অনেকবার চেষ্টা করেছি কলম আর ক্যামেরার দাসত্ব থেকে বের হয়ে যেতে..কিন্তু পারি নি....পারবো কিনা জানি না---এভাবেই হয়তো চলবে...
ভেবেছিলাম হয়তো এবার দেশের রাজনীতিতে নতুন একটি ভিন্নমাত্রা যোগ হবে। অনেক আশা ছিল ১/১১ এর পর থেকে। কিন্তু কেমন যেন সব আশাই অন্ধকারে মিটিমিটি করে জ্বলে আবার নিভে গেলে। রেখে গেল কিছু কালো ছাই। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের একে একে কারাগারের শৃঙ্খলে প্রবেশ করালো।
বিশেষ কারাগারও সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু কি হলো শেষে? যোগফল কিংবা বিয়োগ ফল এককথায় সরল অংকের সমাধান তো শুণ্যই রয়ে গেল।
জনগণের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কিছুটা সফলতার মুখ দেখতে পেলেও অজ্ঞাত কারণে কেমন যেন বয়স্ক লোকের তো শরীর ঝিমিয়ে ফেলেছে।
কি প্রয়োজন ছিল- সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার? গ্রেপ্তার করার পর কেন তাদের মুক্তি নিয়ে বিপাকে পড়তে হলো সরকারকে? এখানে কি বহিরাগত কোন পরাশক্তির হাত রয়েছে কি?
১/১১ এর পর যখন হাসিনা-খালেদা গ্রেপ্তার হলো তখন আলোচনায় আসতে কিছু নেতাকর্মীর আবিষ্কার করলো সংস্কার' কে।
দ্বি কিংবা ত্রি ধারায় তেও বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল দুটো দলই। কিন্তু খালেদা মুক্তি হওয়ার পর পরই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই একই ব্যক্তিরা আবার খালেদাকে আজীবন চেয়ারপার্সন থাকার জন্য অনুরোধ করে। --- আমরা এক আজব দেশে আছি। হাতি খাদে পড়লে পিপড়া লাথি মারে- এমন একটি মন্তব্য করেছিলেন সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী যখন তার পদটি হারালেন। এখানেও সেই একই মন্তব্য প্রযোজ্য।
যখন হাসিনা - খালেদাকে গ্রেপ্তার করা হলো তখনই সাবেক আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন - দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অনড় অবস্থান।
কিন্তু সম্প্রতি দুর্নীতির মুকুটহীন রাজপুত্র তারেক জিয়া মুক্তি পেলো- তখন কোথায় ছিল সেই উচ্চবাক্য। খালদা জিয়া মুক্তির আগে আবার শিক্ষা উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যপারে সমাঝোতা করে যাচ্ছি। তার মুক্তির মাধ্যমেই একটি অধ্যায়ের অবসান হবে কিন্তু কি প্রয়োজন ছিল এই অধ্যায়ের সৃষ্টি। এই অধ্যায়তো এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাড়েই গড়া, কেন এবার এ ধারাকে গোড়াতেই ধ্বংস করে দিলো।
নিজের অজান্তেই এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কিন্তু অনেক সরল অংক করেই সমাধান হয় শুণ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।