আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরা বেঈমান, প্রতারক

মুক্ত মন, মুক্ত িচন্তা, মুক্ত মতামত

যে দলের সর্বশেষ খেলা ওয়ানডে স্কোর গুলি এ রকম ১১৫, ৭৪, ১১৭, ১২৫ সে দলের কয়েকজন খেলোয়াড় একযোগে অবসর নিয়ে আইসিএল- এ যোগ দিলে তা কোন খবর হওয়া উচিত নয়। কিন্তু হয় এ কারনে যে দেশটির নাম বাংলাদেশ। আমাদের সম্পদ এমনিতেই সীমাবদ্ধ আর এতে যদি অন্যে ভাগ বসায় তাহলে কেমন দাড়াবে? এবার জাতীয় দলের যে সব খেলোয়াড় আইসিএল-এ গেছে তাদের সর্বশেষ খেলা ৫টি ওয়ানডের নিজ নিজ রানের স্কোরটা দেখে নেয়া যাক : আফতাব আহমেদ : ১৪, ১, ৪২, ০, ০ অলক কাপালী : ৯, ১৭, ১২, ২, ০ হাবিবুল বাশার : ৪, ৩২, ১২, ০, ৪৩ ধীমান ঘোষ : ০, ২৯, ১, ৩০, ১ ফারহাদ রেজা : ৫, ০, ৫, ৩, ০ শাহরিয়ার নাফিস : ২৪, ৪, ০, ৯, ৯ এদের তো এমনিতেই দলে থাকার কথা না, দলটি বাংলাদেশ বলেই এরা দলে ছিল। কিন্তু এই প্রতারক, বেঈমান, নব্য রাজাকাররা জাতীয় দলের হয়ে দিনের পর দিন লজ্জাজনক পারফরম্যান্স করার পরও জাতি বিক্ষুব্দ হয়নি যতটা না হয়েছে তাদের হঠাৎ গন অবসর নিয়ে আইসিএল- এ যোগ দেয়ায়। আইসিএলে যোগদেয়া এক ছাগল আবার এক কাঠি সরেস।

তারা পৃথিবীর সব বোর্ড কর্তৃক উপেক্ষিত আইসিএলে যোগ দেয়ার পরও জাতীয় দলে খেলার আশা করে। আইসিএলে যোগ দেয়ার কিছুদিন আগে এই ছাগল লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে বলে নিজেকে সফর শুরুর মাত্র একদিন আগে অষ্ট্রেলিয়া টু্র হতে প্রত্যাহার করে নে। ভাবখানা এমন দল রাওনা হবার মাত্র একদিন আগে তার মনে পড়ছে পড়ালেখার কথা ! কিন্তু আইসিএলের টাকার ঝনঝনানি তার পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায় ফলে চুক্তি করতে চলে যায় ভারতে। অথচ যাওয়ার একদিন আগেও এই ডাহা মিথ্যুক ছাগলটা বলে সে আইসিএলের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। ব্যাক্তিগত কারনে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছে।

এবার দেখা যাক জাতীয় দলে খেলে এই ছাগলরা গত কয়েক বছরে কত টাকা আয় করেছে : আফতাব আহমেদ : ১ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৩১ টাকা। হাবিবুল বাশার : ১ কোটি ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৫ টাকা। শাহরিয়ার নাফিস : ১ কোটি ২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৭ টাকা (২০০৫-০৬, ২০০৭-০৮) ফারহাদ রেজা : ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৬২৭ টাকা। (২০০৬-০৭ থেকে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত) এমনকি ধীমান ঘোষ ও মোশাররফ এর মতো নতুন ছাগলরাও যথাক্রমে ১২ লাখ ২৬হাজার ৪১১ এবং ৩লাখ ৪১হাজার ৩১১ টাকা আয় করেছে জাতীয় দলে খেলে। তাদের আয়ের গড় বাংলাদেশের যে কোন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা কিংবা খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশী।

আমাদের শাহরিয়ার নাফিস আবার নিজেরে শেন বন্ড, আবদুর রাজ্জাক, ইমরান ফারহাত কিংবা ইমরান নাজিরের চেয়েও বড় ক্রিকেটার মনে করে। সে জানে এরা আইসিএলে খেলার কারনে নিজ জাতীয় দলে নিষিদ্ধ সেখানে এই ছাগলটা আইসিএলে খেলার পরও জাতীয় দলে খেলার আশা করে। এ ছাগলদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট করা হউক। এই ছাগলরা যেন কোনভাবেই বাংলাদেশ নামটি ব্যবহার করতে না পারে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হউক। পরিশেষে আমার এক সিনিয়র কলিগের একটি মন্তব্য উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

" এরা আইসিএলে গিয়ে একদিক দিয়ে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভালই হয়েছে। তারা জাতীয় দলে যে খেলা খেলত ওটা আইসিএলে খেললেই হবে। তাহলে ভবিষ্যতে কোন দল আর বাংলাদেশের ক্রিকেটার নেয়ার নাম মুখেও আনবে না"।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।