আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরা কি বার বারই পার পেয়ে যাবে?

www.runews.weebly.com

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই জুবেরী ভবনের কথা জানেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর টিচারদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্যের নআমে এই ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে। যদিও এখন পরিবার পরিজনসহ ৫/৬ জনের সংসারই নিয়েই থাকেন শিক্ষকরা। রাজশাহীর বেশির ভাগ রিকশাওয়ালার মতে এটার নাম ‘বেশ্যা বিদ্যালয়’! এক রিকশাওয়ালার মুখে এর কারণ শুনে আমার তো চোখ কপালে উঠার জোগাড়। তিনি বললেন, মামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং বাইরের পতিতারা এখানে হর-হামেশায় আশা যাওয়া করে।

যা রটে তার কিছু না কিছু বটে। পরে অবশ্য নানা ধরণের মুখরোচক ঘটনা শুনেছি। সেগুলোর সত্যি মিথ্য যাচাই করতে ইচ্ছে হয়নি আর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক এক রকম আমি সেটা বলব না। তবে সবাই যে ভালো সেটা বলাও কি ঠিক? তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌণ হয়রানির অভিযোগ পাবার পর তার চরিত্র বিশ্লেষণ করতে হয়েছিলা সাংবাদিকতা করার কারণে।

ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর বক্তব্য ছিলো ‘ আমরা চেম্বারে গেলে বলে তোরা ক্যান আইছস?’ আর মেয়েরা গেলে বলে,‘ আসেন আসেন আপনারাই তো আসবেন। ’ খুশীতে নাকি উজ্জ্বল হয়ে উঠতো ওই শিক্ষকের মুখ। ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন হলো, কুশপুত্তলিকা দাহ করা হলো। একদিন কুকুরের গলায় ওই শিক্ষকের নাম টাঙ্গিয়ে ক্যাম্পাসও ঘোরানো হলো। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাসপেন্ড করলেন ওই শিক্ষককে।

তবে কদিন পর তিনি হাই কোটের অর্ডার নিয়ে বুক ফুলিয়ে আসলেন ক্যাম্পাসে। ওই ক্যাম্পাসের উপাচার্য আমাকে বলেছিলেন, এবার আর কিছুই করার থাকলো না। কিছু বললেও কোমরে দড়ি পড়বে। ক’দিন আগে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ উঠেছিলো। আন্দোলনের মুখে তদন্ত কমিটির গঠিত হয়েছিলো।

তারা নাকি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন কিছুই পান নি। আমার প্রশ্ন এরা কি সব সময়ই পার পেয়ে যাবে ? এদের বিরুদ্ধে কোন দিনই কি অভিযোগ প্রমাণিত হবে না? নাকি যত দোষ অভিযোগ তোলা ছাত্রীটির? এত কিছু হয়ে যাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে কোন শব্দই নেই। যারা দায়িত্বশীল পদে আছেন তাদের সন্তানরা যদি এমন পরিস্থিতির কুখোমুখি হয় তবে তারা কি মুখ বুজে বসে থাকতে পারবেন? নাকি তাদের সোসাইটিতে সবই জায়েজ? কেবল রাজশাহী বা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় নয় দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই অহরহ এমনটি ঘটছে। আমার বিশ্বাস যতটা প্রকাশিত হচ্ছে , অন্তরালে এর চেয়েও অনেক বড় বড় ঘটনা চাপা পড়ে থাকছে। গোটা দেশজুড়ে দাবি উঠেছে যৌণ নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা গঠনের।

বর্তমান সময়ে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সেই, দৃষ্টিকোন থেকে এটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে সেটা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নীতিমালায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা উচিত। যেন আর কেউ কখনও এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। তাই আসেন আওয়াজ তুলি একসাথে। না হলে আগামী দিন হয়ত আমারই বোন বা আমারই সন্তানের জন্য এমন ঘটনা অপেক্ষা করছে না সেটার গ্যারান্টি কে দেবে?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।