যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
আদি পর্বে সমুদ্র শ্যাওলা,মন্থনজর্জরিত
সময়কাল,অনাদি সময় পর্বে প্রাণের রেশ,
হাঁটি হাঁটি পা-পা তোমার সভ্যতা।
লতাগুল্ম আর সমুদ্র ফেনায় বয়ে আনা
মনুষ্য প্রাণ। জগদিশ্বর,সেখানে আমার
দাঁড়াবার জমিন কই ?
একফালি মাটি,দুফালি আকাশ আর
কাদামাটির অবগাহনে তোমার মানুষ।
শিরায় শিরায়,হৃদপিন্ডব্যাপী প্রচন্ড
চুটোছুটি,নালিতে নালিতে চনমনে
জাগৃতি,উদয়ান্ত বেঁচে থাকার কৌমার্যে
তোমাতে লুটোপুটি-
হা-ঈশ্বর সেখানে আমার বাঁচার উপায় কই?
দেখে দেখে পেরিয়ে এলাম লক্ষ কোটি বছর,
চাইলাম আকাশে কালান্তরব্যাপী,
ধ্রুবতারা হয়ে রইলাম অগুন্তি সময়।
আদম সুরত ঠাঁয় দাঁড়ানো
দেখলাম তেপ্পান্ন কোটি বছর।
হা-ঈশ্বর আমার সেই অনন্ত সময় কই?
কবেকার সূর্য আজও দীপ্যোমান,শ্যাওলাধরা
বুড়ো চাঁদ তবুও নতুন। কোটি বছরের তারারা
আজও অনূঢ়া,সময় হাত ধরে নিয়ে যায়
আর এক সময়কে। কাল বহমান থেকে যায়
কালান্তর প্রান্তে ,এখানে ওখানে কোথাও তো আমি নেই !
হা-ঈশ্বর আমার সেই পুরোনো সাকিন কই?
তোমার বিলাসী খেয়ালে জুটেছিল দুকাঠা ভুঁই,
তোমার মানুষেরা উদার বিলিয়েছিল এক সমুদ্র
আশা-ভরসা আর আরোপিত ভালবাসা।
ঘটি বাটি,চালা-ঝাঁপ,বৃক্ষ,নদী,বেড়ে ওঠা
ফণিমনসা,কেঁচো এবং শুয়ো পোকারা।
কারা যেন এসেছিল পশ্চিম থেকে,সফেদ
নাটুকে ঢঙে।
হাতে ছিল মলাটে মোড়া বিশ্বাস,
আর হাত ছিল ওপরে ছাতার মত,প্রায় মুদে
থাকা চোখে অজন্তিক প্রলোভন,আমি বিমোহিত।
আমি আরহাত দেখিনি,যে হাতে ছিল তোমার
ছবি আঁকা মুখ। সেই মুখ আঁকা ছিল
জেল্লা দেওয়া সঙ্গীণে। কচুকাটা করেছিল
আমার অতীতকে,বর্তমানকে,আর আমার চেতনাকে।
যে টুকু পড়ে আছি আমি,অর্ধাঙ্গ কিংবা উপাঙ্গে
যা কিছু টিকে আছে আমার,বিশ্বাসে অথবা
অবিশ্বাসে,তাই নিয়েই তো আমি!
আমার সেই আমিই আজ নিরুদ্দেশ,
আমি কে খুঁজে ফিরি আমি,কি ভয়ংকর অনিশ্চয়তায়-
হা-ঈশ্বর আমার আমার সেই আমি কই?
হা-ঈশ্বর আমার সেই দাঁড়াবার জমিন কই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।