গত কালকের(৯ অক্টোবর)একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে যে, জাতীয় বুদ্ধিজীবি কবরস্থানের প্রায় আড়াই বিঘা জায়গা সরকার আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দিয়ে দিচ্ছে । আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম একটি সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠান । যারা বেওয়ারিশ লাশের দাফন কাজ একচ্ছত্রভাবে করে বেড়ায় । নগরীতে কারা বেওয়ারিশ হয় সে ব্যাপারে আশাকরি সবারই একটা ধারনা আছে । এ ব্যাপারে নতুন কিছু বলার নেই ।
শুধু বলার আছে জাতীয় বুদ্ধিজীবি কবরস্থান নিয়ে । আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশবরেন্য লেখক বুদ্ধিজীবি আহমদ ছফা লোকান্তরিত হলেন । সঙ্গত কারনেই আহমদ ছফার মরদেহ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে সমাহিত করার জন্য নেয়া হলো । কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের লিজ নেয়া একমাত্র রাজনৈতিক দলের দুজন নেতা.. .এরমধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মুক্তিযোদ্ধাকরনের সোল এজেন্ট.. তারা বললেন,ছফা নামে কাউকেতো চিনিনা। সে আবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে নাকি ?অথচ তার ক'দিন আগে প্রয়াত নীলিমা ইব্রাহিম মুক্তিযুদ্ধে আহমদ ছফার অবদান নিয়ে একটি কলাম লিখেছিলেন ।
আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনীতিকরা যে পত্রিকা পড়েন না ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেটা আরও দৃঢ়ভাবে প্রতীয়মান হয়েছিলো । যাক সেসব এত পবিত্র একটি স্থানে এখন বেওয়ারিশ রাজাকারও হতে পারবে। এটা হলে আঞ্জুমানে মুফিদুলইসলামের হাত ধরে নিজামী,মুজাহিদদের মতো বুদ্ধিজীবিদের ঘাতক হিসাবে পরিচিতরা এ পবিত্র জায়গায় সহজেই স্থান পাবে যেমন পাবে ছিচকে সন্ত্রাসী, নেশাখোররা। সত্যি যদি এ কাজটা হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রতি মারাত্মক রকমের অবহেলা প্রদর্শণ করা হবে । তাই শুরু থেকেই এর প্রতিবাদ করা দরকার ।
সোচ্চার হওয়া দরকার সব শুভ শক্তির একসাথে-একপ্রানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।