আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আঁতেল শনাক্তকরণের সহজ ও দ্রুততম তরিকা(পর্ব-১)

( এটি একটি সেমি-রম্য রচনা) আঁতেল কাহাকে বলে? যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাঁর বা তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তির লেবুটি নিংড়ে অন্যের মুখ তিক্ত করতে ওস্তাদ,তাঁরাই মূলত ওইসকল তিক্তমুখ জনতার ঋণাত্মক ভালোবাসায় আঁতেল খেতাবধারী। তবে এমনও হতে পারে যে- বিষয়বস্তুর আঁত নিয়ে ঘাঁটতে ভালোবাসেন যারা, তাঁরাই আঁতেল। অথবা, যে ব্যক্তি সারাদিন পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, যার ঘুম-খাওয়া-বিনোদন সবকিছু পরিচালিত হয় বইপুস্তকের চিন্তায় মগ্ন থেকে, এমনকি পরীক্ষা চলাকালীন সময়টাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে টাট্টিখানায় গমনের সময়েও যার হাতে লেকচার,নোট,বই ইত্যাদি দেখা যায় তাকে নিত্য বাংলায় ‘আঁতেল’ বলে। “আঁতেল” শব্দটি কথা থেকে এলো? আঁতেল [ ān̐tēla ] বিণ. বি. (ব্যঙ্গে) পণ্ডিত, বিদ্বান, বুদ্ধিজীবীর ধরনধারণবিশিষ্ট (ব্যক্তি)। [ফ. intellectual এর অপভ্রংশ, কিংবা ইং. intellectual এর ফরাসিভঙ্গিম উচ্চারণ থেকে]।

অর্থাৎ, আঁতেল কথাটির উদ্ভব ফরাসী “intellectuel” (উচ্চারন: আঁতেলেকতুএল) থেকে| আঁতেল শনাক্তকরণের সহজ ও দ্রুততম তরিকা ক) আঁতেলের চেহারায় সবসময় গুরুগম্ভীর একটি ভাব থাকে। দেখলে মনে হবে দুনিয়াদারী নিয়ে চিন্তা কর্রশ্নগুলো তীরের মতো ধেয়ে যায় প্রফেসর আর লেকচারারদের দিকে। কখনো কখনো তার প্রশ্নগুলো এমনি জটিল হয় যে, তার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শিক্ষকদের পর্যন্ত ঘাম ছুটে যায়। প্রায় সময়ই দেখা যায় ক্লাসের জন্য বরাদ্দকৃত সময় পার হওয়ার পরও আঁতেলদের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে উদগীরণ হওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্যাররা ১৫ মিনিট বেশী ক্লাস নিচ্ছেন, তবে সাধারণ ছাত্রদের মস্তিষ্কে অগ্নুৎপাত ঘটে তখনই যখন সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়েও আঁতেল ক্ষান্ত হয় না। উলটো আরো দু’একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে বসে।

এরকম পরিস্থিতিতে অন্যান্য ছাত্রদের অবস্থা যে কি হয় তা একমাত্র ভুক্তভোগী ছাত্র ছাড়া কেউ বুঝবে না। চলবে ..............................(তথ্য ইন্টারনেট) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।