কেন যেন মনে হচ্ছে এইবারের শিল্প চর্চা দেখে আপনাদের হাতের অদৃশ্য লাঠির বাড়ী আমার মাথায় পড়বেই পড়বে। তবুও শেয়ার করলাম। নিজগুণে ক্ষমা করে দিয়েন।
আঁকা আঁকি নামক শিল্পচর্চার হাতে খড়ি আমার ছেলেবেলায় আমার এক চাচাকে দেখে। উনি মানুষের প্রতিকৃতি হুবুহু নকল করতে পারতেন।
অনেকটা কালপুরুষ ভাইয়ার প্রোট্টেট গুলোর মত। সেই দেখেই হয়তোবা ছেলেবেলাতেই আমার মাথায় চাপলো ছবি আঁকার ভুত। যখনই সুযোগ পেতাম ফুল পাখি চাঁদ নক্সা আঁকায় মেতে উঠতাম।
বই এর পেছনের পাতায়, রাফ খাতায়, মায়ের হিসাবের খাতায়,যখন যেখানে সুবিধা পেতাম। এই নিয়ে কত্ত যে বকা খেতাম।
কিন্তু চোরাই না মানে ধর্মের কাহিনি। বকা গুলো আমার এককান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বের হয়ে যেত।
এই ভাবে নিরলস প্রচেস্টায় মোটামুটি ছবি আঁকা শিখলাম। কিন্তু কেনো যেন আমাকে ছবি আঁকার স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হলনা। আমাদের বাসায় জামাল নামে এক দারোয়ান ছিলো।
সে আমাকে প্রথম দিয়েছিলো একটুকরো সবুজ রং এর ক্রেয়ন। সেই সবুজ রং এ আমি সজীব করে তুল্লাম আমার যত ছবি। মানুষও সবুজ, ঘর বাড়ী গাছপালা , নদী সবই একি সবুজ রং। তারপর স্কুলে ভর্তি হওয়া সুবাদে পেয়ে গেলাম এক বক্স নতুন নানা রং এর ক্রেয়ন। আমার সে খুশীর দিনটা আমি এই মুর্হুতেও অনুভব করতে পারছি।
সেই থেকে এই যে এত বড় হয়ে বুড়ী হতে চললাম। এখনও সুযোগ পেলেই রং তুলি নিয়ে বসে পড়ি। কোনো প্রাতিস্ঠানিক শিক্ষা নেই আমার। এসব "ছবি" নামের অযোগ্য কিছু । তবুও আঁকি ।
নিজের জন্য। হাহাহা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।