আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন ভিক্ষাবৃত্তি একটা বড় বানিজ্য

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মানুষের কষ্ট আমাকে বেশ নাড়া দেয়। এটা আমার একটা দুর্বলতা। কাউকে কষ্টে দেখলে আমি সবকিছুর আগে নিজেকে সেই জায়গায় কল্পনা করি। তখন বুঝতে পারি, সে কত কষ্টে আছে।

তখন চেষ্টা করি আমার সাধ্য মত কিছু একটা করতে। বলতে পারেন কিছুটা কল্পনা বিলাসী। যাইহোক, এই রমজানে ঢাকা শহরে বাহির থেকে প্রচুর মানুষ আসে যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে একটা লিমিটেড টাইমের জন্য। কিন্তু এরা আসলে ভিক্ষুক নয়। আমি আমার স্বভাব সুলভ ভাবে কখনও এদের সাথে কথা বলি।

জানতে চাই তাদের অবস্থান। তাদের কথা, তাদের ইতিহাস। যদিও ছোট একটা পোষ্টে এতকিছু বলা সম্ভব না। এদের মধ্যে ফ্রিল্যান্স খুব কমই আছে। বেশীর ভাগই এরা কারো না কারো চাকুরী করে।

প্রত্যেক পয়েন্টে পয়েন্টে একজন সরদার লুকিয়ে থেকে সব পরিচালনা করে। পুরো দেশ থেকে অচল বিভৎস কিছু মানুষ জোগাড় করা হয়। সারাদিনের অমানবিক খাটুনী করে কামাই করা সব টাকা তুলে দিতে হয় সর্দারের কাছে বিনিময়ে তাদের খাওয়া থাকা নিশ্চিত করে তারা। আবার ঈদের পরে তারা তাদের নিজ শহরে চলে যায়। বেশীর ভাগ সিগন্যালে দেখবেন, ছোট কোন কিশোরী বা যুবতীর কোলে একটি ঘুমন্ত বাচ্চা।

এই বাচ্চা গুলো কখনই তাদের না। অন্য কারো। সবচেয়ে বিপদজনক খবর হলো এই বাচ্চাগুলোকে সারাদিন ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অথবা ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে রাখা হয়। কতটা অমানবিক!! এখন চিন্তা করেন, এই বাচ্চাগুলোকে ভাড়া দেয় তাদের মায়েরা। অথবা কোন বাবা মায়ের হারিয়ে যাওয়া বাচ্চা।

ইশ কতটা কষ্টের। একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন তো আপনার বা আপনার পরিচিত কারো বাচ্চা হারিয়ে গিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে (মনে কষ্ট দেবার জন্য দুঃখিত)। অনেক সময় দেখবেন, কংকালসম কিছু মানুষ (বেশীর ভাগ সময়ে বাচ্চা) পড়ে আছে রাস্তার ধারে। দেখবেন এদের নাক মুখ দিয়ে অনবরত বিভিন্ন জিনিস গড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ এদের এমন জিনিস ইনজেকশন করা হয় যাতে এরা কোন কিছুই খেতে পারে না।

শুধুই শরীর শুকাতে থাকে। এক পর্যায়ে মারা যায়। একটি ভবিষ্যতের মৃত্যু হয়। এইরকম অনেক রকম বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিক্ষুক আছে। প্রায় জোড়পূর্বক এদের দিয়ে এইকাজগুলো করানো হয়।

এখন ভিক্ষাটা একটা বানিজ্যে পরিনত হয়েছে। সবচেয়ে লাভজনক একটা ব্যাবসা। যদিও সিজিনাল তারপরেও লাভ ভাল। পকেট পুর্তি হয় সেইসব সর্দারদের। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের শরীর যারা শরীরকে পন্য বানিয়ে যারা এই কাজ গুলো করছে।

একসময় নির্ঘাত তরান্বিত মৃত্যু তাদের গ্রাস করে। কেউ কোন খোঁজখবর রাখে না। এটা একধরনের প্রতারনা। সরকারের উচিত এদিকে নজর দিয়ে সেই সব অর্থলিপ্সু মানুষদের শাস্তি দেয়া আর এই অসহায় নির্যাতিত মানুষের চিকিৎসার সহ পুর্নবাসন করা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।