সুমন প্রবাহন
প্রশ্নহীন আমি, পকেটে অসংখ্য ছায়াপথ
চোখে চাঁদের আকাশ, পায়ে তপ্ত কাঁচের কণা, ধূলিস্তর
এখানে ডানা মেলেছে উঁচু-নিচু বধির প্রান্তর
এখানে ছিঁড়ে গেছে বাতাসের কণ্ঠনালী
দূরে শিলাকঠিন পাহাড়
শুকনো সাগর
অনাহারী ঝর্ণা।
কলঙ্ক! তবু রাজটীকা
ঐ যে পৃথিবী নীল গ্রহ আমার
সূর্য! দেখি তোমাকেও
কখনও কন্যা রাশিতে কখনও তুলা, বৃষ-মেষ-বৃশ্চিকে
দেখি গ্রহনের অক্টোপাসে, তবু
প্রশ্নহীন পকেটে অসংখ্য ছায়াপথ
ভেসে যাই ছুটে ছুটে
যেন ধূমকেতু-আন্তঃনাক্ষত্রিক।
ক্রমপ্রসারমান ছায়াপথ থেকে
ছায়াপথে। বেড়াই। সাদা কিংবা কালো-
গুহাগহ্বরে,
সে আমার পর্যটন নয়, ধ্যান।
সাদাপাত্রে ধরা আত্মা আমার যেন সবুজ আপেল
ঝলসানো ব্লেডে কেটে দু'ভাগ
দ্বিধা থরোথরো, ভিতরে তবুও
হাজার বছর লাঠিতে ভর সলোমন
কমলা পিরাণে প্রাচীন গাছের নীচে মুদ্রিত চোখে-
বিলীন হয়েছে, হবে
জন্মের পর নিরানব্বই ভাগ বীজ
টিকে আছে তার ওপারের একজন।
ভাবি, শূণ্য হয়ে এক থেকে আজ অই সাত-
খণ্ড।
নিজেরই তৈরি যে নরক-ক্লোন, গ্যাসচেম্বার
হাইরাইজ কুঠুরিতে ফেরো
-ক্লান্ত ফাইল তুমি
তোমার গ্রাউন্ড ফ্লোরের নীচে খুঁজে পাই
ডাইনোসরের পা-পায়ের ছাপ
নিঃশ্বাস
শিৎকার
শিলাস্তরে কেঁপে ওঠা রণের দামামা।
রেডিওর দ্যুতি ছড়াতে ছড়াতে
এই যে ছুটছি, ছুটে যাচ্ছি আলোর গতিতে গোপন কোয়াসার।
আমাকে পাওনি-পেয়েছে নূরের কণা
অথচ এত অহং দাবানল!
পুড়ে যাচ্ছে মাইল মাইল জনমনভূমি
ধ্বসে যাচ্ছে পাহাড়, জনপদ
কোন খোঁজ ব্যর্থ নয়
চোখে রেখো অই ভস্ম
হে বোধি, বৃক্ষ আমার!
হে প্রকৃত রণ!
ফিরে আসবো সংকোচনে
পাটি গোটাতে গোটাতে ছায়াপথে পথে কালোগহ্বর নিয়ে হাতে
ঘূর্ণিপাকে উড়ে উড়ে যাবে বইয়ের খইয়ের পাতা।
তৈরি থেকো শেষ বারুদ-কাঠি
তৈরি থেকো হে বিরাট ধ্বস!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।