মাসুদা ভাট্টির একটা গল্প নিয়ে বিভ্রান্তি:
একটু আগেই মাহবুব মোর্শেদের ব্লগের একটা লেখায় ঢুকে মাসুদা ভাট্টি নামে একজন লেখিকার ব্লগে ঢু মারলাম। তার আরো লেখা পত্রিকা মারফত পড়েছি। "ষোলকলার এক কলা" নামের একটা গল্প পড়ার শুরু থেকেই অস্বস্থির মধ্যে ছিলাম। জগদীস গুপ্তের একটার গল্পের প্রায় হুবহু কার্বনকপি না হলেও গল্পটি আগাগোড়া এই অসাধারণ গল্পকারের লেখাটির দুর্বল নকল মনে হলো আমার। একটু এদিক সেদিক করে গল্পটি সাজানো হয়েছে।
মূল গল্পে স্বামী এতটা রাবিশ আচরণ স্ত্রীর সাথে করেনা। আর মাছের ক্ষেত্রে ইলিশকে গুপ্ত সাহেব বেছে নেননি সম্ভবত। এবং গল্পটাতে স্ত্রী চরিত্রটি খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মনে হয়েছিল। আমি নিশ্চিত আঠার কলার এক কলা বা প্রায় এই নামের জগদীসের একটা গল্প অনেক পাঠকই এখনো ভুলতে পারেন নি। অনেক আগে পড়েছি আমি এবং এই মুহূর্তে আমার হাতের কাছে তার বইটি নেই ।
যদি আমার আশংখা সত্যি হয় সেক্ষেত্রে মাসুদা ভাট্টির মত একজন তরুণ লেখক কী এ কাজটা করতে পারে? কোথাও কোনো গোলমাল আছে কিনা বুঝছি না।
একটু আগে আর্টস বিডি নিউজ এ কুম্ভীলকবৃত্তি নিয়ে সুমন ভাইয়ের একটা লেখা পড়ছিলাম। মাঝেমাঝে লেখককুলের সশস্ত্র কলম আমাকে এত বেশি অস্বস্থির ভেতর রাখে যে খুব বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই। বিষয়টা কেউ জানলে খোলাসা করবেন।
পুনশ্চ: জগদীস গুপ্তের লেখাটি আমি পুনরায় পড়েছি।
আমার আশংকাই সত্য। মাসুদা ভাট্টি লেখাটি খুব যেনতেন ভাবে নকল করেছে। জগদীস গুপ্তের গল্পটির উইট-হিউমার মাসুদা নিতে পারেনি। যা সে করেছে তা শুধু গল্পের মাতৃকাঠামোটা চুরি। খুব সহজে পেতে গেলে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত জগদীস গুপ্তের শ্রেষ্ঠ গল্প দেখতে পারেন।
গল্পের নাম আঠারো কলার একটা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।