আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পড়ে দেখুনতো কেমন লাগে।



অনেকদিন ধরেই ভাবছি একটা গল্প লিখব কিন্তু ভেবে পাচ্ছিলাম না যে কি লিখব। তাই আমার এক আত্মীয়ের কাছে শোনা গল্পই চালিয়ে দিলাম। উনি এই গল্প শুনেছেন ওনার এক পরিচিত মেডিকেল রিপ্রেজেনটিটিভ এর কাছ থেকে। আমার শুনে খুবই মজা লেগেছিল তাই আপনাদের জন্য দিলাম। একদিন এক লোক ডাক্তার এর কাছে এলেন এবং বললেন, “ডাক্তার সাহেব, আপনি যে জ্বরের জন্য ওষুধটা দিয়েছেন ওটা তো প্রয়োগ করাই বিরাট ঝামেলার ব্যাপার”।

বলা বাহুল্য ওষুধটি ছিলো সাপোজিটরি। ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, “কি ঝামেলা ?” রোগী বললেন, “আপনার ওষুধ তো গুহ্যদ্বারে দিতে বলেছেন কিন্তু ওটা দিতে গিয়ে আমার গুহ্যদ্বারের অবস্থা বেহাল, আর আমার জ্বরও কমেনি”। ডাক্তার বললেন, “কিভাবে ওষুধটা দিয়েছেন একটু বলেন তো”। রোগী একটা সাপোজিটরি ডাক্তার এর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “এভাবে কেটে তারপর ঢুকিয়েছি”। বলা বাহুল্য, রোগী সাপোজিটরিটিকে প্যাক থেকে পুরো না খুলেই শুধুমাত্র সাইডগুলো কেটে তার গুহ্যদ্বারে প্রবেশ করিয়েছেন।

অর্থাৎ এলুমিনিয়াম ফয়েল সহই তিনি ওটা তার গুহ্যদ্বারে প্রবেশ করিয়েছেন। যারা সাপোজিটরি ব্যবহার করেছেন বা এটার ব্যাবহার দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন। আর একদিন এক রোগী এলেন ডাক্তার এর কাছে। বললেন, “ডাক্তার সাহেব, আমার জ্বর তো কমতেছে না”। ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, “আপনাকে বলেছিলাম এই ওষুধটা পায়খানার রাস্তায় দিতে, আপনি ঠিকমতো দিয়েছেন তো?” রোগী বললেন, “জ্বি, আমি খুব যত্ন করে আমার পায়খানায় যাওয়া আসার রাস্তায় রেখে দিয়েছি, কিন্তু আমার জ্বর কমেনি”।

পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ডাক্তার কোন পায়খানার রাস্তা বলেছেন আর রোগী কোন পায়খানার রাস্তায় ওষুধ দিয়েছেন। হয়তো আমার গল্প লেখার ষ্টাইলটা ভালো হল না তবুও লিখলাম। কেমন লাগলো জানাবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।