কিছু
মুঠোয় ভরি গোটা ভুবনটাই।
আজ কালকে যোগ দিয়ে কি হবে?
সেটা না হয় ভাবব অনেক পরে।
আপাতত এই কথাটা ভাবি
ফুর্তি কেন এত বিষম জ্বরে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।