খনিজ তেলের সন্ধানেই শুরু হয়েছিল খোড়াখুড়ি। মাটি খুড়তেই চোখ ছানাবড়া বিজ্ঞানীদের। বেরিয়ে আসতে থাকল বিলুপ্তপ্রায় একের পর এক জীবাশ্ম। কোনটির জীবন্ত অস্তিত্ব আবার পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। একটি-দু'টি নয়, মিলল ১২ হাজার।
একটু খুলেই বলি। পর্যাপ্ত তেলের সন্ধান পেতেই মাটি খোঁড়ার পরিকল্পনা করে একটি তেল কোম্পানি। কিন্তু, কাজ শুরুর পরই মিলতে থাকে একের পর এক জীবাশ্মের খোঁজ।
তাতে তেল কোম্পানিটি কিছুটা হতাশ হলেও একসঙ্গে এতগুলি জীবাশ্ম আবিষ্কারের আনন্দে জ্বলজ্বল করে ওঠে বিজ্ঞানীদের চোখ। ভেনেজুয়েলার এই অঞ্চলে পরিবেশ যে ভাবে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে সমস্ত জীবাশ্মের সন্ধান মিলবে কি না প্রতিনিয়ত দুঃশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের সে হতাশায় কিছুটা হলেও আনন্দের জোগান দিয়েছে জীবাশ্মগুলো।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানুষের দেহের গঠনের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে জীবাশ্মগুলির। অনুমান করা হচ্ছে এগুলি অন্তত ৩ কোটি ৭০ লক্ষ বছরের পুরোনো।
আরও জীবাশ্মের সন্ধান পেতে আপাতত গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ল্যাবরেটরি অফ প্যালিয়েন্টোলজির জীবাশ্ম-বিশেষজ্ঞরা। ওর্নিকো নদী সংলগ্ন এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে জীবাশ্মের খোঁজে ছিলেন জীবাশ্ম-বিশেষজ্ঞ রিঙ্কন। জানালেন, এ অঞ্চলের জলবায়ু যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে সব জীবাশ্ম পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নিজেদের সবটুকু দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, মাটির বিভিন্ন স্তর থেকে মিলেছে জীবাশ্মগুলি।
তার মধ্যে সবচেয়ে ওপরের স্তরের জীবাশ্মগুলি নতুন। বাকি জীবাশ্মের সঠিক বয়স নির্ধারণ করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। আপাতত এ গুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সন্ধান পাওয়া জীবাশ্মের মধ্যে ব্যতিক্রমী মোরগ আকৃতির একটি জীবাশ্ম। রোমবিহীন এই জীবাশ্মগুলি আনুমানিক ১০ লক্ষ বছরের পুরোনো।
তবে তাদের সমগোত্রীয় প্রাণী পৃথিবীতে রয়েছে বলেই বিজ্ঞানীদের দাবি৷- খবর এএফপি'র।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।