ঈদ সন্নিকট। আমার মার্কেট ঘুরাঘুরি, কেনাকাটিও শেষের পর্যায়ে। আমি আগেই বলেছি যত না কিনি তার চাইতে ঘুরি বেশী। তাই বলে একেবারেই যে কিনিনা তা কিন্তু নয়।
আর আমার সবচাইতে ভালো লাগে আত্নীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব, কাছের মানুষ জনগুলোর সাথে সাথে বাসার কাজের মানুষ গুলোর জন্য হলেও কিছু না কিছু কিনতে।
আমার আশে পাশে যারা আছে তাদেরকে কিছুনা কিছু উপহার দিতে। সে যত স্বল্প মূল্যেরই হোকনা কেনো। ঈদের আনন্দ সবার সাথেই ভাগ করে নিতে ইচ্ছে হয়।
আমি ছোটো থেকেই আবার শিল্প চর্চায় মহা-অনুরাগী। চোখের সামনে যা দেখবো একটু ভালো লাগলেই তাই আমার ট্রাই করা চাই ই চাই।
পারি না পারি আমাকে ট্রাই করতেই হবে। কেউ ভালো বলুক না বলুক তাও কিছু যায় আসেনা। কিন্তু আমার সেটা করে দেখতেই হবে। এই কারণে নাচ গান আবৃত্তি, ছবি আঁকা কিনা ট্রাই করেছি জীবনে তার ইয়ত্তা নেই।
বছর খানেক আগে একজনকে দেখলাম নিজে হাতে ফেব্রিক পেইন্ট দিয়ে নিজের কামিজে একেছে।
ব্যাস ! এমনিতেই আঁকা আঁকির অভ্যাস ছিলো। এক বক্স ফেব্রিক পেইন্ট কিনে লেগে গেলাম কামিজে আঁকতে।
আমার নিজের জন্য আঁকা কামিজ গুলো আবার আমার পরিচিত মহলে খুবি বাহবা পেলো। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম এই ঈদে আমি আমার প্রিয়জনদেরকে নিজের হাতে আঁকা কাপড় উপহার দেবো।
কাজেই রোযার শুরুতে বাংলার মেলা থেকে এক রং সুতী দুটি শাড়ী কিনলাম মাকে আর মাতৃসমা ফুপিকে নিজে হাতে একে উপহার দেবো বলে।
আরো যারা কাজিন আছে তাদের পিচ্চি পাচ্চাগুলোকেও নিজে হাতে একেই উপহার দেবো ঠিক করে ফেললাম।
সেই প্রয়াসেই বানালাম নিজে হাতে আঁকা দুটি শাড়ী ও পিচ্চিপাচ্চিদের জন্য কয়েকটি জামা ও পান্জাবী।
শাড়ী দুটি ও পিচ্চিপাচ্চিদের জামার দু একটি ছবি এইখানে দিলাম। পঁচা হয়েছে কি ভালো হয়েছে জানিনা, তবু আমি নিজেই খুশী নিজের হাতে কিছু করে দিতে পেরে।
আমার এই লেখা নুশেরা আপু, সাজি আপু,সুরভিছায়া,আইরিন আপু, তাজিন আপু, কাঁকন, প্রিটী সোনিয়া, চিটি, সুমাইয়া মুনিরা,খুশবু, নিলা তোমরা অবশ্যই পড়বে আর জানাবে আমার শিল্পচর্চা কেমন হয়েছে।
যেহেতু শাড়ী তাই মেয়েদেরকে অগ্রাধিকার দিলাম মতামতের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।