নোংড়ার মাঝে সব সুন্দর হারিয়ে যায়
ঈদের দিনটি আনন্দের। তবে কত ভাগ লোক এই আনন্দের সঙ্গী হতে পারে? এখনও কোন কোন বাবা তাঁর সন্তানকে কিছুই কিনে দিতে পারেনি। একটা খুব সস্তা লাল শার্ট কিংবা খুব সামান্য দামের নতুন স্যান্ডেল ও জুটেনি অনেক কিশোরের। অনেক শ্রমিক আছে যাদেরকে ঈদের দিনটিতেও ছুটে যেতে হয় কাজে; একটু বিশ্রামও নেবারও ফুসরত করে উঠতে পারে না মানুষগুলো। ওদের ছোট ছোট শিশুরা ঈদের দিনেও ময়লা-ছেঁড়া পোষাক পরে বাড়িতে বাড়িতে খাবার চেয়ে বেড়ায়।
এই সব গরিব ছোট ছোট অসহায় মানুষকে পুজি করে বড় বড় কথা বলে বাংলাদেশের বড় বড় দালানে থাকা ভুরিঅলা মানুষগুলো। এটা করবে ওটা করবে বলে কথার ঘোড়া ছোটায় ধান্দাবাজ এইসব মানুষগুলো। আসলে কাঁচকলা। গরিবেরা সেই একই রকম জীবন যাপন করে । সেই একই রকম দুর্গন্ধময় পশুর জীবন যাপন ওদের।
আর ধনীরা দেশের মানুষের রক্ত চুষে নিজেদের জন্য বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকায় কেনে পোষাক-পারফিউম-লিপিস্টিক-হাইহিল জুতা। আর নিজেদের কালো টাকা সাদা করার জন্য নিম্নমানের কিছু যাকাতের কাপড় কিনে গরিবদের সাথে রীতিমত খেলা খেলে। টেলিভিশনে কর্তৃপক্ষ বড়লোকের বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন নিন্মমানের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। অন্যদিকে মাঝেমাঝে দর্শকদের কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য গরিবদের অসহায়ত্ব নিয়ে অনুষ্ঠান সাজায়। শ্রমিক শিশুর ময়লা পোষাক; ঠিকমতো খেতে না পারার আকুতি প্রচার করে জনপ্রিয়তা কামাই করে।
সব শিশুরই ভাল ভাবে বাঁচার অধিকার আছে। ক্ষমতায় থাকা দলগুলোকে আমরাই পারি সঠিক পথে নিয়ে এসব শিশুদের অধিকার আদায় করে দিতে। শুধু ঈদের দিন নয় প্রতিটি দিনই যেন তাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে। ঈদের দিনে সব শিশু নতুন পোষাক পড়ে উড়ে বেড়াবে পাখির মত। হাসিতে থাকবে সব পাওয়ার আনন্দ।
সেদিন বাঙলাদেশকে দেখতে হবে না কারো না খেতে পারার কষ্ট! আমরা এই ঈদে স্বপ্ন দেখি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের ; বৈষম্যহীন উৎসবের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।