বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
শনিবার বলে মনে করেছিলাম অফিসে কাজের চাপ একটু কম হবে। কিন্তু অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই দেখি একের পর এক কাজ চলে আসছে। তাই খুব কমই সময় পাচ্ছি অন্যকোন কাজে মন দিতে। মোবাইলের রিং বেজে উঠলো।
আমি ফোন রিসিভ করেই সালাম দিলাম। ওপাশ থেকে "আদাব" বললো। সে আর কেউ না"শাশ্বত"।
মুহুর্তে সব ব্যাস্ততা থামিয়ে ওর সাথে কথা বললাম। ব্লগ বন্ধুরা আপনারা মাঝে মাঝে অনেকেই জানতে চাইতেন শাশ্বত'র অবস্থা।
ইচ্ছা করতো না জানাতে আপনাদেরকে। কারণ ভালো কোন সংবাদ দিতে পারি না তাই।
যাইহোক, শাশ্বত বলছিল, "ভাই আর কোন আশা নেই। " এটা শোনার পর আর কোন কথা বলতে পারছিলাম না। ওর কথাই শুনছিলাম।
শাশ্বত কাল যাচ্ছে ভারত। এবার ওর সাথে ওর মা বাবা যাবে। এবার অনেক দিন ওখানে থাকবে। মানে থাকতে হবে। বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসা হবে।
১। এবার ওর একটা হিপ জয়েন্ট রিপ্লেস করা হবে।
২। মোট ৪ (চার) টা ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে (যার প্রতিটির মূল্য ৫ লাখ রূপী করে সম্ভবত)। এই ইঞ্জেকশান গুলোর রেইঞ্জ ০ (শূন্য) দিন, ১৪ দিন, ৪২ দিন, এবং ৯৮ দিন।
৩। ওর শরীরের সব হাঁড় শুকিয়ে যাচ্ছে পাতলা হয়ে যাচ্ছে, সেটার জন্য একটা ইঞ্জেকশন দিতে হবে দুই বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে।
৪। আর এর সার্পোটিং ট্রিটমেন্ট চলবে পাশাপাশি।
৫।
ওর চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
শাশ্বত সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।
[প্রয়োজনে পোষ্টটা রিপোষ্ট করা হবে সবাইকে জানানোর জন্য]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।