দেখতে চাই ধরনী
এর নাম পাহাড় চুরি
গতকাল প্রথমআলোতে দারুন একটা লেখা দেখলাম “ বাঙ্গালীর মানাসলু অভিযান” এধরনের কিছু। পাহাড় আমার ভাল লাগে তাই পড়ে দেখলাম। তবে ঘটনাটা হলো এতো পুকুর চুরি না একে বারে পাহাড় চুরি। জানি না চোরটা কে, প্রথম আলোর রির্পোটার নাকি ঘটনার নায়ক কিংবা নায়িকারা।
ঘটনার সুত্রপাত অনেক আগে থেকেই।
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাব নামে যে দল পত্রিকার সৌভাগ্যে পৃথিবীর তাবৎ পাহাড় জয় করে ফেলছে তার সত্যতার কোনো নিয়ামক আজ অবদি দেখলাম না। তারা এমন ভাবে কথা গুলো বলে যে সব যেন সত্য । কিন্তু তারা নিজেরাও জানে তারা আজ অবদি কোন পাহাড়ের চুড়ায় আরোহন করতে পারেনি। তার প্রমান যারা তাদের সাথে গেছে তারাই। এবং এর কোন প্রতিবাদ কিংবা প্রতিকার হয়নি আজ অবদি।
গতকালের লেখায় ছিল জনাব ইনাম আল হক নামের ভদ্রলোক বাংলাদেশ থেকে সবার আগে এভারেস্ট পর্বত এর বেস ক্যাম্পে গিয়েছে। কিন্তু ব্যপারটা বুজলাম না, আমিতো তারও আগে গেছি এবং এটা সেও জানে। ভদ্রলোক দাবী করেন তিনি প্রথম এন্টার্কটিকায় গেছেন। অবাক হতে হয় এটাও সত্য নয়।
এই পুরো দলটা অতটাই এমন যে তাদের বলতেও বাধে না মুখে যা তারা করেনি।
তবে পার পেয়ে যায় আমরা কিছু বলিনা বলে।
তাদের চুরির অন্যতম সাক্ষি হলো জনাব মুসা ইব্রাহীম, পেশায় সাংবাদিক, তিনি নিজে তাদের সাথে (বি এম টি সি) চুলু ওয়েস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন এবং তার কাছ থেকেই জানা যায় তারা পর্বত শৃঙ্গ আরোহন করতে পারেনি (Click This Link )। কিন্তু ফিরে আসার পর তারা দাবী এবং এটাই প্রকাশ করেন যে তারা আরোহন করেছেন। কি আশ্চর্য।
গতকালের লেখায় প্রথমআলোর জনাব রিপোর্টার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেছেন – যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এত ম্যাচে হারার পরও স্পন্সর পেতে পারে তো আমাদের পাহাড়ি ( চোর)দল কেন স্পন্সর পাবে না।
সত্য হলো এটাই ক্রিকেট হাজার মানুষের সামনে খেলতে হয় যেখানে চুরির সম্ভবনা থাকে না তবে আমাদের পাহাড়ী দল যে কি পরিমান চুরির অভিজ্ঞতাধারী তা আমরা জানি না, কারন পবর্তারোহন করতে হয় নিজের সাথে নিজের।
তাই পুকুর চুরির প্রবাদ পাল্টে গেছে তাদের পাহাড় চুরির কাছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।